সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ফেবারিট আর্জেন্টিনা। পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া সুপারস্টার লিওনের মেসির উপরই থাকবে ম্যাচের সব স্পটলাইট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসিও সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ মাথায় নিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবারের বিশ্ব আসরের শিরোপা হাতে তোলার অপেক্ষায় আছেন। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে বিকাল ৪ টায়।
আর্জেন্টিরার কোচ স্কালোনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মেসিকে কী পরিমাণ চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হয় শুধু আমরা জানি। ও প্রাকটিস করলে খবর। না করলে খবর। জোরে দৌড়লে খবর। আস্তে দৌড়ালে খবর। এরকম চাপ নিয়েও ভীষণ ঠা-া মাথায় সব কিছু ম্যানেজ করে। আমাদের দলে সবার প্রিয়। আদর্শ নেতা।’ স্কালোনি বলেন, ‘ভাববেন না, বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমাদের দল শুধুই মেসি-নির্ভর। দলের প্রতিটি পজিশনে ফুটবলার তৈরি রয়েছে।’
বিশ্বকাপ জেতার জন্য এটাই শেষ সুযোগ মেসির। এবার না পারলে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পরেও পাবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসি আর পাবেন না। ৩৫ বছরের মেসির এটাই শেষ সুযোগ। আর তাই দলের সেরা তারকাকে একদম তুলোয় মুডে রাখছেন স্কালোনি।
২০১৯ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার জয়ের পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে কাতারে খেলতে এসেছে আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের কোন ম্যাচ হারেনি স্কালোনির দল। সব প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচটি ম্যাচে তারা জয়ী হয়েছে। এই পাঁচ ম্যাচে কোন গোলও হজম করেনি। বিপরীতে প্রতি ম্যাচে অন্তত তিনটি গোলসহ সর্বমোট ১৬ গোল দিয়েছে।
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ১৬’ থেকে বিদায় নিয়ে যতটা না হতাশা রয়েছে তার থেকে বেশি হতাশা রয়েছে টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে। অথচ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল আর্জেন্টিনা। জার্মানির কাছে অবশ্য ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ শিরোপা নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কাতারে তাই গ্রুপ-‘সি’র সেরা দল হিসেবে পোল্যান্ড, মেক্সিকো ও সৌদি আরবের উপরে থেকেই প্রথম পর্ব শেষ করতে চায় স্কালোনির দল।
এদিকে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ শুরু করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু ৫-০ গোলের পরাজয়ের দুঃসহ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে এবার প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভালো ম্যাচ উপহার দিতে চায় অ্যারাবিয়ান ফ্যালকনসরা। যদিও র্যাঙ্কিং কিংবা শক্তিমত্তা বিচারে আর্জেন্টিনা তাদের থেকে অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে।
গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে সৌদি আরবের বিদায় প্রত্যাশিতই ছিল, এবারও অবশ্য তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ডাচ কোচ হার্ভে রেনার্ডের দলের এবার মূল লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়া। ১৯৯৪ সালে সৌদি আরব শেষ ১৬’ থেকে বিদায় নিয়েছিল। বিশ্বকাপের এটাই এ পর্যন্ত দলটির সেরা সাফল্য। যদিও বিশ্বের ৫১তম র্যাঙ্কধারী দলটি সেরা ফর্মে থেকে কাতারে আসেনি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১০ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পানামার সাথে ১-১ গোলে ড্র করলেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে গেছে ১-০ গোলে। যদিও কাতারের পরিবেশ কিংবা আবহাওয়ায় খেলতে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে সৌদি আরব।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে এর আগে কখনই আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব মুখোমুখি হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত এশিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চারটি ম্যাচের দু’টিতে জয় ও দু’টিতে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। ২০১২ সালে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছিল।
এ দিকে, গত শনিবার দলের বাইরে গিয়ে একা অনুশীলন করেছেন তারকা মেসি। যদিও সে কোন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন না বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। মার্টিনেজ ও পালাসিওসও ইনডোর অনুশীলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। তবে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচের আগেই তারা ফিট হয়ে উঠবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। ইনজুরির কারণে ইতোমধ্যেই দল থেকে ছিটকে গেছেন ফরোয়ার্ড জোয়াকুইন কোরেয়া। তার স্থানে শেষ মুহূর্তে দলে এসেছেন থিয়াগো আলমাডা।
আক্রমণভাগে লিওনেল মেসির সঙ্গে দেখা যাবে লটারো মার্টিনেজ ও ডি মারিয়াকে। রক্ষনভাগের নেতৃত্বে থাকবেন রোমেরো ও ওটামেন্ডি।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ফেবারিট আর্জেন্টিনা। পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া সুপারস্টার লিওনের মেসির উপরই থাকবে ম্যাচের সব স্পটলাইট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসিও সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ মাথায় নিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবারের বিশ্ব আসরের শিরোপা হাতে তোলার অপেক্ষায় আছেন। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে বিকাল ৪ টায়।
আর্জেন্টিরার কোচ স্কালোনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মেসিকে কী পরিমাণ চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হয় শুধু আমরা জানি। ও প্রাকটিস করলে খবর। না করলে খবর। জোরে দৌড়লে খবর। আস্তে দৌড়ালে খবর। এরকম চাপ নিয়েও ভীষণ ঠা-া মাথায় সব কিছু ম্যানেজ করে। আমাদের দলে সবার প্রিয়। আদর্শ নেতা।’ স্কালোনি বলেন, ‘ভাববেন না, বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমাদের দল শুধুই মেসি-নির্ভর। দলের প্রতিটি পজিশনে ফুটবলার তৈরি রয়েছে।’
বিশ্বকাপ জেতার জন্য এটাই শেষ সুযোগ মেসির। এবার না পারলে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পরেও পাবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসি আর পাবেন না। ৩৫ বছরের মেসির এটাই শেষ সুযোগ। আর তাই দলের সেরা তারকাকে একদম তুলোয় মুডে রাখছেন স্কালোনি।
২০১৯ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার জয়ের পর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে কাতারে খেলতে এসেছে আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের কোন ম্যাচ হারেনি স্কালোনির দল। সব প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচটি ম্যাচে তারা জয়ী হয়েছে। এই পাঁচ ম্যাচে কোন গোলও হজম করেনি। বিপরীতে প্রতি ম্যাচে অন্তত তিনটি গোলসহ সর্বমোট ১৬ গোল দিয়েছে।
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ১৬’ থেকে বিদায় নিয়ে যতটা না হতাশা রয়েছে তার থেকে বেশি হতাশা রয়েছে টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে। অথচ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল আর্জেন্টিনা। জার্মানির কাছে অবশ্য ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ শিরোপা নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কাতারে তাই গ্রুপ-‘সি’র সেরা দল হিসেবে পোল্যান্ড, মেক্সিকো ও সৌদি আরবের উপরে থেকেই প্রথম পর্ব শেষ করতে চায় স্কালোনির দল।
এদিকে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ শুরু করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু ৫-০ গোলের পরাজয়ের দুঃসহ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে এবার প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভালো ম্যাচ উপহার দিতে চায় অ্যারাবিয়ান ফ্যালকনসরা। যদিও র্যাঙ্কিং কিংবা শক্তিমত্তা বিচারে আর্জেন্টিনা তাদের থেকে অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে।
গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে সৌদি আরবের বিদায় প্রত্যাশিতই ছিল, এবারও অবশ্য তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ডাচ কোচ হার্ভে রেনার্ডের দলের এবার মূল লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়া। ১৯৯৪ সালে সৌদি আরব শেষ ১৬’ থেকে বিদায় নিয়েছিল। বিশ্বকাপের এটাই এ পর্যন্ত দলটির সেরা সাফল্য। যদিও বিশ্বের ৫১তম র্যাঙ্কধারী দলটি সেরা ফর্মে থেকে কাতারে আসেনি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১০ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পানামার সাথে ১-১ গোলে ড্র করলেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে গেছে ১-০ গোলে। যদিও কাতারের পরিবেশ কিংবা আবহাওয়ায় খেলতে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে সৌদি আরব।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে এর আগে কখনই আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব মুখোমুখি হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত এশিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চারটি ম্যাচের দু’টিতে জয় ও দু’টিতে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। ২০১২ সালে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছিল।
এ দিকে, গত শনিবার দলের বাইরে গিয়ে একা অনুশীলন করেছেন তারকা মেসি। যদিও সে কোন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন না বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। মার্টিনেজ ও পালাসিওসও ইনডোর অনুশীলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। তবে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচের আগেই তারা ফিট হয়ে উঠবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। ইনজুরির কারণে ইতোমধ্যেই দল থেকে ছিটকে গেছেন ফরোয়ার্ড জোয়াকুইন কোরেয়া। তার স্থানে শেষ মুহূর্তে দলে এসেছেন থিয়াগো আলমাডা।
আক্রমণভাগে লিওনেল মেসির সঙ্গে দেখা যাবে লটারো মার্টিনেজ ও ডি মারিয়াকে। রক্ষনভাগের নেতৃত্বে থাকবেন রোমেরো ও ওটামেন্ডি।