কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় আবার মাঠে গড়াচেছ বিশ^কাপ ফুটবল। দ্বিতীয় রাউন্ডের পর দলগুলোর বিশ্রামের জন্য বিরতি ছিল দুই দিন। অনেকের মতে এবারের প্রকৃতি বিশ^কাপ শুরু হবে এর মাধ্যমে। এ পর্যন্ত হওয়া ম্যাচগুলো ছিল অনেকটা বাছাই পর্বের মতো। বিশে^র সকল প্রান্তের দলগুলোকে সুযোগ দেয়ার জন্যই দল সংখ্যা বেশী ছিল। সেখান থেকে এখন কমে হয়েছে ৮টি এবং এ আটটি দলের প্রতিটিরই বিশ^কাপ জেতার সামর্থ আছে।
কাতার বিশ^কাপ জয়ের প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটির নাম ব্রাজিল। তাদের খেলোয়াড়দের প্রতিভা এবং ফুটবল সংস্কৃতির জন্যই ব্রাজিল চিরকালের ফেবারিট দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। তারাই একমাত্র দল যারা এখন পর্যন্ত হওয়া প্রতিটি বিশ^কাপে খেলেছে। বিশ^কাপও জিতেছে রেকর্ড ৫বার। এবার তাদের মিশন হেক্সা জয়।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল প্রতাশা অনুযায়ী ভাল খেলতে পারেনি। এমনকি শেষ ম্যাচে তারা ক্যামেরুনের কাছে হেরেও যায়। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দেখা গেছে ব্রাজিলের ছন্দময় ফুটবল কাকে বলে। কোন সন্দেহ নেই যে নেইমার দলের সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু বাকিরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। এবারের বিশ^কাপে অংশ নেয়া ৩২টি দলের মধ্যে আলাদাভাবে খেলোয়াড়দের প্রতিভা এবং সামর্থ হিসাব করলে ব্রাজিলের সমকক্ষ কোন দলই নেই। প্রতিটি জায়গায় আছে বিশ^ মানের খেলোয়াড়।
দলের কোচ তিতে সে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে খেলার ফর্মেশনে এনেছেন পরিবর্তন। রিশার্লিসনকে খেলাচেছন স্ট্রাইকার হিসেবে। নেইমার খেলছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। যে কারণে ব্রাজিলের আক্রমনে আসছে বৈচিত্র। দুই দুইঙ্গার ভিনিসিয়ুস এবং রাফিনিয়া প্রতিটি দলের জন্যই ভয়ঙ্কর। নেইমারের সাথে মিডফিল্ডে থাকছেন ক্যাসেমিরো এবং লুকাস পাকেটা। ডিফেন্স সামলাচ্ছেন থিয়াগো সিলভা, মার্কিনিয়োস, দানিলো এবং এডার মিলিটাও। গোলপোস্টে থাকছেন অ্যালিসন বেকার। এদের ব্যাকআপ হিসেবে যারা আছেন তারা নি:সন্দেহে বিশে^র যে কোন দলে খেলার যোগ্যতা রাখেন। ক্রোয়েশিয়ার বাধা অতিক্রম করার জন্য ব্রাজিলের দরকার কেবল পরস্পরের মধ্যে সমন্বয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সে সমন্বয়টা বেশ ভালভাবেই দেখাতে পেরেছেন তিতের শীষ্যরা।
ক্রোয়েশিয়া গতবারের রানার্সআপ হলেও এবার ততটা ভাল খেলতে পারেনি। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব তাদের ভোগাচ্ছে। লুকা মদ্রিচ ছাড়া সেভাবে বড় কোন তারকাও নেই দলে। তবে তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শারীরিক সামর্থ এবং গতি।
গোলরক্ষক ডোমনিক লিভাকোভিচ এখন পর্যন্ত বেশ ভাল খেলেছেন। ডিফেন্সে ডিয়ান লভরেন এবং ভিডা খুবই কার্যকর। মিডফিল্ডে লুকামদ্রিচের সাথে ম্যাাটেও কোভাসিচ এবং মারিও প্যাসালিচ দারুন খেলছেন। ইভান পেরিসিচ এবং মার্কো লিভায়া আছেন ভাল ফর্মে। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে আগের ম্যাচগুলোতে। এমনকি শেষ দিকে খেলোয়াড়ের মধ্যে ক্লান্তির ছাপও ছিল। তাছাড়া আগের ম্যাচেই খেলতে হয়েছে ১২০ মিনিট। ফলে ব্রাজিলের বিপক্ষে এনার্জির ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
কোন সন্দেহ নেই যে ক্রোয়েশিয়া যোগ্যতা দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তারা ব্রাজিলের বিপক্ষে অঘটনও ঘটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তার পরেও এ ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবেই থাকছে ক্রোয়েশিয়া।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় আবার মাঠে গড়াচেছ বিশ^কাপ ফুটবল। দ্বিতীয় রাউন্ডের পর দলগুলোর বিশ্রামের জন্য বিরতি ছিল দুই দিন। অনেকের মতে এবারের প্রকৃতি বিশ^কাপ শুরু হবে এর মাধ্যমে। এ পর্যন্ত হওয়া ম্যাচগুলো ছিল অনেকটা বাছাই পর্বের মতো। বিশে^র সকল প্রান্তের দলগুলোকে সুযোগ দেয়ার জন্যই দল সংখ্যা বেশী ছিল। সেখান থেকে এখন কমে হয়েছে ৮টি এবং এ আটটি দলের প্রতিটিরই বিশ^কাপ জেতার সামর্থ আছে।
কাতার বিশ^কাপ জয়ের প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটির নাম ব্রাজিল। তাদের খেলোয়াড়দের প্রতিভা এবং ফুটবল সংস্কৃতির জন্যই ব্রাজিল চিরকালের ফেবারিট দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। তারাই একমাত্র দল যারা এখন পর্যন্ত হওয়া প্রতিটি বিশ^কাপে খেলেছে। বিশ^কাপও জিতেছে রেকর্ড ৫বার। এবার তাদের মিশন হেক্সা জয়।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল প্রতাশা অনুযায়ী ভাল খেলতে পারেনি। এমনকি শেষ ম্যাচে তারা ক্যামেরুনের কাছে হেরেও যায়। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দেখা গেছে ব্রাজিলের ছন্দময় ফুটবল কাকে বলে। কোন সন্দেহ নেই যে নেইমার দলের সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু বাকিরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। এবারের বিশ^কাপে অংশ নেয়া ৩২টি দলের মধ্যে আলাদাভাবে খেলোয়াড়দের প্রতিভা এবং সামর্থ হিসাব করলে ব্রাজিলের সমকক্ষ কোন দলই নেই। প্রতিটি জায়গায় আছে বিশ^ মানের খেলোয়াড়।
দলের কোচ তিতে সে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে খেলার ফর্মেশনে এনেছেন পরিবর্তন। রিশার্লিসনকে খেলাচেছন স্ট্রাইকার হিসেবে। নেইমার খেলছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। যে কারণে ব্রাজিলের আক্রমনে আসছে বৈচিত্র। দুই দুইঙ্গার ভিনিসিয়ুস এবং রাফিনিয়া প্রতিটি দলের জন্যই ভয়ঙ্কর। নেইমারের সাথে মিডফিল্ডে থাকছেন ক্যাসেমিরো এবং লুকাস পাকেটা। ডিফেন্স সামলাচ্ছেন থিয়াগো সিলভা, মার্কিনিয়োস, দানিলো এবং এডার মিলিটাও। গোলপোস্টে থাকছেন অ্যালিসন বেকার। এদের ব্যাকআপ হিসেবে যারা আছেন তারা নি:সন্দেহে বিশে^র যে কোন দলে খেলার যোগ্যতা রাখেন। ক্রোয়েশিয়ার বাধা অতিক্রম করার জন্য ব্রাজিলের দরকার কেবল পরস্পরের মধ্যে সমন্বয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সে সমন্বয়টা বেশ ভালভাবেই দেখাতে পেরেছেন তিতের শীষ্যরা।
ক্রোয়েশিয়া গতবারের রানার্সআপ হলেও এবার ততটা ভাল খেলতে পারেনি। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব তাদের ভোগাচ্ছে। লুকা মদ্রিচ ছাড়া সেভাবে বড় কোন তারকাও নেই দলে। তবে তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শারীরিক সামর্থ এবং গতি।
গোলরক্ষক ডোমনিক লিভাকোভিচ এখন পর্যন্ত বেশ ভাল খেলেছেন। ডিফেন্সে ডিয়ান লভরেন এবং ভিডা খুবই কার্যকর। মিডফিল্ডে লুকামদ্রিচের সাথে ম্যাাটেও কোভাসিচ এবং মারিও প্যাসালিচ দারুন খেলছেন। ইভান পেরিসিচ এবং মার্কো লিভায়া আছেন ভাল ফর্মে। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে আগের ম্যাচগুলোতে। এমনকি শেষ দিকে খেলোয়াড়ের মধ্যে ক্লান্তির ছাপও ছিল। তাছাড়া আগের ম্যাচেই খেলতে হয়েছে ১২০ মিনিট। ফলে ব্রাজিলের বিপক্ষে এনার্জির ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
কোন সন্দেহ নেই যে ক্রোয়েশিয়া যোগ্যতা দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তারা ব্রাজিলের বিপক্ষে অঘটনও ঘটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তার পরেও এ ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবেই থাকছে ক্রোয়েশিয়া।