ফ্রান্সে থাকতে চাওয়ার কারণেই কিলিয়ান এমবাপ্পে কিলিয়ান এমবাপ্পে জানিয়েছেন তিনি গত বছর প্যারিস সেন্ট জার্মেই ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে এখন ফ্রান্সে থাকাটাই সঠিক হবে বলে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দিয়ে পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন। পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দেয়ার পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এমবাপ্পে। পিএসজির সাথে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন এমবাপ্পে। যার অর্থ ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি পিএসজিতেই থাকবেন।
রিয়াল মাদ্রিদ গত বছর তার জন্য ২০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তখন পিএসজি তাকে বিক্রি করতে রাজী হয়নি। এখন এমবাপ্পে দামাদামি করে নিজের দাম বাড়িয়ে থেকে গেছেন পিএসজিতেই।
এমবাপ্পে বলেন, ‘এটা ছিল খুবই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি সময় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিতে চেয়েছিলাম। আমি যেহেতু ১৪ বছর বয়স থেকে এখানেই থাকছি তাই এখানে থাকার জন্য আমার উপর কোন চাপ ছিল না। সবাই জানে গত বছর আমি দল ছাড়তে চেয়েছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিল অন্যত্র যাওয়াটাই সঠিক হবে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যক্তিগত এবং খেলার সম্ভাবনা মিলিয়ে এখন থেকে যাওয়টাই ভাল মনে হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্রান্স আমার দেশ। আমি এখানে বড় হয়েছি। আমি এখানেই বসবাস করছি এবং এখান থেকে অন্যত্র যাওয়াটা সঠিক হতো না। পিএসজির খেলার পরিকল্পনাও পরিবর্তন হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার থাকাটাই সঠিক বলে মনে হয়েছে। আমি নিশ্চিত আমাকে নিয়ে আলোচনা এখানেই শেষ নয়।’
এমবাপ্পে জানান পিএসজি থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ আগে নিলেও সবাইকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তা প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ‘রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজে সাথে ফোনে কথা বলার আগেই আমি সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। আমাকে খুশী করার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছে। এ জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি রিয়ালের সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশা করছি তারা বুঝতে পারবে যে আমি আমার দেশকে বেছে নিয়েছি। বাস্তবতা হলো আমি একজন ফরাসী। আমি এখানে থেকে ফ্রান্সকে শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই। ফ্রান্সের ক্লাবকেও সেরা বানাতে চাই।’
এমবাপ্পে জানিয়েছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে তার কোন আগ্রহ নেই। মার্কিনহোস অধিনায়ক আছেন এবং তিনিই সে দায়িত্বের জন্য যোগ্য। তিনি আরো দাবী করেন রিয়াল কিংবা পিএসজির সাথে টাকা পয়সা নিয়ে কোন আলোচনা তিনি করেননি। তিনি বলেন, ‘সত্যি হলো আমরা খেলার পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক মাস কথা বলেছি। আর অর্থ নিয়ে কথা বলেছি কয়েক মিনিট।’
যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। এমবাপ্পে নিজে অর্থ নিয়ে আলোচনা না করলেও তার মা এবং আইনজীবী এ ব্যাপারে অনেক দেন দরবার করেছেন। তারা দরাদরি করে এমবাপ্পের দাম এতটাই বাড়িয়েছেন যে তা নিয়ে স্পেনিশ লিগ কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত মন্তব্য করেছে।
স্পেনিশ লিগের প্রধান মনে করেন একজন খেলোয়াড়ের পেছনে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে পিএসজি ইউরোপীয় ফুটবলের আর্থিক চিত্রই পাল্টে দিয়েছে। যা ফুটবলের আর্থিক স্থিতিশীলতা ক্ষুন্ন করবে। এ নিয়ে ইউইএফএর কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন স্পেনিশ লিগ প্রধান।
স্পেনিশ লিগের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি। তিনি বলেন, ‘খেতে না পারলে আঙ্গুর ফল টক।’ খেলাইফি বলেন, ‘আমি মনে করি ফরাসী লিগ প্রধান এর জবাব দিতে পারেন। আমরা এখন স্পেনিশ লিগের চেয়ে শক্তিশালী। কয়েক বছর আগে স্পেনিশ লিগ যে ধরনের শক্তিশালী ছিল এখন আর তা নেই। আমরা বিশে^র সেরা খেলোয়াড়দের ফ্রান্সে নিয়ে এসেছি। গত সপ্তায় সবাই মনে করেছিল আমরা এমবাপ্পেকে হারাতে যাচ্ছি। আমরাও নিশ্চিত ছিলাম না। তবে এমবাপ্পে এবং তার মায়ের প্রতি আস্থা ছিল।’
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ফ্রান্সে থাকতে চাওয়ার কারণেই কিলিয়ান এমবাপ্পে কিলিয়ান এমবাপ্পে জানিয়েছেন তিনি গত বছর প্যারিস সেন্ট জার্মেই ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে এখন ফ্রান্সে থাকাটাই সঠিক হবে বলে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দিয়ে পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন। পিএসজির সাথে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দেয়ার পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এমবাপ্পে। পিএসজির সাথে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন এমবাপ্পে। যার অর্থ ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি পিএসজিতেই থাকবেন।
রিয়াল মাদ্রিদ গত বছর তার জন্য ২০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তখন পিএসজি তাকে বিক্রি করতে রাজী হয়নি। এখন এমবাপ্পে দামাদামি করে নিজের দাম বাড়িয়ে থেকে গেছেন পিএসজিতেই।
এমবাপ্পে বলেন, ‘এটা ছিল খুবই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি সময় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিতে চেয়েছিলাম। আমি যেহেতু ১৪ বছর বয়স থেকে এখানেই থাকছি তাই এখানে থাকার জন্য আমার উপর কোন চাপ ছিল না। সবাই জানে গত বছর আমি দল ছাড়তে চেয়েছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিল অন্যত্র যাওয়াটাই সঠিক হবে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যক্তিগত এবং খেলার সম্ভাবনা মিলিয়ে এখন থেকে যাওয়টাই ভাল মনে হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্রান্স আমার দেশ। আমি এখানে বড় হয়েছি। আমি এখানেই বসবাস করছি এবং এখান থেকে অন্যত্র যাওয়াটা সঠিক হতো না। পিএসজির খেলার পরিকল্পনাও পরিবর্তন হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার থাকাটাই সঠিক বলে মনে হয়েছে। আমি নিশ্চিত আমাকে নিয়ে আলোচনা এখানেই শেষ নয়।’
এমবাপ্পে জানান পিএসজি থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ আগে নিলেও সবাইকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তা প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ‘রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজে সাথে ফোনে কথা বলার আগেই আমি সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। আমাকে খুশী করার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছে। এ জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি রিয়ালের সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশা করছি তারা বুঝতে পারবে যে আমি আমার দেশকে বেছে নিয়েছি। বাস্তবতা হলো আমি একজন ফরাসী। আমি এখানে থেকে ফ্রান্সকে শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই। ফ্রান্সের ক্লাবকেও সেরা বানাতে চাই।’
এমবাপ্পে জানিয়েছেন অধিনায়কত্ব নিয়ে তার কোন আগ্রহ নেই। মার্কিনহোস অধিনায়ক আছেন এবং তিনিই সে দায়িত্বের জন্য যোগ্য। তিনি আরো দাবী করেন রিয়াল কিংবা পিএসজির সাথে টাকা পয়সা নিয়ে কোন আলোচনা তিনি করেননি। তিনি বলেন, ‘সত্যি হলো আমরা খেলার পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক মাস কথা বলেছি। আর অর্থ নিয়ে কথা বলেছি কয়েক মিনিট।’
যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। এমবাপ্পে নিজে অর্থ নিয়ে আলোচনা না করলেও তার মা এবং আইনজীবী এ ব্যাপারে অনেক দেন দরবার করেছেন। তারা দরাদরি করে এমবাপ্পের দাম এতটাই বাড়িয়েছেন যে তা নিয়ে স্পেনিশ লিগ কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত মন্তব্য করেছে।
স্পেনিশ লিগের প্রধান মনে করেন একজন খেলোয়াড়ের পেছনে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে পিএসজি ইউরোপীয় ফুটবলের আর্থিক চিত্রই পাল্টে দিয়েছে। যা ফুটবলের আর্থিক স্থিতিশীলতা ক্ষুন্ন করবে। এ নিয়ে ইউইএফএর কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন স্পেনিশ লিগ প্রধান।
স্পেনিশ লিগের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি। তিনি বলেন, ‘খেতে না পারলে আঙ্গুর ফল টক।’ খেলাইফি বলেন, ‘আমি মনে করি ফরাসী লিগ প্রধান এর জবাব দিতে পারেন। আমরা এখন স্পেনিশ লিগের চেয়ে শক্তিশালী। কয়েক বছর আগে স্পেনিশ লিগ যে ধরনের শক্তিশালী ছিল এখন আর তা নেই। আমরা বিশে^র সেরা খেলোয়াড়দের ফ্রান্সে নিয়ে এসেছি। গত সপ্তায় সবাই মনে করেছিল আমরা এমবাপ্পেকে হারাতে যাচ্ছি। আমরাও নিশ্চিত ছিলাম না। তবে এমবাপ্পে এবং তার মায়ের প্রতি আস্থা ছিল।’