পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তাদের হেক্সা মিশন সফল করার লক্ষ্যে আরেকধাপ অগ্রসর হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নেমে ক্যামেরুনের কাছে হেরে বসেছিল ব্রাজিল। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যাতে কোন ধরনের অঘটন না ঘটে সেদিকে মনযোগ কোচ ও খেলোয়াড়দের। অন্যদিকে কোরিয়া তাদের বিশ্বকাপ সাফল্যের সঙ্গে আরেকটি পালন যুক্ত করতে চায় সাবেক চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে।
গ্রুপ পর্বে কোরিয়া হারিয়েছে পর্তুগালের মতো দলকে। যে কারণে তাদের পক্ষে যেকোন দলকেই হারানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
তিতের ব্রাজিল যে ম্যাচে হেরেছে সেটিতেও দারুণ খেলেছে। রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়রা একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করেও সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া সে ম্যাচে ব্রাজিলকে বেশ কয়েকবার গোল বঞ্চিত করেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ডেভিড ইপাসি।
ক্যামেরুনের কাছে পরাজয়ের আগে ব্রাজিল টানা নয়টি ম্যাচ জিতেছিল। সার্বিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল জয়ী হলেও তাদের আক্রমণভাগ প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। নক-আউট পর্বে ভুলের কোন জায়গা নেই। ম্যাচ হারলেই বিদায়। ব্রাজিল সাধারণত বড় টুর্নামেন্টে ক্রমশ ভালো খেলে থাকে। আগের তিন ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন গোল করতে পারেনি তারা। কোরিয়ার বিপক্ষে সে ধারা বদল করতে চাইবেন কোচ তিতে। তাদের জন্য সুখবর হলো তারকা খেলোয়াড় নেইমার প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছেন এবং দলের ডাক্তার জানিয়েছেন এ ম্যাচে তিনি খেলবেন।
ব্রাজিল আগের নয়বারই খেলেছে কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। ৩২ বছর আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা হেরেছিল আর্জেন্টিনার কাছে। ক্লদিও ক্যানিজিয়া করেছিলেন আর্জেন্টিনার একমাত্র গোলটি।
কোরিয়া এবার তাদের ঐতিহাসিক জয়টি পেয়েছে পর্তুগালের বিপক্ষে। প্রথমে গোল খেয়েও তারা দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তাদের ওপর প্রত্যাশার কোন চাপ নেই। তারা খেলতে পারবে নিজেদের মতো করে। ব্রাজিলের কাছে হারলে তারা কোন কিছু হারিয়ে ফেলবে না, কিন্তু জিততে পারলে হবে ঐতিহাসিক অর্জন। তাছাড়া তাদের খেলায় আছে দারুণ গতি। অভিজ্ঞতায় হয়তো তারা ব্রাজিলের চেয়ে পিছিয়ে আছে, কিন্তু গতিতে পাল্লা দিতে পারবে সমানতালে।
ব্রাজিল এ ম্যাচ দিয়ে আবার সেরা একাদশ মাঠে নামাবে। নেইমার খেলার মতো ফিট হয়ে গেলে তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন। আক্রমণে থাকবেন রিশার্লিসন। দুই উইংয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রাফিনিয়াকে খেলাবেন কোচ। রক্ষণভাগের নেতৃত্বে থাকবেন থিয়াগো সিলভা। তার সঙ্গে মার্কিনোস এবং এডার মিলিটাও খেলতে পারেন। দানিলো এবং অ্যালেক্স স্যান্ড্রোও ফিরতে পারেন একাদশে। গোল পোস্টের নিচে থাকবেন অ্যালিসন বেকার। জেতার জন্য সেরা দলটিই মাঠে নামাবেন কোচ তিতে। তাছাড়া ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের শীর্ষ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। কোচ এবং সমর্থকরা আশা করছেন এ ম্যাচে ভালো খেলে কোরিয়ার স্বপ্ন যাত্রা থামিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ব্রাজিল।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তাদের হেক্সা মিশন সফল করার লক্ষ্যে আরেকধাপ অগ্রসর হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নেমে ক্যামেরুনের কাছে হেরে বসেছিল ব্রাজিল। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যাতে কোন ধরনের অঘটন না ঘটে সেদিকে মনযোগ কোচ ও খেলোয়াড়দের। অন্যদিকে কোরিয়া তাদের বিশ্বকাপ সাফল্যের সঙ্গে আরেকটি পালন যুক্ত করতে চায় সাবেক চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে।
গ্রুপ পর্বে কোরিয়া হারিয়েছে পর্তুগালের মতো দলকে। যে কারণে তাদের পক্ষে যেকোন দলকেই হারানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
তিতের ব্রাজিল যে ম্যাচে হেরেছে সেটিতেও দারুণ খেলেছে। রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়রা একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করেও সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া সে ম্যাচে ব্রাজিলকে বেশ কয়েকবার গোল বঞ্চিত করেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক ডেভিড ইপাসি।
ক্যামেরুনের কাছে পরাজয়ের আগে ব্রাজিল টানা নয়টি ম্যাচ জিতেছিল। সার্বিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল জয়ী হলেও তাদের আক্রমণভাগ প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। নক-আউট পর্বে ভুলের কোন জায়গা নেই। ম্যাচ হারলেই বিদায়। ব্রাজিল সাধারণত বড় টুর্নামেন্টে ক্রমশ ভালো খেলে থাকে। আগের তিন ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন গোল করতে পারেনি তারা। কোরিয়ার বিপক্ষে সে ধারা বদল করতে চাইবেন কোচ তিতে। তাদের জন্য সুখবর হলো তারকা খেলোয়াড় নেইমার প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছেন এবং দলের ডাক্তার জানিয়েছেন এ ম্যাচে তিনি খেলবেন।
ব্রাজিল আগের নয়বারই খেলেছে কমপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। ৩২ বছর আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা হেরেছিল আর্জেন্টিনার কাছে। ক্লদিও ক্যানিজিয়া করেছিলেন আর্জেন্টিনার একমাত্র গোলটি।
কোরিয়া এবার তাদের ঐতিহাসিক জয়টি পেয়েছে পর্তুগালের বিপক্ষে। প্রথমে গোল খেয়েও তারা দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তাদের ওপর প্রত্যাশার কোন চাপ নেই। তারা খেলতে পারবে নিজেদের মতো করে। ব্রাজিলের কাছে হারলে তারা কোন কিছু হারিয়ে ফেলবে না, কিন্তু জিততে পারলে হবে ঐতিহাসিক অর্জন। তাছাড়া তাদের খেলায় আছে দারুণ গতি। অভিজ্ঞতায় হয়তো তারা ব্রাজিলের চেয়ে পিছিয়ে আছে, কিন্তু গতিতে পাল্লা দিতে পারবে সমানতালে।
ব্রাজিল এ ম্যাচ দিয়ে আবার সেরা একাদশ মাঠে নামাবে। নেইমার খেলার মতো ফিট হয়ে গেলে তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন। আক্রমণে থাকবেন রিশার্লিসন। দুই উইংয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রাফিনিয়াকে খেলাবেন কোচ। রক্ষণভাগের নেতৃত্বে থাকবেন থিয়াগো সিলভা। তার সঙ্গে মার্কিনোস এবং এডার মিলিটাও খেলতে পারেন। দানিলো এবং অ্যালেক্স স্যান্ড্রোও ফিরতে পারেন একাদশে। গোল পোস্টের নিচে থাকবেন অ্যালিসন বেকার। জেতার জন্য সেরা দলটিই মাঠে নামাবেন কোচ তিতে। তাছাড়া ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের শীর্ষ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। কোচ এবং সমর্থকরা আশা করছেন এ ম্যাচে ভালো খেলে কোরিয়ার স্বপ্ন যাত্রা থামিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ব্রাজিল।