কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৩২ দেশের লড়াইয়ে এখন টিকে আছে আটটি দেশ। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড-ফ্রান্স,
পর্তুগাল-মরক্কো। এ আটটি দেশের মধ্যে চারটিই এর আগে অন্তত একবার করে হলেও বিশ্বকাপ জিতেছে। তাছাড়া এখন যেসব দল টিকে আছে তাদের মধ্যে কেবল মরক্কোকেই ফেবারিট ভাবা হয়নি। মরক্কোকে বাদ দিলে ফেবারিট সাতটি দলই আছে লড়াইয়ে।
বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে সারা বিশে^ই প্রবল উম্মাদনা। যদিও গ্রুপ পর্বে কোন কোন ম্যাচ ছিল একপেশে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে দুইটি ছাড়া বাকি সব কয়টি ম্যাচেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ব্রাজিল অতি সহজেই ৪-১ গোলে পরাজিত করে দক্ষিণ কোরিয়াকে। আরেকটি ম্যাচে পর্তুগাল ৬-১ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ডকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে এক তরফা ম্যাচ দেখার কোন সম্ভাবনা নেই। এ রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলো দারুণ ফর্মে আছে। আগামী শুক্রবার ও শনিবার হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল মাঠে গড়াবে। একই দিন আরেকটি ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের সমর্থকদের বেশিরভাগই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল সমর্থন করছে। শুক্রবার রাতে তাই বলা যায় ফুটবল মাতিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে।
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ফেবারিট হলেও ক্রোয়েশিয়াকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তারা গত আসরের রানার্স-আপ। যদিও দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে সবাই।
আর্জেন্টিনাও আছে টপ ফেবারিট হিসেবে। তাদেরকে লড়াই করতে হবে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। নেদারল্যান্ডস খেলে টোটাল ফুটবল। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় তরুণ হলেও তাদেরকে হালকাভাবে নিলে ভুল করবে আর্জেন্টিনা। তাছাড়া নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ফন গাল একজন বিশ্বমানের ট্যাকটিশিয়ান। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরমেন্স এবং কৌশল দেখে তিনি দ্রুতই নিজ দলের কৌশল বদল করতে সিদ্ধহস্ত। আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেশ ভালো খেলছে। তবে তারা কোন ম্যাচেই সহজ জয় পায়নি। সর্বশেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনেক কষ্টে জিতেছে। তারা নির্ভর করছে মেসির উপর। কোনভাবে মেসিকে অকার্যকর করে দিতে পারলে আর্জেন্টিনাকে রুখে দিতে পারে নেদারল্যান্ডস।
আগামী শনিবার এক ম্যাচে খেলবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। মনে করা হচেছ কোয়ার্টার ফাইনালে এ ম্যাচেই কেউ পরিস্কার ফেবারিট হিসেবে থাকবে না। কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভার জিরু, অ্যান্টনি গ্রিজম্যান এবং ডেম্বেলেকে নিয়ে ফ্রান্সের আক্রমণভাগ খুবই কার্যকর। তবে পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডও। তাদের আছে মার্কাস র্যাসফোর্ড, হ্যারি কেইন এবং বুকায়ো সাকার মতো খেলোয়াড়। এ ম্যাচটি যে খুবই উপভোগ্য হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল এবং মরক্কো। সর্বশেষ ম্যাচের হিসেবে এখানে এগিয়ে পর্তুগাল। তারা সুইজারল্যান্ডের জালে ছয়টি গোল করেছে। তবে মরক্কো এখন পর্যন্ত কোন গোল খায়নি। অর্থাৎ তাদের রক্ষণভাগ খুবই ভালো করছে। রোনালদোদের এই দলের বিপক্ষে জিততে বেশ বেগ পেতে হবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে যে চারটি দলই জয়ী হোক না কেন তাদেরকে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তা নিয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের কোন সন্দেহ নেই।
বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৩২ দেশের লড়াইয়ে এখন টিকে আছে আটটি দেশ। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড-ফ্রান্স,
পর্তুগাল-মরক্কো। এ আটটি দেশের মধ্যে চারটিই এর আগে অন্তত একবার করে হলেও বিশ্বকাপ জিতেছে। তাছাড়া এখন যেসব দল টিকে আছে তাদের মধ্যে কেবল মরক্কোকেই ফেবারিট ভাবা হয়নি। মরক্কোকে বাদ দিলে ফেবারিট সাতটি দলই আছে লড়াইয়ে।
বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে সারা বিশে^ই প্রবল উম্মাদনা। যদিও গ্রুপ পর্বে কোন কোন ম্যাচ ছিল একপেশে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে দুইটি ছাড়া বাকি সব কয়টি ম্যাচেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ব্রাজিল অতি সহজেই ৪-১ গোলে পরাজিত করে দক্ষিণ কোরিয়াকে। আরেকটি ম্যাচে পর্তুগাল ৬-১ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ডকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে এক তরফা ম্যাচ দেখার কোন সম্ভাবনা নেই। এ রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলো দারুণ ফর্মে আছে। আগামী শুক্রবার ও শনিবার হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল মাঠে গড়াবে। একই দিন আরেকটি ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের সমর্থকদের বেশিরভাগই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল সমর্থন করছে। শুক্রবার রাতে তাই বলা যায় ফুটবল মাতিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে।
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ফেবারিট হলেও ক্রোয়েশিয়াকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তারা গত আসরের রানার্স-আপ। যদিও দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে সবাই।
আর্জেন্টিনাও আছে টপ ফেবারিট হিসেবে। তাদেরকে লড়াই করতে হবে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। নেদারল্যান্ডস খেলে টোটাল ফুটবল। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় তরুণ হলেও তাদেরকে হালকাভাবে নিলে ভুল করবে আর্জেন্টিনা। তাছাড়া নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ফন গাল একজন বিশ্বমানের ট্যাকটিশিয়ান। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরমেন্স এবং কৌশল দেখে তিনি দ্রুতই নিজ দলের কৌশল বদল করতে সিদ্ধহস্ত। আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেশ ভালো খেলছে। তবে তারা কোন ম্যাচেই সহজ জয় পায়নি। সর্বশেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনেক কষ্টে জিতেছে। তারা নির্ভর করছে মেসির উপর। কোনভাবে মেসিকে অকার্যকর করে দিতে পারলে আর্জেন্টিনাকে রুখে দিতে পারে নেদারল্যান্ডস।
আগামী শনিবার এক ম্যাচে খেলবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। মনে করা হচেছ কোয়ার্টার ফাইনালে এ ম্যাচেই কেউ পরিস্কার ফেবারিট হিসেবে থাকবে না। কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভার জিরু, অ্যান্টনি গ্রিজম্যান এবং ডেম্বেলেকে নিয়ে ফ্রান্সের আক্রমণভাগ খুবই কার্যকর। তবে পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডও। তাদের আছে মার্কাস র্যাসফোর্ড, হ্যারি কেইন এবং বুকায়ো সাকার মতো খেলোয়াড়। এ ম্যাচটি যে খুবই উপভোগ্য হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল এবং মরক্কো। সর্বশেষ ম্যাচের হিসেবে এখানে এগিয়ে পর্তুগাল। তারা সুইজারল্যান্ডের জালে ছয়টি গোল করেছে। তবে মরক্কো এখন পর্যন্ত কোন গোল খায়নি। অর্থাৎ তাদের রক্ষণভাগ খুবই ভালো করছে। রোনালদোদের এই দলের বিপক্ষে জিততে বেশ বেগ পেতে হবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে যে চারটি দলই জয়ী হোক না কেন তাদেরকে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তা নিয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের কোন সন্দেহ নেই।