ইউরো নেশন্স লিগ
অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স নেশন্স লিগের টপ টায়ারে টিকে থাকার আশা বাচিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফ্রান্স ২-০ গোলে পরাজিত করে অস্ট্রিয়াকে। স্বাগতিকদের পক্ষে একটি করে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং অলিভার জিরুদ।
এমবাপ্পের দারুন গোলের পর ৩৫ বছর বয়সী জিরুদের গোল জয় নিশ্চিত করে ফ্রান্সের। এ ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে জিরুদ ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এ জয়ের ফলে ফ্রান্স এক নম্বর গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠেছে। তারা ৫ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। রবিবার ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স।
ম্যাচ জেতার জন্য ফ্রান্সকে বেশ চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। এ ম্যাচে আহত হয়েছেন ডিফেন্ডর জুলস কুন্ডে এবং গোলরক্ষক মাইক মাইগানান। এর আগে ইনজুরির কারণে দলে থাকতে পারেননি করিম বেনজেমা, হুগো লরিস এবং পল পগবা।
নিজ দেশের দর্শকদের সামনে জিততে পেরে খুশী কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। ১৯৯৮ সালে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করা খেলোয়াড় দেশ্যম বলেন, ‘আমাদের যা করার দরকার ছিল তাই করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিবাচক। সবাই রক্ষণে সহায়তা করেছে। এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক ফল পেয়েছি। খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবং মানসিকতা বেশ ভাল ছিল।’
আগের চার ম্যাচে জয় বিহীন থাকা ফ্রান্স এ ম্যাচে নিজ দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণত্মক খেলার চেষ্টা করে। দুই মিনিটের মাথায়ই এমবাপ্পের শট জালে আশ্রয় নেয়। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এর পর মিডফিল্ডার অরলিয়েন চুয়ামেনির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক প্যাট্রিক পেন্টজ।
ফ্রান্স এর পরেও চাপ অব্যাহত রাখে। তবে গোলরক্ষক মাইগনান পেশীতে আঘাত পাওয়ার বিরতির পর তার জায়গায় মাঠে নামানো হয় আলফনসো আরেওলাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপ্পে তার গতি ও ড্রিবলিং কাজে লাগিয়ে অস্ট্রিয়ার রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে গোলমুখে বল দেন জনাথন ক্লসকে। তিনি তার প্রচেষ্টা অল্পের জন্য বাইরে যায়।
এমবাপ্পে জিরুদের পাস ধরে ৫জন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। গোলের পর তা শোধ করার জন্য অস্ট্রিয়া মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় তারা সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয়।
আতোয়া গ্রিজম্যানের মাপা ক্রস থেকে ৬৫ মিনিটে জিরুদ করেন দলের দ্বিতীয় গোল। ফ্রান্সের হয়ে এটা ছিল তার ৪৯তম গোল। তিনি থিয়েরি অঁরির ৫১ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র দুটি গোলে পিছিয়ে আছেন। শেষ দিকে তাকে তুলে ওসমানে দেম্বেলেকে মাঠে নামান কোচ। ম্যাচ শেষে জিরুদের প্রশংসা করেন কোচ। তবে বিশ্বকাপ দলে তিনি থাকবেন কিনা কিংবা নিয়মিত একাদশে থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত করে কিছুই বলেননি। মূলত করিম বেনজেমা ফিট না থাকায় তার বদলে দলে জায়গা পেয়েছেন জিরুদ। কোচ বলেন, ‘আমাদের দলে থাকবেন ২৬জন খেলোয়াড় এবং খেলবেন ১১জন। প্রতিটি পজিশনেই আছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই বলা যাচেছ না কে দলে থাকবেন আর কে খেলবেন।
ইউরো নেশন্স লিগ
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স নেশন্স লিগের টপ টায়ারে টিকে থাকার আশা বাচিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফ্রান্স ২-০ গোলে পরাজিত করে অস্ট্রিয়াকে। স্বাগতিকদের পক্ষে একটি করে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং অলিভার জিরুদ।
এমবাপ্পের দারুন গোলের পর ৩৫ বছর বয়সী জিরুদের গোল জয় নিশ্চিত করে ফ্রান্সের। এ ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে জিরুদ ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশী বয়সে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এ জয়ের ফলে ফ্রান্স এক নম্বর গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠেছে। তারা ৫ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। রবিবার ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স।
ম্যাচ জেতার জন্য ফ্রান্সকে বেশ চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। এ ম্যাচে আহত হয়েছেন ডিফেন্ডর জুলস কুন্ডে এবং গোলরক্ষক মাইক মাইগানান। এর আগে ইনজুরির কারণে দলে থাকতে পারেননি করিম বেনজেমা, হুগো লরিস এবং পল পগবা।
নিজ দেশের দর্শকদের সামনে জিততে পেরে খুশী কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। ১৯৯৮ সালে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করা খেলোয়াড় দেশ্যম বলেন, ‘আমাদের যা করার দরকার ছিল তাই করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিবাচক। সবাই রক্ষণে সহায়তা করেছে। এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক ফল পেয়েছি। খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবং মানসিকতা বেশ ভাল ছিল।’
আগের চার ম্যাচে জয় বিহীন থাকা ফ্রান্স এ ম্যাচে নিজ দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণত্মক খেলার চেষ্টা করে। দুই মিনিটের মাথায়ই এমবাপ্পের শট জালে আশ্রয় নেয়। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এর পর মিডফিল্ডার অরলিয়েন চুয়ামেনির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক প্যাট্রিক পেন্টজ।
ফ্রান্স এর পরেও চাপ অব্যাহত রাখে। তবে গোলরক্ষক মাইগনান পেশীতে আঘাত পাওয়ার বিরতির পর তার জায়গায় মাঠে নামানো হয় আলফনসো আরেওলাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপ্পে তার গতি ও ড্রিবলিং কাজে লাগিয়ে অস্ট্রিয়ার রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে গোলমুখে বল দেন জনাথন ক্লসকে। তিনি তার প্রচেষ্টা অল্পের জন্য বাইরে যায়।
এমবাপ্পে জিরুদের পাস ধরে ৫জন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। গোলের পর তা শোধ করার জন্য অস্ট্রিয়া মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় তারা সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয়।
আতোয়া গ্রিজম্যানের মাপা ক্রস থেকে ৬৫ মিনিটে জিরুদ করেন দলের দ্বিতীয় গোল। ফ্রান্সের হয়ে এটা ছিল তার ৪৯তম গোল। তিনি থিয়েরি অঁরির ৫১ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র দুটি গোলে পিছিয়ে আছেন। শেষ দিকে তাকে তুলে ওসমানে দেম্বেলেকে মাঠে নামান কোচ। ম্যাচ শেষে জিরুদের প্রশংসা করেন কোচ। তবে বিশ্বকাপ দলে তিনি থাকবেন কিনা কিংবা নিয়মিত একাদশে থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত করে কিছুই বলেননি। মূলত করিম বেনজেমা ফিট না থাকায় তার বদলে দলে জায়গা পেয়েছেন জিরুদ। কোচ বলেন, ‘আমাদের দলে থাকবেন ২৬জন খেলোয়াড় এবং খেলবেন ১১জন। প্রতিটি পজিশনেই আছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই বলা যাচেছ না কে দলে থাকবেন আর কে খেলবেন।