ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
আর্লিং হাল্যান্ড এবং ফিল ফোডেনের হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টার সিটি রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শহরের অপর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে। বলা যায় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানইউকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি।
ম্যানসিটির দ্রুত গতির পাস এবং আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে অসহায় হয়ে যায় ম্যানইউর খেলোয়াড়রা। তাছাড়া ম্যানসিটির দুই খেলোয়াড় হাল্যান্ড এবং ফোডেনের দ্রুত জায়গা পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে পারেনি ম্যানইউ।
এবারই ম্যানসিটিতে যোগ দেয়া হাল্যান্ড খেলছেন অবিশ^াস্য ফুটবল। লিগে আট ম্যাচ খেলে তিনি হ্যাটট্রিকই করেছেন তিনটি। অপর দিকে ফোডেন লিগে করেন তার প্রথম হ্যাটট্রিক।
লিগের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাড়িয়েছিলে ম্যানইউ। পরের চার ম্যাচ জিতে আভাস দিয়েছিল শিরোপার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার। কিন্তু প্রতিবেশী ম্যানসিটি রবিবার তাদেরকে অতি সাধারণ মানের একটি দলে পরিনত করে দেয়। ম্যানসিটির কোন খেলোয়াড় ১৯৭০ সালের পর এ ম্যাচের আগ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করতে পারেনি ম্যানইউর বিপক্ষে। আর এক ম্যাচেই দুজন করে হ্যাটট্রিক। যা অনেকটাই অবিশ^াস্য। ম্যাচ শেষে হাল্যান্ড বলেন, ‘আমরা ছয়টি গোল করেছি। আমি বলব এটা অসাধারণ। নিজেদের মাঠে ছয় গোল করা এবং ম্যাচে জয়ী হওয়া সত্যিই দারুন ব্যাপার।’
ফোডেন প্রথম গোলটি করেন আট মিনিটে। বের্নার্দো সিলভার নিচু ক্রসে পা লাগিয়ে এগিয়ে দেন ফোডেন। ৩৪ মিনিটে হাল্যান্ড করেন তার প্রথম গোল। এর তিন মিনিট পরই করেন তার দ্বিতীয় গোল। বিরতির আগেই গোলের হালি পূর্ণ করেন ফোডেন। প্রথমার্ধে চার গোলে এগিয়ে যাওয়ায় বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যানসিটির।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যান্টনি একটি গোল পরিশোধ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার আভাস দেয় ম্যানইউ। কিন্তু ৬৪ মিনিটে হাল্যান্ড হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ম্যানইউর ক্ষীণ আশাও শেষ করে দেন। সব ধরনের ফুটবল মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এটা ছিল তার ১৭তম গোল। ৭৩ মিনিটে ফোডেনও তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
শেষ দিকে অ্যান্থনি মার্শিয়াল দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যানইউর সম্মান কিছুটা রক্ষা করতে সমর্থ হন। ম্যানইউর কোচ টেন হাখ স্বীকার করেছেন যে তার দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসের ঘাটতির কারণেই এমনভাবে হারতে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই সাধারণ, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসের অভাব। যখন মাঠে নিজের উপর আস্থা থাকবে না তখন ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়। আজকের বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
সোমবার, ০৩ অক্টোবর ২০২২
আর্লিং হাল্যান্ড এবং ফিল ফোডেনের হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টার সিটি রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শহরের অপর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে। বলা যায় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানইউকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি।
ম্যানসিটির দ্রুত গতির পাস এবং আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে অসহায় হয়ে যায় ম্যানইউর খেলোয়াড়রা। তাছাড়া ম্যানসিটির দুই খেলোয়াড় হাল্যান্ড এবং ফোডেনের দ্রুত জায়গা পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে পারেনি ম্যানইউ।
এবারই ম্যানসিটিতে যোগ দেয়া হাল্যান্ড খেলছেন অবিশ^াস্য ফুটবল। লিগে আট ম্যাচ খেলে তিনি হ্যাটট্রিকই করেছেন তিনটি। অপর দিকে ফোডেন লিগে করেন তার প্রথম হ্যাটট্রিক।
লিগের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাড়িয়েছিলে ম্যানইউ। পরের চার ম্যাচ জিতে আভাস দিয়েছিল শিরোপার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার। কিন্তু প্রতিবেশী ম্যানসিটি রবিবার তাদেরকে অতি সাধারণ মানের একটি দলে পরিনত করে দেয়। ম্যানসিটির কোন খেলোয়াড় ১৯৭০ সালের পর এ ম্যাচের আগ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করতে পারেনি ম্যানইউর বিপক্ষে। আর এক ম্যাচেই দুজন করে হ্যাটট্রিক। যা অনেকটাই অবিশ^াস্য। ম্যাচ শেষে হাল্যান্ড বলেন, ‘আমরা ছয়টি গোল করেছি। আমি বলব এটা অসাধারণ। নিজেদের মাঠে ছয় গোল করা এবং ম্যাচে জয়ী হওয়া সত্যিই দারুন ব্যাপার।’
ফোডেন প্রথম গোলটি করেন আট মিনিটে। বের্নার্দো সিলভার নিচু ক্রসে পা লাগিয়ে এগিয়ে দেন ফোডেন। ৩৪ মিনিটে হাল্যান্ড করেন তার প্রথম গোল। এর তিন মিনিট পরই করেন তার দ্বিতীয় গোল। বিরতির আগেই গোলের হালি পূর্ণ করেন ফোডেন। প্রথমার্ধে চার গোলে এগিয়ে যাওয়ায় বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যানসিটির।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যান্টনি একটি গোল পরিশোধ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার আভাস দেয় ম্যানইউ। কিন্তু ৬৪ মিনিটে হাল্যান্ড হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ম্যানইউর ক্ষীণ আশাও শেষ করে দেন। সব ধরনের ফুটবল মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এটা ছিল তার ১৭তম গোল। ৭৩ মিনিটে ফোডেনও তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
শেষ দিকে অ্যান্থনি মার্শিয়াল দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যানইউর সম্মান কিছুটা রক্ষা করতে সমর্থ হন। ম্যানইউর কোচ টেন হাখ স্বীকার করেছেন যে তার দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসের ঘাটতির কারণেই এমনভাবে হারতে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই সাধারণ, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসের অভাব। যখন মাঠে নিজের উপর আস্থা থাকবে না তখন ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়। আজকের বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়।’