বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার পরই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে, সাকিব আল হাসানই হচ্ছেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এছাড়া দেখার বিষয় ছিল মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে দলে ফেরানো হয় কি না।
বিশেষ করে লিটন দাস এবং নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরির কারণে এই দুই সিনিয়রের দলে ফেরার পথটা সুগম হয়েই ছিল। অবশেষে সব জ্বল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই সাথে দলে ফেরানো হলো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টা ১১ মিনিটে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের আইবি ভবনে অবস্থিত বাসভবনে আসেন সাকিব। সেখানে অধিনায়কত্বের ইস্যুতে নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুস। সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিকাল ৪টার পর শুরু হয় এই বৈঠক।
এই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সাকিবের কাঁধেই উঠছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব। তবে পূর্ণ মেয়াদে নয়, আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে। গত ১১ আগস্ট ধানমন্ডিতে করা এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন জানান, এবার অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে পূর্ণ মেয়াদে, অন্তত ২ বছরের জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাকিব তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে আর এ রকম বিতর্কে জড়াবেন না বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। বিসিবিও মনে করে সাকিব বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় এবং সাকিব তাদেরই একজন।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব আগে থেকেই ছিল সাকিবের। এবার টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ফেরার পর ফিরে এলো ২০১৯ সালের বাস্তবতা। সেবার জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের চরম ব্যর্থতার পর নেতৃত্বে রেখে দেওয়া হয় তাকেই। তবে গত কিছুদিনে তার নিজের ফর্মহীনতা ও দলের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা হতে থাকে তীব্র। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে মাহমুদউল্লাহকে দলের বাইরে রেখে অধিনায়ক করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে।
বিসিবি তখন বলেছিল, এই সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে যান সোহান। ওয়ানডে দলে থাকা মাহমুদউল্লাহকে তখন টি-টোয়েন্টি দলে আনা হয় শেষ ম্যাচের জন্য। তবে সেই ম্যাচের নেতৃত্ব পান মোসাদ্দেক হোসেন।
মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ তখনই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অনুমিত পথেই এগোল সবকিছু।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে জাতীয় দলে। গত বছর অক্টোবরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেন সাইফউদ্দিন। এরপর চোটের কারণে আর খেলা হয়নি।
এর আগে ২০০৯ সাল ও ২০১৭ সালে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন, নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার পরই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে, সাকিব আল হাসানই হচ্ছেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এছাড়া দেখার বিষয় ছিল মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে দলে ফেরানো হয় কি না।
বিশেষ করে লিটন দাস এবং নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরির কারণে এই দুই সিনিয়রের দলে ফেরার পথটা সুগম হয়েই ছিল। অবশেষে সব জ্বল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই সাথে দলে ফেরানো হলো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টা ১১ মিনিটে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের আইবি ভবনে অবস্থিত বাসভবনে আসেন সাকিব। সেখানে অধিনায়কত্বের ইস্যুতে নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুস। সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিকাল ৪টার পর শুরু হয় এই বৈঠক।
এই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সাকিবের কাঁধেই উঠছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব। তবে পূর্ণ মেয়াদে নয়, আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে। গত ১১ আগস্ট ধানমন্ডিতে করা এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন জানান, এবার অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে পূর্ণ মেয়াদে, অন্তত ২ বছরের জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাকিব তার ভুল স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে আর এ রকম বিতর্কে জড়াবেন না বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। বিসিবিও মনে করে সাকিব বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় এবং সাকিব তাদেরই একজন।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব আগে থেকেই ছিল সাকিবের। এবার টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ফেরার পর ফিরে এলো ২০১৯ সালের বাস্তবতা। সেবার জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের চরম ব্যর্থতার পর নেতৃত্বে রেখে দেওয়া হয় তাকেই। তবে গত কিছুদিনে তার নিজের ফর্মহীনতা ও দলের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা হতে থাকে তীব্র। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে মাহমুদউল্লাহকে দলের বাইরে রেখে অধিনায়ক করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে।
বিসিবি তখন বলেছিল, এই সফরে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে যান সোহান। ওয়ানডে দলে থাকা মাহমুদউল্লাহকে তখন টি-টোয়েন্টি দলে আনা হয় শেষ ম্যাচের জন্য। তবে সেই ম্যাচের নেতৃত্ব পান মোসাদ্দেক হোসেন।
মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ তখনই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অনুমিত পথেই এগোল সবকিছু।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে জাতীয় দলে। গত বছর অক্টোবরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেন সাইফউদ্দিন। এরপর চোটের কারণে আর খেলা হয়নি।
এর আগে ২০০৯ সাল ও ২০১৭ সালে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন, নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।