ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাতারি মালিক নাসের আল খেলাইফি নিয়মিতই ফুটবলারদের নিয়ে মিডিয়ায় নানা কথা বলে আলোচনায় থাকেন। সেই খেলাইফির বিরুদ্ধে এবার উঠল ভয়ংকর অভিযোগ। এক লোককে প্রায় ১০ মাস আটকে রেখেছিলেন খেলাইফি। তার বিষয়ে কিছু গোপন তথ্য জানা ছিল সেই লোকের। ফাঁস করে দিতে পারেন, এই শঙ্কা থেকেই সেই লোককে নাকি গোপন একটি জায়গায় আটকে রেখেছিলেন খেলাইফি।
সেই লোক খেলাইফির বিষয়ে গোপন সব নথিপত্র তার আইনজীবীর কাছে হস্তান্তরের পর তাকে ছাড়া হয়। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লিবারেশন’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কাতার রাজপরিবারের কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠভাজন খেলাইফি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত। পিএসজির মালিকপ্রতিষ্ঠান কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের (কিউএসআই) চেয়ারম্যানও খেলাইফি। এই প্রতিষ্ঠানের আসল মালিক কাতারের অর্থ মন্ত্রণালয় বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সহযোগী সম্পাদক উনা গালানি।
‘অপহরণের’ শিকার ব্যক্তির নাম তায়েব বি। তিনিও একজন ব্যবসায়ী। তাকে অপরহরণের কারণ হিসেবে ‘লিবারেশন’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারকে বেছে নেওয়ার পেছনে ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির পেছনে মূল কারিগর ছিলেন খেলাইফি। এর প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল তায়েব বি নামের ওই ব্যক্তির কাছে। এ কারণেই নাকি খেলাইফি তাকে অপহরণ করেন।
খেলাইফির ভয় ছিল, তায়েব সেই নথিগুলো ফাঁস করে দিতে পারেন। তাই ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি তায়েবকে অপহরণ করে একটি গোপন স্থানে ১০ মাস আটকে রাখা হয়। নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে সেইসব কাগজপত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন খেলাইফি। গোপন চুক্তির মাধ্যমে এই নথি হস্তান্তর করা হয়। এরপর ওই বছরের ১ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয় তায়েবকে। ৪১ বছর বয়সী তায়েব বি তার স্ত্রী–সন্তান নিয়ে কাতারেই বসবাস করতেন।
এ বিষয়ে এখনো খেলাইফির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পিএসজি সভাপতিকে ঘিরে এমন অভিযোগ কাতার বিশ্বকাপের বর্ণিল আয়োজনে একটু হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রতিবাদ জানানোর ঘোষণা দিয়েছে ডেনিশ ফুটবল। বিশ্বকাপে মাঠেই প্রতিবাদ জানাবে ডেনমার্ক।
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাতারি মালিক নাসের আল খেলাইফি নিয়মিতই ফুটবলারদের নিয়ে মিডিয়ায় নানা কথা বলে আলোচনায় থাকেন। সেই খেলাইফির বিরুদ্ধে এবার উঠল ভয়ংকর অভিযোগ। এক লোককে প্রায় ১০ মাস আটকে রেখেছিলেন খেলাইফি। তার বিষয়ে কিছু গোপন তথ্য জানা ছিল সেই লোকের। ফাঁস করে দিতে পারেন, এই শঙ্কা থেকেই সেই লোককে নাকি গোপন একটি জায়গায় আটকে রেখেছিলেন খেলাইফি।
সেই লোক খেলাইফির বিষয়ে গোপন সব নথিপত্র তার আইনজীবীর কাছে হস্তান্তরের পর তাকে ছাড়া হয়। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লিবারেশন’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কাতার রাজপরিবারের কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠভাজন খেলাইফি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত। পিএসজির মালিকপ্রতিষ্ঠান কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের (কিউএসআই) চেয়ারম্যানও খেলাইফি। এই প্রতিষ্ঠানের আসল মালিক কাতারের অর্থ মন্ত্রণালয় বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সহযোগী সম্পাদক উনা গালানি।
‘অপহরণের’ শিকার ব্যক্তির নাম তায়েব বি। তিনিও একজন ব্যবসায়ী। তাকে অপরহরণের কারণ হিসেবে ‘লিবারেশন’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারকে বেছে নেওয়ার পেছনে ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির পেছনে মূল কারিগর ছিলেন খেলাইফি। এর প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল তায়েব বি নামের ওই ব্যক্তির কাছে। এ কারণেই নাকি খেলাইফি তাকে অপহরণ করেন।
খেলাইফির ভয় ছিল, তায়েব সেই নথিগুলো ফাঁস করে দিতে পারেন। তাই ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি তায়েবকে অপহরণ করে একটি গোপন স্থানে ১০ মাস আটকে রাখা হয়। নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে সেইসব কাগজপত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন খেলাইফি। গোপন চুক্তির মাধ্যমে এই নথি হস্তান্তর করা হয়। এরপর ওই বছরের ১ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয় তায়েবকে। ৪১ বছর বয়সী তায়েব বি তার স্ত্রী–সন্তান নিয়ে কাতারেই বসবাস করতেন।
এ বিষয়ে এখনো খেলাইফির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পিএসজি সভাপতিকে ঘিরে এমন অভিযোগ কাতার বিশ্বকাপের বর্ণিল আয়োজনে একটু হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে প্রতিবাদ জানানোর ঘোষণা দিয়েছে ডেনিশ ফুটবল। বিশ্বকাপে মাঠেই প্রতিবাদ জানাবে ডেনমার্ক।