কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
টপ ফেবারিট ব্রাজিল দারুন এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে। রাতে অনুষ্ঠিত জি গ্রুপের ম্যাচে ব্রাজিল ২-০ গোলে পরাজিত করেছে সার্বিয়াকে। প্রথমার্ধ খুব একটা ভাল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফেবারিটদের মতো খেলে জয় করায়াত্ব করে। ব্রাজিল ম্যাচে প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করলেও দুটির বেশী গোল করতে পারেনি। এছাড়া দুইবার পোস্ট বাধা হয়ে দাড়ায়। ব্রাজিলের গোল সংখ্যা বেশী না হওয়ার পেছনে বিশেষ অবদান ছিল সার্বিয়ার গোলরক্ষক মিলিনকোভিচ স্যাভিচের। বেশ কয়েকবার তিনি দারুন দক্ষতায় দলকে গোল খাওয়া থেকে বাচিয়েছেন।
এ ম্যাচ জেতায় ব্রাজিল জি গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে। তাদের সমান তিন পয়েন্ট অর্জণ করেছে সুইজারল্যান্ড। তারা ১-০ গোলে পরাজিত কেেছ ক্যামেরুনকে। আর্জেন্টিনা এবং জার্মানি তাদের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় সমর্থকদের মনে শঙ্কা ছিল ব্রাজিলকে নিয়েও। কিন্তু খেলোয়াড়রা দারুন খেলে জয়ী হয়েছে।
ব্রাজিল ম্যাচ শুরু করে বেশ সতর্কতার সাথে। তারা বেশ ভালভাবেই জানতো যে সার্বিয়ার সক্ষমতা আছে অঘটন ঘটিয়ে দেয়ার। বিশেষ করে তাদের খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং গতি ভয়ের কারণ হতে পারে। তাছাড়া ব্রাজিলের এবারের বড় দুর্বলতা রক্ষণভাগই। তাই তাদের বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে। সার্বিয়াও নিজেদের দুর্গ অক্ষত রেখে আক্রমনে উঠেছে। অবশ্য ব্রাজিল বল দখলের হিসেবে এগিয়ে থাকে শুরু থেকেই। ২৭ মিনিটের সময় ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি শট মারার আগেই গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়ে সেটি রুখে দেন। খেলা আধ ঘন্টা হওয়ার পর ব্রাজিল বেশ চেপে ধরে সার্বিয়াকে। ৩৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন রাফিনিয়া। তিনি শটও মেরেছিলেন, কিন্তু তাতে গতি না থাকায় গোলরক্ষক সাভিচ সহজেই ধরে নেন। খেলার ৪০ মিনিটে দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু তিনি ঠিকমতো শট মারতে না পারায় সুযোগের অপচয় ঘটে। পারফরমেন্সের হিসেবে ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও কোন গোল করতে না পারায় বিরতি পর্যন্ত ম্যাচে সমতা বিরাজ করে। প্রথমার্ধে ব্রাজিল তাদের পরিচিত ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি। সার্বিয়া চেষ্টা করেছে তাদের খেলায় বাধা সৃষ্টি করতে এবং তাতে প্রথম ৪৫ মিনিট বেশ ভালভাবেই সফল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুন্দর একটি সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি তার কাছেই বল তুলে দেন। তবে এ অর্ধের শুরু থেকেই ব্রাজিলকে গোলের জন্য অনেক বেশী চেষ্টা করতে দেখা যায়। যে কারণে বল প্রায়ই থাকে সার্বিয়ার সীমানায়। ৫৫ মিনিটে নেইমার গোলমুখে ভলি মারেন। কিন্তু বল ঠিকমতো মারতে না পারায় সেটি বাইরে গেলে সুযোগ নষ্ট হয়। ৫৯ মিনিটে অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ব্রাজিল অবশেষে সফল হয় ৬২ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে সেটি ট্যাপ করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন রিশার্লিসন। এ গোলের আগ পর্যন্ত রিচার্লিসন তেমন ভাল কিছু করতে পারেননি। তবে সময়মতো তিনি কাজের কাজটি করে দিয়েছেন। এ গোলের পর ব্রাজিল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ৬৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু ভিনিসিয়ুস গোলরক্ষককে একা পেয়েও ঠিক মতো শট মারতে ব্যর্থ হন। ৭০ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ব্রাজিলের গোলমুখে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। মার্কিনিয়োস হেডে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ৭৩ মিনিটে ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল করে। এটিও করেন রিশার্লিসন। গোলটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। ভিনিসিয়ুসের ক্রস নিয়ন্ত্রনে নিতে গেলে বল একটু উপরে উঠে যায় রিচার্লিসন তখন ঘুরে বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটা সেরা গোল। ব্রাজিল তাদের আক্রমণের ধারা বজায় রেখে একেবারে চেপে ধরে সার্বিয়াকে। ৮১ মিনিটে ক্রসবার গোল বঞ্চিত করে ক্যাসেমিরোকে। পরের মিনিটে ফ্রেডের শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। তবে ব্রাজিল গোল বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে শেষ বাশি বাজার আগ পর্যন্ত।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
টপ ফেবারিট ব্রাজিল দারুন এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে। রাতে অনুষ্ঠিত জি গ্রুপের ম্যাচে ব্রাজিল ২-০ গোলে পরাজিত করেছে সার্বিয়াকে। প্রথমার্ধ খুব একটা ভাল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফেবারিটদের মতো খেলে জয় করায়াত্ব করে। ব্রাজিল ম্যাচে প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করলেও দুটির বেশী গোল করতে পারেনি। এছাড়া দুইবার পোস্ট বাধা হয়ে দাড়ায়। ব্রাজিলের গোল সংখ্যা বেশী না হওয়ার পেছনে বিশেষ অবদান ছিল সার্বিয়ার গোলরক্ষক মিলিনকোভিচ স্যাভিচের। বেশ কয়েকবার তিনি দারুন দক্ষতায় দলকে গোল খাওয়া থেকে বাচিয়েছেন।
এ ম্যাচ জেতায় ব্রাজিল জি গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে। তাদের সমান তিন পয়েন্ট অর্জণ করেছে সুইজারল্যান্ড। তারা ১-০ গোলে পরাজিত কেেছ ক্যামেরুনকে। আর্জেন্টিনা এবং জার্মানি তাদের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় সমর্থকদের মনে শঙ্কা ছিল ব্রাজিলকে নিয়েও। কিন্তু খেলোয়াড়রা দারুন খেলে জয়ী হয়েছে।
ব্রাজিল ম্যাচ শুরু করে বেশ সতর্কতার সাথে। তারা বেশ ভালভাবেই জানতো যে সার্বিয়ার সক্ষমতা আছে অঘটন ঘটিয়ে দেয়ার। বিশেষ করে তাদের খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং গতি ভয়ের কারণ হতে পারে। তাছাড়া ব্রাজিলের এবারের বড় দুর্বলতা রক্ষণভাগই। তাই তাদের বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে। সার্বিয়াও নিজেদের দুর্গ অক্ষত রেখে আক্রমনে উঠেছে। অবশ্য ব্রাজিল বল দখলের হিসেবে এগিয়ে থাকে শুরু থেকেই। ২৭ মিনিটের সময় ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি শট মারার আগেই গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়ে সেটি রুখে দেন। খেলা আধ ঘন্টা হওয়ার পর ব্রাজিল বেশ চেপে ধরে সার্বিয়াকে। ৩৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন রাফিনিয়া। তিনি শটও মেরেছিলেন, কিন্তু তাতে গতি না থাকায় গোলরক্ষক সাভিচ সহজেই ধরে নেন। খেলার ৪০ মিনিটে দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু তিনি ঠিকমতো শট মারতে না পারায় সুযোগের অপচয় ঘটে। পারফরমেন্সের হিসেবে ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও কোন গোল করতে না পারায় বিরতি পর্যন্ত ম্যাচে সমতা বিরাজ করে। প্রথমার্ধে ব্রাজিল তাদের পরিচিত ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি। সার্বিয়া চেষ্টা করেছে তাদের খেলায় বাধা সৃষ্টি করতে এবং তাতে প্রথম ৪৫ মিনিট বেশ ভালভাবেই সফল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুন্দর একটি সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি তার কাছেই বল তুলে দেন। তবে এ অর্ধের শুরু থেকেই ব্রাজিলকে গোলের জন্য অনেক বেশী চেষ্টা করতে দেখা যায়। যে কারণে বল প্রায়ই থাকে সার্বিয়ার সীমানায়। ৫৫ মিনিটে নেইমার গোলমুখে ভলি মারেন। কিন্তু বল ঠিকমতো মারতে না পারায় সেটি বাইরে গেলে সুযোগ নষ্ট হয়। ৫৯ মিনিটে অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ব্রাজিল অবশেষে সফল হয় ৬২ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে সেটি ট্যাপ করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন রিশার্লিসন। এ গোলের আগ পর্যন্ত রিচার্লিসন তেমন ভাল কিছু করতে পারেননি। তবে সময়মতো তিনি কাজের কাজটি করে দিয়েছেন। এ গোলের পর ব্রাজিল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ৬৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু ভিনিসিয়ুস গোলরক্ষককে একা পেয়েও ঠিক মতো শট মারতে ব্যর্থ হন। ৭০ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ব্রাজিলের গোলমুখে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। মার্কিনিয়োস হেডে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ৭৩ মিনিটে ব্রাজিল দ্বিতীয় গোল করে। এটিও করেন রিশার্লিসন। গোলটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। ভিনিসিয়ুসের ক্রস নিয়ন্ত্রনে নিতে গেলে বল একটু উপরে উঠে যায় রিচার্লিসন তখন ঘুরে বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটা সেরা গোল। ব্রাজিল তাদের আক্রমণের ধারা বজায় রেখে একেবারে চেপে ধরে সার্বিয়াকে। ৮১ মিনিটে ক্রসবার গোল বঞ্চিত করে ক্যাসেমিরোকে। পরের মিনিটে ফ্রেডের শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। তবে ব্রাজিল গোল বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে শেষ বাশি বাজার আগ পর্যন্ত।