বাংলাদেশ জাতীয় দল টেস্টের জন্য একেবারেই ফিট নয় একটা কথা প্রায় সময়ই শোনা যায়। স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই তো বলেছিলেন, ক্রিকেটাররা প্রথম চার দিন ভালোই খেলে, তারপর থেকে খেই হারিয়ে ফেলে। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মনে করছেন টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শারীরিক ফিটনেস সবচেয়ে বেশি।
সাকিবের মতে, ফিটনেস নয়, দেশের ক্রিকেটারদের প্রধান সমস্যা মানসিক শক্তিমত্তার অভাব। এই দিকটাতে আরও অনেক কাজ করার আছে বলে মনে করছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবচেয়ে ফিটেস্ট টিম। কারণ আমরা সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং করি। ফিজিক্যালি আমরা ফিট, মেন্টালি সমস্যাটা আসলে বেশি। সেখানে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। কিন্তু ফিজিক্যালি কিন্তু আমরা অনেক বেশি ফিট।’
চলমান ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় মান বাঁচানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় জেগেছে হারের শঙ্কা। অস্বীকার করার উপায় নেই- টেস্টে এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশের নিত্যদিনের চিত্র।
তিনি বলেন, ৩ ইনিংসে আমরা ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন সাড়ে ৪০০ ওভার কিপিং করে ১৪১ করেছে, মুশফিক ভাই ১৭৫ করেছে। ফিজিক্যালি সবাই ফিট, সমস্যা মানসিক। আমরা হয়ত ব্যর্থতার ভয় অনেক বেশি করি। উল্টো চিন্তা করলে ভালো কিছু আসতে পারে।
করোনা থেকে সেরে ওঠে বলতে গেলে অনুশীলন না করেই চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে নেমে পড়েন সাকিব। এরপর ঢাকা টেস্টেও দারুণ পারফর্ম করছেন; লঙ্কানদের ইনিংসের ৫ উইকেট একাই শিকার করেছেন। সাকিব মনে করেন, ম্যাচ খেলার মত ফিটনেসের সাথে তথাকথিত ফিটনেসের তফাৎ রয়েছে।
সাকিব বলেন, ‘খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে সে নিজেকে কোন জিনিসটাতে ফিট মনে করে। ম্যাচ খেলার মত ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেসে ভিন্ন আছে। অনেক ফাস্ট বোলার ম্যাচে অনেক সুন্দর করে বল করতে পারে, কিন্তু বিপ টেস্টে ১০ নম্বর অতিক্রম করতে পারে না। অনেকে বিপ টেস্টে ১২-১৩ রেখেও ৫ ওভারও বল করতে পারে না। ফিটনেসের সংজ্ঞা একেক সময় একেক রকম। ম্যাচ ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ভিন্ন জিনিস।’
‘প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খেলেছিলাম। এই জিনিসটা আমাকে সহায়তা করেছে। আর আমি জানতাম চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার জন্য কষ্টকর হবে, এরপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু চান্স নেওয়া বলতে পারেন। তবে ক্যালকুলেটিভ চান্স।’– বলেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
বাংলাদেশ জাতীয় দল টেস্টের জন্য একেবারেই ফিট নয় একটা কথা প্রায় সময়ই শোনা যায়। স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই তো বলেছিলেন, ক্রিকেটাররা প্রথম চার দিন ভালোই খেলে, তারপর থেকে খেই হারিয়ে ফেলে। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মনে করছেন টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শারীরিক ফিটনেস সবচেয়ে বেশি।
সাকিবের মতে, ফিটনেস নয়, দেশের ক্রিকেটারদের প্রধান সমস্যা মানসিক শক্তিমত্তার অভাব। এই দিকটাতে আরও অনেক কাজ করার আছে বলে মনে করছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবচেয়ে ফিটেস্ট টিম। কারণ আমরা সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং করি। ফিজিক্যালি আমরা ফিট, মেন্টালি সমস্যাটা আসলে বেশি। সেখানে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। কিন্তু ফিজিক্যালি কিন্তু আমরা অনেক বেশি ফিট।’
চলমান ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় মান বাঁচানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় জেগেছে হারের শঙ্কা। অস্বীকার করার উপায় নেই- টেস্টে এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশের নিত্যদিনের চিত্র।
তিনি বলেন, ৩ ইনিংসে আমরা ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন সাড়ে ৪০০ ওভার কিপিং করে ১৪১ করেছে, মুশফিক ভাই ১৭৫ করেছে। ফিজিক্যালি সবাই ফিট, সমস্যা মানসিক। আমরা হয়ত ব্যর্থতার ভয় অনেক বেশি করি। উল্টো চিন্তা করলে ভালো কিছু আসতে পারে।
করোনা থেকে সেরে ওঠে বলতে গেলে অনুশীলন না করেই চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে নেমে পড়েন সাকিব। এরপর ঢাকা টেস্টেও দারুণ পারফর্ম করছেন; লঙ্কানদের ইনিংসের ৫ উইকেট একাই শিকার করেছেন। সাকিব মনে করেন, ম্যাচ খেলার মত ফিটনেসের সাথে তথাকথিত ফিটনেসের তফাৎ রয়েছে।
সাকিব বলেন, ‘খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে সে নিজেকে কোন জিনিসটাতে ফিট মনে করে। ম্যাচ খেলার মত ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেসে ভিন্ন আছে। অনেক ফাস্ট বোলার ম্যাচে অনেক সুন্দর করে বল করতে পারে, কিন্তু বিপ টেস্টে ১০ নম্বর অতিক্রম করতে পারে না। অনেকে বিপ টেস্টে ১২-১৩ রেখেও ৫ ওভারও বল করতে পারে না। ফিটনেসের সংজ্ঞা একেক সময় একেক রকম। ম্যাচ ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ভিন্ন জিনিস।’
‘প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খেলেছিলাম। এই জিনিসটা আমাকে সহায়তা করেছে। আর আমি জানতাম চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার জন্য কষ্টকর হবে, এরপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু চান্স নেওয়া বলতে পারেন। তবে ক্যালকুলেটিভ চান্স।’– বলেন সাকিব।