লজ্জার হারে অষ্টম টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। দ্বিতীয সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে রোহিত শর্মার দল। পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের বোলার ও ব্যাটারদের অসহায় ছিল ভারতীয় দলটি। ভারতের ইনিংসে শেষ দিকে হার্ডিক পান্ডিয়ার ঝড়ে দিশেহারা হয়নি ইংল্যান্ড। পান্ডিয়ার ঝড়ে ১৬৮ রানের লড়াই করার মত পুঁজি এলেও সেটিকে হাতের মোয়া বানিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৯ রান তুলে ফেলেন বাটলার ও হেলস।
ভারতের এমন লজ্জার হারে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটার। ভারতের হারে কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা দিতে ভুল করেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া ভারতীয় দলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। স্টার স্পোর্টসে এক অনুষ্ঠানে গাভাস্কার বলেন, ‘ফাইনাল খেলার কোন ইচ্ছা ছিল না ভারতের। এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ, সেটি হয়তো ভুলে গিয়েছিল রোহিত ও দ্রাবিড়রা।’
ভারতের এই দলে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক মৌসুমেই আইপিএলের ট্রফি জিতেছে হার্দিক পান্ডিয়া। আমি চাই ভারতীয় নির্বাচকরা ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে এখন থেকেই পান্ডিয়াকে ভাবুক। পান্ডিয়া আক্রমনাত্মক ও বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। এই দলের বাইরে অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা টি-২০তে অনেক ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে।’
ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হারের পরই টুইট করেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিড স্টার শোয়েব আকতার। তিনি লিখেন, ‘একটাও আউট করতে পারলি না ভাই?’
পরে নিজের ইউটিউবে একটি ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, ‘ভারতের এই দলের ফাইনাল খেলার যোগ্যতাই নেই। ইংল্যান্ড ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারেই হার মেনে নেয় ভারত। ভারতের বোলিংয়ের দুর্দশা আবারও ভালোভাবে ফুটে উঠলো। এই ধরনের পরিবেশে দ্রুত গতির পেসার দরকার হয়। ভারতীয় দলে এক জনও দ্রুত গতির বোলার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন মাপকাঠিতে ভারতের এই টিম সাজানো হল, আমি বুঝতে পারছি না। আমরা মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের আশায় ছিলাম, এবার সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।’
গাভাস্কারের মত ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়াকে দেখতে চান শোয়েব, ‘আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতের অধিনায়ক পান্ডিয়া। টি-২০ ক্রিকেটে তাকে স্থায়ীভাবে অধিনায়ক করা উচিত।’
ভারতের হারে টুইট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। পাক প্রধানমন্ত্রীর টুইটটি ছিল এমন, ‘তাহলে এই রোববার ১৫২/০ বনাম ১৭০/০ দলের ফাইনাল হবে।’
টুইটে পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা, এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ট্যাগও ব্যবহার করেছেন শেহবাজ।
শেহবাজের ঐ টুইটের পর অনেক পাকিস্তানিই পাল্টা কমেন্ট করেন। অনেকেই বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন্যূনতম ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত তার।’
ভারতের সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেন। তিনি বলেন, ‘দুজন খেলোয়াড়ের ফর্ম নিয়ে বিশ^ মঞ্চে ভালো করা যায় না। কোহলি-পান্ডিয়া ছাড়া ভারতের কেউই ফর্মে নেই। সেমিফাইনালে সেটি আবারও প্রমান হলো। সেমির ম্যাচ জয়ের কোন ইচ্ছা-আকাঙ্খাই দেখা গেল না ভারতের অন্য ক্রিকেটাদের মধ্যে।’
সমালোচনার মাঝেও ভারতের মাস্টার ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারকে পাশে পেয়েছেন রোহিত-কোহলিরা। এক টুইটে টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘একটি মুদ্রার দু’টি দিক আছে। জীবনও তাই। আমরা যদি আমাদের দলের সাফল্যকে আমাদের জয় হিসাবে উদযাপন করি, তবে আমাদের দলের পরাজয়কেও মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকা উচিত।’
টেন্ডুলকারের এমন টুইটের সমালোচনাও করেছেন ভারতীয়রা। তারা বলছেন, ১০ উইকেটে হার কিভাবে মেনে নেয়া যায় লিটল মাস্টার?
শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
লজ্জার হারে অষ্টম টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। দ্বিতীয সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে রোহিত শর্মার দল। পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের বোলার ও ব্যাটারদের অসহায় ছিল ভারতীয় দলটি। ভারতের ইনিংসে শেষ দিকে হার্ডিক পান্ডিয়ার ঝড়ে দিশেহারা হয়নি ইংল্যান্ড। পান্ডিয়ার ঝড়ে ১৬৮ রানের লড়াই করার মত পুঁজি এলেও সেটিকে হাতের মোয়া বানিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৯ রান তুলে ফেলেন বাটলার ও হেলস।
ভারতের এমন লজ্জার হারে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটার। ভারতের হারে কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা দিতে ভুল করেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া ভারতীয় দলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার। স্টার স্পোর্টসে এক অনুষ্ঠানে গাভাস্কার বলেন, ‘ফাইনাল খেলার কোন ইচ্ছা ছিল না ভারতের। এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ, সেটি হয়তো ভুলে গিয়েছিল রোহিত ও দ্রাবিড়রা।’
ভারতের এই দলে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক মৌসুমেই আইপিএলের ট্রফি জিতেছে হার্দিক পান্ডিয়া। আমি চাই ভারতীয় নির্বাচকরা ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে এখন থেকেই পান্ডিয়াকে ভাবুক। পান্ডিয়া আক্রমনাত্মক ও বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। এই দলের বাইরে অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা টি-২০তে অনেক ভালো খেলার সামর্থ্য রাখে।’
ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হারের পরই টুইট করেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিড স্টার শোয়েব আকতার। তিনি লিখেন, ‘একটাও আউট করতে পারলি না ভাই?’
পরে নিজের ইউটিউবে একটি ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, ‘ভারতের এই দলের ফাইনাল খেলার যোগ্যতাই নেই। ইংল্যান্ড ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারেই হার মেনে নেয় ভারত। ভারতের বোলিংয়ের দুর্দশা আবারও ভালোভাবে ফুটে উঠলো। এই ধরনের পরিবেশে দ্রুত গতির পেসার দরকার হয়। ভারতীয় দলে এক জনও দ্রুত গতির বোলার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন মাপকাঠিতে ভারতের এই টিম সাজানো হল, আমি বুঝতে পারছি না। আমরা মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের আশায় ছিলাম, এবার সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।’
গাভাস্কারের মত ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়াকে দেখতে চান শোয়েব, ‘আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতের অধিনায়ক পান্ডিয়া। টি-২০ ক্রিকেটে তাকে স্থায়ীভাবে অধিনায়ক করা উচিত।’
ভারতের হারে টুইট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। পাক প্রধানমন্ত্রীর টুইটটি ছিল এমন, ‘তাহলে এই রোববার ১৫২/০ বনাম ১৭০/০ দলের ফাইনাল হবে।’
টুইটে পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা, এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ট্যাগও ব্যবহার করেছেন শেহবাজ।
শেহবাজের ঐ টুইটের পর অনেক পাকিস্তানিই পাল্টা কমেন্ট করেন। অনেকেই বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন্যূনতম ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত তার।’
ভারতের সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেন। তিনি বলেন, ‘দুজন খেলোয়াড়ের ফর্ম নিয়ে বিশ^ মঞ্চে ভালো করা যায় না। কোহলি-পান্ডিয়া ছাড়া ভারতের কেউই ফর্মে নেই। সেমিফাইনালে সেটি আবারও প্রমান হলো। সেমির ম্যাচ জয়ের কোন ইচ্ছা-আকাঙ্খাই দেখা গেল না ভারতের অন্য ক্রিকেটাদের মধ্যে।’
সমালোচনার মাঝেও ভারতের মাস্টার ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারকে পাশে পেয়েছেন রোহিত-কোহলিরা। এক টুইটে টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘একটি মুদ্রার দু’টি দিক আছে। জীবনও তাই। আমরা যদি আমাদের দলের সাফল্যকে আমাদের জয় হিসাবে উদযাপন করি, তবে আমাদের দলের পরাজয়কেও মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকা উচিত।’
টেন্ডুলকারের এমন টুইটের সমালোচনাও করেছেন ভারতীয়রা। তারা বলছেন, ১০ উইকেটে হার কিভাবে মেনে নেয়া যায় লিটল মাস্টার?