কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
নেদারল্যান্ডস কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। শনিবার নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। গ্রুপ পর্বে সবাইকে অবাক করে ভাল খেলে নক আউটে খেলার যোগ্যতা অর্জণকারী যুক্তরাষ্ট্র দারুন লড়াই করেও ডাচদের কুশলী ফুটবলের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশী সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখেও ম্যাচ জিততে পারেনি আমেরিকা। ডাচদের রক্ষণভাগ বেশ দৃঢ়তার সাথেই রুখে দিয়েছে আক্রমনগুলো। অপর দিকে নেদারল্যান্ড কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে বিজয়ীর সাথে।
নেদারল্যান্ডস তাদের প্রথম পরিকল্পিত আক্রমন থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। ১১ মিনিটে রিমের পাস মাঝ পথে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আক্রমনের সূচনা করেন গ্যাকপো। তিনি বল নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে ডান দিকে পাস দিলে সেটি পেয়ে যান ডামফ্রিস। তিনি কাট ব্যাক করলে মেমফিস ডিপাই পেনাল্টি বক্সের শীর্ষ থেকে প্লেসিং শটে গোল করেন। তারা গোলটি করে খেলার ধারার বিপরীতে। এর আগে খেলার দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সহখেলোয়াড়ের থ্রু পাস ধরে দারুন শট নিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। তার শট পা লাগিয়ে বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক নোপার্ট।
গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচে তাদের প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট। তবে ডাচরা থেমে থাকেনি। কাউন্টার অ্যাটাকে তারাও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় তারা সফলও হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এ গোলটিও বলা যায় প্রথম গোলের কার্বন কপি, কেবল গোলদাতা ভিন্ন। ডামফ্রিসের চমৎকার কাট ব্যাকে পা লাগিয়ে গোলটি করেন ডেলি ব্লাইন্ড।
যুক্তরাষ্ট্র ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে আগের মতোই। বলের দখলের হিসেবে তারা বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকলেও ডাচদের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি। ভার্জিল ফন ডাইকের নেতৃত্বে ডাচ রক্ষণভাগ বেশীরভাগ আক্রমনই পেনাল্টি বক্সের বাইরেই রুখে দেয়। দুই একবার তারা ব্যর্থ হলেও গোলরক্ষক নোপার্টকে পরাস্ত করতে পারেনি আমেরিকান আক্রমণভাগ। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝে মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র শিবিরে ভীতি ছড়িয়েছে নেদারল্যান্ডস। ৭০ মিনিটে অল্প কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার দলটি রক্ষা করেন গোলরক্ষক টার্নার। গ্যাকপোর দূর পাল্লার আচমকা শট টার্নার দুইহাতে ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা ফন ডাইক হেড করেন, এবারও গোলরক্ষত হাত লাগিয়ে রুখে দেন সেই প্রচেষ্টা। ৭৪ মিনিটে ভুল পাস থেকে বল পেয়েছিলেন রাইট। গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে তিনি কঠিন অ্যাঙ্গেলে চলে যান। ফলে তার শট রুখে দিতে সক্ষম হন ডিফেন্ডার। এর পরের মিনিটেই গোল করেন রাইট। ব্যবধান কমার পর ম্যাচে বেশ উত্তেজনা ফিরে আসে। সমতা ফেরাতে আমেরিকা এবং ব্যবধান বাড়াতে নেদারল্যান্ডস আক্রমন করে খেলতে থাকে। আমেরিকা অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত হিসেবে ৮০ মিনিটে খেয়ে বসে তৃতীয় গোল। সবাই মিলে আক্রমনে ওঠায় ডাচদের কাউন্টার অ্যাটাকের সময় বেশ ফাকা জায়গা সৃষ্টি হয় আমেরিকার পেনাল্টি বক্সে। বাম দিক থেকে ডিপাইয়ের ক্রসে ভলি মেরে ডামফ্রিস করেন দলের তৃতীয় গোল। এ গোলই নিশ্চিত করে দেয় ডাচদের কোয়ার্টার ফাইনাল।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
নেদারল্যান্ডস কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। শনিবার নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। গ্রুপ পর্বে সবাইকে অবাক করে ভাল খেলে নক আউটে খেলার যোগ্যতা অর্জণকারী যুক্তরাষ্ট্র দারুন লড়াই করেও ডাচদের কুশলী ফুটবলের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশী সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখেও ম্যাচ জিততে পারেনি আমেরিকা। ডাচদের রক্ষণভাগ বেশ দৃঢ়তার সাথেই রুখে দিয়েছে আক্রমনগুলো। অপর দিকে নেদারল্যান্ড কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে বিজয়ীর সাথে।
নেদারল্যান্ডস তাদের প্রথম পরিকল্পিত আক্রমন থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। ১১ মিনিটে রিমের পাস মাঝ পথে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আক্রমনের সূচনা করেন গ্যাকপো। তিনি বল নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে ডান দিকে পাস দিলে সেটি পেয়ে যান ডামফ্রিস। তিনি কাট ব্যাক করলে মেমফিস ডিপাই পেনাল্টি বক্সের শীর্ষ থেকে প্লেসিং শটে গোল করেন। তারা গোলটি করে খেলার ধারার বিপরীতে। এর আগে খেলার দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সহখেলোয়াড়ের থ্রু পাস ধরে দারুন শট নিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। তার শট পা লাগিয়ে বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক নোপার্ট।
গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচে তাদের প্রাধান্য ছিল সুস্পষ্ট। তবে ডাচরা থেমে থাকেনি। কাউন্টার অ্যাটাকে তারাও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় তারা সফলও হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এ গোলটিও বলা যায় প্রথম গোলের কার্বন কপি, কেবল গোলদাতা ভিন্ন। ডামফ্রিসের চমৎকার কাট ব্যাকে পা লাগিয়ে গোলটি করেন ডেলি ব্লাইন্ড।
যুক্তরাষ্ট্র ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে আগের মতোই। বলের দখলের হিসেবে তারা বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকলেও ডাচদের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি। ভার্জিল ফন ডাইকের নেতৃত্বে ডাচ রক্ষণভাগ বেশীরভাগ আক্রমনই পেনাল্টি বক্সের বাইরেই রুখে দেয়। দুই একবার তারা ব্যর্থ হলেও গোলরক্ষক নোপার্টকে পরাস্ত করতে পারেনি আমেরিকান আক্রমণভাগ। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝে মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র শিবিরে ভীতি ছড়িয়েছে নেদারল্যান্ডস। ৭০ মিনিটে অল্প কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার দলটি রক্ষা করেন গোলরক্ষক টার্নার। গ্যাকপোর দূর পাল্লার আচমকা শট টার্নার দুইহাতে ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা ফন ডাইক হেড করেন, এবারও গোলরক্ষত হাত লাগিয়ে রুখে দেন সেই প্রচেষ্টা। ৭৪ মিনিটে ভুল পাস থেকে বল পেয়েছিলেন রাইট। গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে তিনি কঠিন অ্যাঙ্গেলে চলে যান। ফলে তার শট রুখে দিতে সক্ষম হন ডিফেন্ডার। এর পরের মিনিটেই গোল করেন রাইট। ব্যবধান কমার পর ম্যাচে বেশ উত্তেজনা ফিরে আসে। সমতা ফেরাতে আমেরিকা এবং ব্যবধান বাড়াতে নেদারল্যান্ডস আক্রমন করে খেলতে থাকে। আমেরিকা অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত হিসেবে ৮০ মিনিটে খেয়ে বসে তৃতীয় গোল। সবাই মিলে আক্রমনে ওঠায় ডাচদের কাউন্টার অ্যাটাকের সময় বেশ ফাকা জায়গা সৃষ্টি হয় আমেরিকার পেনাল্টি বক্সে। বাম দিক থেকে ডিপাইয়ের ক্রসে ভলি মেরে ডামফ্রিস করেন দলের তৃতীয় গোল। এ গোলই নিশ্চিত করে দেয় ডাচদের কোয়ার্টার ফাইনাল।