ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলন
ব্রাজিল শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। তার পর কেটে গিয়েছে কুঁড়িটি বছর। আর আর্জেন্টিনা শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ম্যারাডোনার হাত ধরে ১৯৮৬ সালে, পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে।
ব্রাজিলে আর পায়নি বিশ্বকাপ। তার থেকেও বড় কথা প্রতিবার ইউরোপীয় শক্তির কাছেই হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বার বার ছিটকে যেতে হয়েছে সেলেকাওদের। ২০০২ সালের পরে কোয়ার্টার ফাইনালে পেলের দেশ পৌঁছেছে তিন-তিনবার। আর প্রতিবারই ব্রাজিলের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়েছে ইউরোপ।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। আবারও ইউরোপের একটি দেশের সামনে নেইমাররা। ২০০২ বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এর চার বছর বাদে শেষ আটে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স। কিন্তু থিয়েরি অরির গোলে সেবার ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে যায় ব্রাজিলের দৌড়। সেবারের দলে ব্যাপক রদবদল হয়েছিল। রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডোরা ততদিনে সরে গিয়েছেন। শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ব্রাজিল প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রবিনহোর গোলে। কিন্তু বিরতির পর খেলার পুরো ছবি বদলে যায়। স্নেইডার জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান নিজেদের ক্যাম্পে। আর্জেন রোবেনের দৌড় ব্রাজিলকে বিপন্ন করে। নেদারল্যান্ডস ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে চলে যায় সেমিফাইনালে। ব্রাজিল ফিরে আসে দেশে।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচ ব্রাজিল ভক্তরা চিরকাল মনে রাখবেন। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিপর্যয় ঘটে ব্রাজিলের। চোখের জলে বিদায় নেন ডেভিড লুইস-অস্কাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিল হারিয়েছিল কলম্বিয়াকে। জুনিগার মারাত্মক ফাউলে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। শেষ চারের লড়াইয়ে নামা হয়নি তার। ম্যাচের বিরতিতে জোয়াকিম লো তার ছেলেদের বলেছিলেন, ব্রাজিলকে আর অপদস্থ করো না।
গতবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দৌড় থামিয়ে দেয় বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা সেবারও টপকানো সম্ভব হয়নি নেইমারদের পক্ষে। ২০০২ সালের পর থেকে ইউরোপিয়ান দলের কাছে ব্রাজিলের হার একপ্রকার নিয়মে পর্যবসিত হয়েছে। এবার কি ঘুরবে ইতিহাসের চাকা?
১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পরের আসরেও (১৯৯০) ফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার দল উঠে মুখোমুখি হয় সেই পশ্চিম জার্মানির। বলা হয় ফুটবল বিশ্বের নানা ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে আর্জেন্টিনাকে রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে ফিরতে হয়। আর্জেন্টিনা চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ২০১৪ সালে। এবারও মুখোমুখি হয় জার্মানির।
কিন্তু সেই দুই আসরেই আর্জেন্টিনা হরে ১-০ ব্যবধানে।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলন
বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
ব্রাজিল শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। তার পর কেটে গিয়েছে কুঁড়িটি বছর। আর আর্জেন্টিনা শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ম্যারাডোনার হাত ধরে ১৯৮৬ সালে, পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে।
ব্রাজিলে আর পায়নি বিশ্বকাপ। তার থেকেও বড় কথা প্রতিবার ইউরোপীয় শক্তির কাছেই হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বার বার ছিটকে যেতে হয়েছে সেলেকাওদের। ২০০২ সালের পরে কোয়ার্টার ফাইনালে পেলের দেশ পৌঁছেছে তিন-তিনবার। আর প্রতিবারই ব্রাজিলের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়েছে ইউরোপ।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। আবারও ইউরোপের একটি দেশের সামনে নেইমাররা। ২০০২ বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এর চার বছর বাদে শেষ আটে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স। কিন্তু থিয়েরি অরির গোলে সেবার ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে যায় ব্রাজিলের দৌড়। সেবারের দলে ব্যাপক রদবদল হয়েছিল। রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডোরা ততদিনে সরে গিয়েছেন। শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ব্রাজিল প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রবিনহোর গোলে। কিন্তু বিরতির পর খেলার পুরো ছবি বদলে যায়। স্নেইডার জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান নিজেদের ক্যাম্পে। আর্জেন রোবেনের দৌড় ব্রাজিলকে বিপন্ন করে। নেদারল্যান্ডস ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে চলে যায় সেমিফাইনালে। ব্রাজিল ফিরে আসে দেশে।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচ ব্রাজিল ভক্তরা চিরকাল মনে রাখবেন। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিপর্যয় ঘটে ব্রাজিলের। চোখের জলে বিদায় নেন ডেভিড লুইস-অস্কাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিল হারিয়েছিল কলম্বিয়াকে। জুনিগার মারাত্মক ফাউলে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। শেষ চারের লড়াইয়ে নামা হয়নি তার। ম্যাচের বিরতিতে জোয়াকিম লো তার ছেলেদের বলেছিলেন, ব্রাজিলকে আর অপদস্থ করো না।
গতবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দৌড় থামিয়ে দেয় বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা সেবারও টপকানো সম্ভব হয়নি নেইমারদের পক্ষে। ২০০২ সালের পর থেকে ইউরোপিয়ান দলের কাছে ব্রাজিলের হার একপ্রকার নিয়মে পর্যবসিত হয়েছে। এবার কি ঘুরবে ইতিহাসের চাকা?
১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পরের আসরেও (১৯৯০) ফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার দল উঠে মুখোমুখি হয় সেই পশ্চিম জার্মানির। বলা হয় ফুটবল বিশ্বের নানা ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে আর্জেন্টিনাকে রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে ফিরতে হয়। আর্জেন্টিনা চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ২০১৪ সালে। এবারও মুখোমুখি হয় জার্মানির।
কিন্তু সেই দুই আসরেই আর্জেন্টিনা হরে ১-০ ব্যবধানে।