ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগ
আলভারো মোরাতার শেষ দিকের গোলে স্পেন অন্যতম ফেবারিট পর্তুগালকে পরাজিত করে ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। ড্র করতে পারলেই পর্তুগাল উঠে যেত শেষ চারে। অর্থাৎ সুবিধাজনক জায়গায় থাকা সত্ত্বেও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
ফেবারিট হিসেবে শুরু করা পর্তুগাল ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি। অপরদিকে খেলার দুই মিনিট বাকি থাকতে দানি কারভাহলের দূর থেকে করা লব পেনাল্টি বক্সে নিকো উইলিয়ামসের হেডের মাধ্যমে পেয়ে যান মোরাতা এবং তিনি বল জালে পাঠিয়ে স্তব্ধ করে দেন মাঠে উপস্থিত পর্তুগীজ সমর্থকদের।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে স্পেন ১৯৩৪ সালের পর এই প্রথম পর্তুগালকে পরাজিত করতে সমর্থ হলো। সব ধরনের ফুটবলে পর্তুগালের বিপক্ষে ২০০৩ সালের পর এটা স্পেনের প্রথম জয়।
টায়ার এ’র ২ নম্বর গ্রুপের শীর্ষ স্থান লাভ করেছে স্পেন। ছয় ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। পর্তুগাল তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, ইটালি এবং নেদারল্যান্ডস নেশন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নেয়।
ম্যাচ শেষে মোরাতা বলেন, ‘ম্যাচটি ছিল বেশ কঠিন। তবে আমরা জয়ের জন্য ছিলাম মরিয়া। জেতার জন্য আমাদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে সব সময়ই আমরা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। আজ রাতে আরো একবার নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলাম।’
রোনালদোর পর্তুগালের জন্য এটা ছিল বেশ কষ্টের। কারণ তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল আদায় করতে পারেনি। তার পরেও শেষ চারে জায়গা করে নেয়া থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে ছিল পর্তুগাল।
স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন এ ম্যাচে বেশ কয়েকবার দলকে রক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ৩২ মিনিটে দিয়োগো জোতার শট তিনি অবিশ^াস্য দৃঢ়তায় রুখে দেন। এর ৫ মিনিট পর ফার্নান্দেজের শট লাগে সাইড নেটে। সমর্থকরা ভেবেছিলেন বল জালেই গেছে। আগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হারা স্পেনের খেলায় এমন কোন বৈচিত্র ছিল না যা দিয়ে তারা পর্তুগালকে হারিয়ে দেবে।
কিন্তু তার পরেও মাঝে মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে তারা চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এর মধ্যে ৭৬ মিনিটে মোরাতার দূর পাল্লার শট এক হাতে বাচিয়ে দেন দিয়োগো কস্টা।
রোনালদো চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সহখেলোয়াড়দের সাথে তার সমন্বয়টা খুব ভাল হয়নি। অন্যরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। যার খেসারত দিতে হয় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়ে। মোরাতা গোল করে হয়ে যান ম্যাচ জয়ের নায়ক।
পরাজিত হলেও পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস মনে করেন এতে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসে চিড় ধরবে না। তারা ফেবারিট হিসেবেই বিশ^কাপ খেলতে যাবে। বিশ^কাপে গ্রুপ পর্বে পর্তুগাল খেলবে ঘানা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে।
অপর দিকে স্পে বিশ^কাপে গ্রুপ পর্বে খেলবে কোস্টা রিকা, জার্মানি এবং জাপানের সাথে।
ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগ
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
আলভারো মোরাতার শেষ দিকের গোলে স্পেন অন্যতম ফেবারিট পর্তুগালকে পরাজিত করে ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। ড্র করতে পারলেই পর্তুগাল উঠে যেত শেষ চারে। অর্থাৎ সুবিধাজনক জায়গায় থাকা সত্ত্বেও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
ফেবারিট হিসেবে শুরু করা পর্তুগাল ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি। অপরদিকে খেলার দুই মিনিট বাকি থাকতে দানি কারভাহলের দূর থেকে করা লব পেনাল্টি বক্সে নিকো উইলিয়ামসের হেডের মাধ্যমে পেয়ে যান মোরাতা এবং তিনি বল জালে পাঠিয়ে স্তব্ধ করে দেন মাঠে উপস্থিত পর্তুগীজ সমর্থকদের।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে স্পেন ১৯৩৪ সালের পর এই প্রথম পর্তুগালকে পরাজিত করতে সমর্থ হলো। সব ধরনের ফুটবলে পর্তুগালের বিপক্ষে ২০০৩ সালের পর এটা স্পেনের প্রথম জয়।
টায়ার এ’র ২ নম্বর গ্রুপের শীর্ষ স্থান লাভ করেছে স্পেন। ছয় ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। পর্তুগাল তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, ইটালি এবং নেদারল্যান্ডস নেশন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নেয়।
ম্যাচ শেষে মোরাতা বলেন, ‘ম্যাচটি ছিল বেশ কঠিন। তবে আমরা জয়ের জন্য ছিলাম মরিয়া। জেতার জন্য আমাদের প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে সব সময়ই আমরা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। আজ রাতে আরো একবার নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিলাম।’
রোনালদোর পর্তুগালের জন্য এটা ছিল বেশ কষ্টের। কারণ তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল আদায় করতে পারেনি। তার পরেও শেষ চারে জায়গা করে নেয়া থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে ছিল পর্তুগাল।
স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন এ ম্যাচে বেশ কয়েকবার দলকে রক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ৩২ মিনিটে দিয়োগো জোতার শট তিনি অবিশ^াস্য দৃঢ়তায় রুখে দেন। এর ৫ মিনিট পর ফার্নান্দেজের শট লাগে সাইড নেটে। সমর্থকরা ভেবেছিলেন বল জালেই গেছে। আগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হারা স্পেনের খেলায় এমন কোন বৈচিত্র ছিল না যা দিয়ে তারা পর্তুগালকে হারিয়ে দেবে।
কিন্তু তার পরেও মাঝে মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে তারা চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এর মধ্যে ৭৬ মিনিটে মোরাতার দূর পাল্লার শট এক হাতে বাচিয়ে দেন দিয়োগো কস্টা।
রোনালদো চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সহখেলোয়াড়দের সাথে তার সমন্বয়টা খুব ভাল হয়নি। অন্যরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। যার খেসারত দিতে হয় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়ে। মোরাতা গোল করে হয়ে যান ম্যাচ জয়ের নায়ক।
পরাজিত হলেও পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস মনে করেন এতে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসে চিড় ধরবে না। তারা ফেবারিট হিসেবেই বিশ^কাপ খেলতে যাবে। বিশ^কাপে গ্রুপ পর্বে পর্তুগাল খেলবে ঘানা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং উরুগুয়ের বিপক্ষে।
অপর দিকে স্পে বিশ^কাপে গ্রুপ পর্বে খেলবে কোস্টা রিকা, জার্মানি এবং জাপানের সাথে।