শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও আলোচনায় ছিল মুশফিকুর রহিমের ফর্মহীনতা। তার ব্যাটে যে একেবারে রান ছিল না, সেটাও বলা যাবে না। রান ছিল, কিন্তু সেগুলো ঠিক মুশফিক সুলভ নয়। শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে। এরপরের গল্পটা সবারই জানা।
ঢাকা টেস্টে লিটন দাসের সেঞ্চুরির পর নিজেও সেঞ্চুরি করলেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে দুই জুটি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছেন। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের অষ্টম শতক। আজ (২৩ মে) দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন তুলে নিলেন নবম শতক। অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করে মুশফিক জানান দিলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। অভিজ্ঞতাই দিনশেষে এগিয়ে।
অন্যদিকে, মাত্র ২৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরা মুশফিকও ছুটেছেন সঙ্গীর পথেই। এ দুজনের রেকর্ড গড়া ২৩৬ রানের রেকর্ড জুটিতে খাদের কিনার থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসও।
যে জুটি গড়ার পথে লিটন-মুশফিক টপকে গেছেন ২০০৭ সালে কলম্বোয় সাগতিকদের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে গড়া ১৯১ রানের জুটি। সেই জুটিতেও অবশ্য নায়ক ছিলেন মুশফিক, আর সঙ্গী ছিলেম মোহাম্মদ আশরাফুল।
লাঞ্চ বিরতি কাটিয়ে এসে প্রথমে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। এরপর লিটনের পথ ধরে ঐ সেশনেই ফিফটির দেখা পান মুশফিকও। দুই ব্যাটারের ফিফটিতে ভালো অবস্থানে থেকে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
চা পানের বিরতি থেকে এসে সাবলীল ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়ে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। সমান্তরালে থাকা মুশফিকও সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। তবে লিটনের চেয়ে মুশফিকের শতকে ছিল কিছুটা ধীর গতি। ১৪৯ বলের মোকাবিলায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। আর ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করতে মুশফিকের প্রয়োজন হয় ২১৮ বল। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে চট্রগ্রামের পর ঢাকায়ও সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
আর মাত্র একটি শতকের দেখা পেলে টেস্টে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন মুশফিক। ক্রিকটের দীর্ঘতম এই সংস্করণে বাংলাদেশ হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০টি শতক আছে ওপেনার তামিম ইকবালের ঝুলিতে।
সোমবার, ২৩ মে ২০২২
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও আলোচনায় ছিল মুশফিকুর রহিমের ফর্মহীনতা। তার ব্যাটে যে একেবারে রান ছিল না, সেটাও বলা যাবে না। রান ছিল, কিন্তু সেগুলো ঠিক মুশফিক সুলভ নয়। শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে। এরপরের গল্পটা সবারই জানা।
ঢাকা টেস্টে লিটন দাসের সেঞ্চুরির পর নিজেও সেঞ্চুরি করলেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে দুই জুটি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছেন। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের অষ্টম শতক। আজ (২৩ মে) দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন তুলে নিলেন নবম শতক। অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করে মুশফিক জানান দিলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। অভিজ্ঞতাই দিনশেষে এগিয়ে।
অন্যদিকে, মাত্র ২৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটনকে নিয়ে দলের হাল ধরা মুশফিকও ছুটেছেন সঙ্গীর পথেই। এ দুজনের রেকর্ড গড়া ২৩৬ রানের রেকর্ড জুটিতে খাদের কিনার থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসও।
যে জুটি গড়ার পথে লিটন-মুশফিক টপকে গেছেন ২০০৭ সালে কলম্বোয় সাগতিকদের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে গড়া ১৯১ রানের জুটি। সেই জুটিতেও অবশ্য নায়ক ছিলেন মুশফিক, আর সঙ্গী ছিলেম মোহাম্মদ আশরাফুল।
লাঞ্চ বিরতি কাটিয়ে এসে প্রথমে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। এরপর লিটনের পথ ধরে ঐ সেশনেই ফিফটির দেখা পান মুশফিকও। দুই ব্যাটারের ফিফটিতে ভালো অবস্থানে থেকে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
চা পানের বিরতি থেকে এসে সাবলীল ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়ে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। সমান্তরালে থাকা মুশফিকও সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। তবে লিটনের চেয়ে মুশফিকের শতকে ছিল কিছুটা ধীর গতি। ১৪৯ বলের মোকাবিলায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। আর ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করতে মুশফিকের প্রয়োজন হয় ২১৮ বল। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে চট্রগ্রামের পর ঢাকায়ও সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
আর মাত্র একটি শতকের দেখা পেলে টেস্টে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন মুশফিক। ক্রিকটের দীর্ঘতম এই সংস্করণে বাংলাদেশ হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০টি শতক আছে ওপেনার তামিম ইকবালের ঝুলিতে।