ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
হ্যারি কেইনের ইনজুরি টাইমের গোলে টটেনহ্যাম হটস্পার রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২-২ গোলে চেলসির সাথে ড্র করেছে। তবে ম্যাচের ফল ঢাকা পড়ে গেছে ম্যাচ শেষে দুই কোচ টমাস টুখেল এবং অ্যান্তনিও কোন্তের মারামারি এবং লাল কার্ড দেখায়।
কেইন ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে ইভান পেরিসিচের কর্নার কিক থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এর ফলে পরাজয় এড়াতে সমর্থ হয় টটেনহ্যাম। তারা অবশ্য শেষ ৩৮টি মোকাবেলায় মাত্র একবার স্টামফোর্ড ব্রিজে জয়ের মুখ দেখেছে।
ম্যাচটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় দুই কোচের মধ্যেও। পিয়েরি এমিল হোইবোর্গের গোলে টটেনহ্যাম ৭৭ মিনিটে প্রথমবার সমতা ফেরানোর পর দুই কোচ হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। তখন রেফারি হলুদ কার্ড দেখান উভয় কোচকেই। ম্যাচ শেষেও তারা আবার বিরোধে জড়ান এবং দেখেন লাল কার্ড।
চেলসির কোচ টমাস টুখেল অবশ্য বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এটা তেমন কিছুই না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের কেউই সীমা লংঘন করিনি। আমার পরস্পরকে লাঞ্ছিত করিনি। কাউকে কেউ আঘাত করিনি। আমরা লড়াই করেছি দলের জন্য।’
ম্যাচে বেশীরভাগ সময় দাপট ছিল স্বাগতিক চেলসিরই। খেলার ১৯ মিনিটে তারা এগিয়েও যায়। তাদের সেন্টার ব্যাক কালিদু কুলিবালি পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দারুন এক ভলিতে গোল করেন। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও প্রাধান্য ছিল চেলসির। গোলের সুযোগও তারা তৈরী করে। কিন্তু রাহিম স্টার্লিং তা কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান বাড়েনি। হোইবোর্গ ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া এক প্লেসিং শটে সমতা ফেরান। এ সময় দুই কোচ বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। চেলসির কোচ দাবী করেন গোলের আগে কাই হাভার্টজ ফাউলের শিকার হয়েছেন এবং রিচার্লিসন অফসাইড ছিলেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
সমতা ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার এগিয়ে যায় চেলসি। দারুন পরিকল্পিত একটি আক্রমণ থেকে চেলসিকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন রিকি জেমস। নির্ধারিত সময়ের খেলায় চেলসি এগিয়ে থাকায় মনে হচিছল তারা জিততে যাচ্ছে। কিন্তু ইনজুরি টাইমে কেইনের গোল সব হিসাব বদলে দেয়।
ম্যাচ শেষে দুই কোচ করমর্দন করতে গিয়ে আবার বিরোধে জড়ান। কোচিং স্টাফরা তাদের দুজনকে সরিয়ে নেন। তবে শাস্তি হিসেবে তাদের লাল কার্ড দেখতেই হয়।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
হ্যারি কেইনের ইনজুরি টাইমের গোলে টটেনহ্যাম হটস্পার রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২-২ গোলে চেলসির সাথে ড্র করেছে। তবে ম্যাচের ফল ঢাকা পড়ে গেছে ম্যাচ শেষে দুই কোচ টমাস টুখেল এবং অ্যান্তনিও কোন্তের মারামারি এবং লাল কার্ড দেখায়।
কেইন ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে ইভান পেরিসিচের কর্নার কিক থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এর ফলে পরাজয় এড়াতে সমর্থ হয় টটেনহ্যাম। তারা অবশ্য শেষ ৩৮টি মোকাবেলায় মাত্র একবার স্টামফোর্ড ব্রিজে জয়ের মুখ দেখেছে।
ম্যাচটি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় দুই কোচের মধ্যেও। পিয়েরি এমিল হোইবোর্গের গোলে টটেনহ্যাম ৭৭ মিনিটে প্রথমবার সমতা ফেরানোর পর দুই কোচ হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। তখন রেফারি হলুদ কার্ড দেখান উভয় কোচকেই। ম্যাচ শেষেও তারা আবার বিরোধে জড়ান এবং দেখেন লাল কার্ড।
চেলসির কোচ টমাস টুখেল অবশ্য বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এটা তেমন কিছুই না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের কেউই সীমা লংঘন করিনি। আমার পরস্পরকে লাঞ্ছিত করিনি। কাউকে কেউ আঘাত করিনি। আমরা লড়াই করেছি দলের জন্য।’
ম্যাচে বেশীরভাগ সময় দাপট ছিল স্বাগতিক চেলসিরই। খেলার ১৯ মিনিটে তারা এগিয়েও যায়। তাদের সেন্টার ব্যাক কালিদু কুলিবালি পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দারুন এক ভলিতে গোল করেন। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও প্রাধান্য ছিল চেলসির। গোলের সুযোগও তারা তৈরী করে। কিন্তু রাহিম স্টার্লিং তা কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান বাড়েনি। হোইবোর্গ ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া এক প্লেসিং শটে সমতা ফেরান। এ সময় দুই কোচ বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। চেলসির কোচ দাবী করেন গোলের আগে কাই হাভার্টজ ফাউলের শিকার হয়েছেন এবং রিচার্লিসন অফসাইড ছিলেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
সমতা ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার এগিয়ে যায় চেলসি। দারুন পরিকল্পিত একটি আক্রমণ থেকে চেলসিকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন রিকি জেমস। নির্ধারিত সময়ের খেলায় চেলসি এগিয়ে থাকায় মনে হচিছল তারা জিততে যাচ্ছে। কিন্তু ইনজুরি টাইমে কেইনের গোল সব হিসাব বদলে দেয়।
ম্যাচ শেষে দুই কোচ করমর্দন করতে গিয়ে আবার বিরোধে জড়ান। কোচিং স্টাফরা তাদের দুজনকে সরিয়ে নেন। তবে শাস্তি হিসেবে তাদের লাল কার্ড দেখতেই হয়।