ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বাকাপের আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে আরব আমিরাত সফর করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করেছে টপ অর্ডার। তবে আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৯ সালে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। এত দিন সেটাই ছিল তার সর্বোচ্চ। সেটা ছাড়িয়ে এবার ৫৫ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস।
তার সঙ্গে ৫৪ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার সাব্বির রহমান সাবির আলির বল পুল করে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় পারেননি সাব্বির। শূন্য রানে ধরা পড়েন সীমানায়।
এমনিতে ওপেনিংয়ে খেললেও লিটন দাস নেমেছেন তিনে। চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে শুরুটা দারুণ করেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আয়ান আফজাল খানকে ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে। ৮ বলে তিন চারে ১৩ রান করেন লিটন।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে জাওয়ার ফরিদকে তুলে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৪ বলে দুই চারে মিরাজ করেন ১২।
বিবর্ণ পাওয়ার প্লে হতে পারত আরও খারাপ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের মতো বিদায় নিতে পারতেন আফিফ হোসেনও। শুরুতেই একটা সুযোগ দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। বাউন্ডারিতে নাগালে থাকলেও ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার। এরপর থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানেন বাঁহাতি এই ব্যাটস্যান। জাওয়ার ফরিদকে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ৩৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন আফিফ, তার ক্যারিয়ারের তৃতীয়। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে সাত চার ও তিনটি ছক্কায় খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস।
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরা ইয়াসির আলি সুবিধা করতে পারেননি নিজের প্রথম ইনিংসে। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনের বলে ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। আফিফ হোসেনকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেনি মোসাদ্দেক হোসেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনকে বেরিয়ে এসে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন স্টাম্পড হয়ে।
ইনিংসের শেষ পর্যায়ে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পায় বাংলাদেশ। ৫৪ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে সাবির আলী ও আয়ার আফজাল খান ৩ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মায়িপান ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অন্য স্পিনার জাওয়ার ফারিদ ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। তুলে নেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ দল: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪, মোসাদ্দেক ৩, সোহান ৩৫*; জুনায়েদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)
রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বাকাপের আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে আরব আমিরাত সফর করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করেছে টপ অর্ডার। তবে আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৯ সালে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। এত দিন সেটাই ছিল তার সর্বোচ্চ। সেটা ছাড়িয়ে এবার ৫৫ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস।
তার সঙ্গে ৫৪ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার সাব্বির রহমান সাবির আলির বল পুল করে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় পারেননি সাব্বির। শূন্য রানে ধরা পড়েন সীমানায়।
এমনিতে ওপেনিংয়ে খেললেও লিটন দাস নেমেছেন তিনে। চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে শুরুটা দারুণ করেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আয়ান আফজাল খানকে ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে। ৮ বলে তিন চারে ১৩ রান করেন লিটন।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে জাওয়ার ফরিদকে তুলে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ১৪ বলে দুই চারে মিরাজ করেন ১২।
বিবর্ণ পাওয়ার প্লে হতে পারত আরও খারাপ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের মতো বিদায় নিতে পারতেন আফিফ হোসেনও। শুরুতেই একটা সুযোগ দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। বাউন্ডারিতে নাগালে থাকলেও ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার। এরপর থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানেন বাঁহাতি এই ব্যাটস্যান। জাওয়ার ফরিদকে চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ৩৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন আফিফ, তার ক্যারিয়ারের তৃতীয়। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে সাত চার ও তিনটি ছক্কায় খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস।
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরা ইয়াসির আলি সুবিধা করতে পারেননি নিজের প্রথম ইনিংসে। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনের বলে ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। আফিফ হোসেনকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেনি মোসাদ্দেক হোসেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মিয়াপ্পনকে বেরিয়ে এসে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন স্টাম্পড হয়ে।
ইনিংসের শেষ পর্যায়ে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পায় বাংলাদেশ। ৫৪ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নুরুল হাসান সোহানের অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে সাবির আলী ও আয়ার আফজাল খান ৩ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মায়িপান ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অন্য স্পিনার জাওয়ার ফারিদ ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। তুলে নেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ দল: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪, মোসাদ্দেক ৩, সোহান ৩৫*; জুনায়েদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)