চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
রিয়াল মাদ্রিদ বুধবার রাতে করিম বেনজেমার করা একমাত্র গোলে লিভারপুলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। প্রথম লেগে ৫-২ গোলের ব্যবধানে জয়ী হওয়া রিয়াল দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে জয়ী হয়। লিভারপুল এ নিয়ে টানা তিনবার রিয়ালের কাছে নক আউট পর্বে হার মানলো। এর আগে তারা দুইবার হেরেছিল ফাইনালে।
লিভারপুলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য এ ম্যাচে জিততে হতো চার গোলের ব্যবধানে। কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে পরাজিত করে লিভারপুল নিজেদের সামর্থের প্রমাণও দিয়েছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দল। তাদের সাথে পেরে ওঠা মোটেও সহজ কাজ নয়। লিভারপুল পারেওনি। রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের বেশীরভাগ সময় দাপট বজায় রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গতি এবং ড্রিবলিং লিভারপুলের শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো ম্যাচে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার তারা সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে পারেনি। বেনজেমার শট বাচিয়েছেন অ্যালিসন বেকার। ভিনিসিয়ুসকেও গোল বঞ্চিত করেছেন নিজ দেশ ব্রাজিলের হয়ে একত্রে খেলা লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। এছাড়া কামাভিঙ্গার শট প্রতিহত হয়েছে ক্রসবারে লেগে। আরেকবার বেনজেমার শট বাচিয়েছেন আলেকজান্ডার ট্রেন্ড আর্নল্ড।
রিয়াল বহু কাঙ্খিত গোলটি করেছে ৭৯ মিনিটে। গোলদাতা বেনজেমা হলেও এর রূপকার ভিনিসিয়ুস। ভিনিসিয়ুসের চমৎকার ফ্লিক গোলমুখে পেয়ে খালি পোস্টে ট্যাপ করেন বেনজেমা। ম্যাচ শেষে বেনজেমা বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন ম্যাচই সহজ নয়। আমরা প্রথম থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছি যে ম্যাচটি আমরা মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা এখন পর্যন্ত ঠিকভাবেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
যেহেতু লিভারপুলের দরকার ছিল বড় জয়, সেহেতু কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ আক্রমাত্মক খেলার পরিকল্পনা করেই একাদশ সাজান। আক্রমনভাগে তিনি রাখে মোহামেদ সালাহ, কোডি গ্যাকপো, দিয়েগো জোটা এবং ডারইউন নুনেজকে। ছয় মিনিটে নুনেজ গোল করার দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট রুখে দেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
অপর দিকে রিয়ালের লক্ষ্য ছিল গোল না খাওয়া। তাই কোচ আক্রমনভাগে রাখেন কেবল বেনজেমা এবং ভিনিসিয়ুসকে। ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধে অন্তত দুইবার বেনজেমাকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। কিন্তু বেনজেমা দুইবারই তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ১৪ মিনিটে পয়েন্ট ব্যাঙ্ক পজিশন থেকে ভিনিসিয়ুসের শট বাচিয়ে দেন অ্যালিসন। লুকা মদ্রিচের শট কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে বাইরে গেলে গোল বঞ্চিত হয় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল ছিল আরো বেশী আক্রমণাত্মক। সেই আক্রমণের ফল হিসেবে বেনজেমা খেলা শেষ হওয়ার ১১ মিনিট আগে গোল করে দলকে জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি রিয়ালকে নিয়ে যান শেষ আটে। শুক্রবার শেষ আটের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
রিয়াল মাদ্রিদ বুধবার রাতে করিম বেনজেমার করা একমাত্র গোলে লিভারপুলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। প্রথম লেগে ৫-২ গোলের ব্যবধানে জয়ী হওয়া রিয়াল দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে জয়ী হয়। লিভারপুল এ নিয়ে টানা তিনবার রিয়ালের কাছে নক আউট পর্বে হার মানলো। এর আগে তারা দুইবার হেরেছিল ফাইনালে।
লিভারপুলের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য এ ম্যাচে জিততে হতো চার গোলের ব্যবধানে। কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে পরাজিত করে লিভারপুল নিজেদের সামর্থের প্রমাণও দিয়েছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দল। তাদের সাথে পেরে ওঠা মোটেও সহজ কাজ নয়। লিভারপুল পারেওনি। রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের বেশীরভাগ সময় দাপট বজায় রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গতি এবং ড্রিবলিং লিভারপুলের শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো ম্যাচে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার তারা সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে পারেনি। বেনজেমার শট বাচিয়েছেন অ্যালিসন বেকার। ভিনিসিয়ুসকেও গোল বঞ্চিত করেছেন নিজ দেশ ব্রাজিলের হয়ে একত্রে খেলা লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। এছাড়া কামাভিঙ্গার শট প্রতিহত হয়েছে ক্রসবারে লেগে। আরেকবার বেনজেমার শট বাচিয়েছেন আলেকজান্ডার ট্রেন্ড আর্নল্ড।
রিয়াল বহু কাঙ্খিত গোলটি করেছে ৭৯ মিনিটে। গোলদাতা বেনজেমা হলেও এর রূপকার ভিনিসিয়ুস। ভিনিসিয়ুসের চমৎকার ফ্লিক গোলমুখে পেয়ে খালি পোস্টে ট্যাপ করেন বেনজেমা। ম্যাচ শেষে বেনজেমা বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন ম্যাচই সহজ নয়। আমরা প্রথম থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছি যে ম্যাচটি আমরা মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা এখন পর্যন্ত ঠিকভাবেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
যেহেতু লিভারপুলের দরকার ছিল বড় জয়, সেহেতু কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ আক্রমাত্মক খেলার পরিকল্পনা করেই একাদশ সাজান। আক্রমনভাগে তিনি রাখে মোহামেদ সালাহ, কোডি গ্যাকপো, দিয়েগো জোটা এবং ডারইউন নুনেজকে। ছয় মিনিটে নুনেজ গোল করার দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট রুখে দেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
অপর দিকে রিয়ালের লক্ষ্য ছিল গোল না খাওয়া। তাই কোচ আক্রমনভাগে রাখেন কেবল বেনজেমা এবং ভিনিসিয়ুসকে। ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধে অন্তত দুইবার বেনজেমাকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। কিন্তু বেনজেমা দুইবারই তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ১৪ মিনিটে পয়েন্ট ব্যাঙ্ক পজিশন থেকে ভিনিসিয়ুসের শট বাচিয়ে দেন অ্যালিসন। লুকা মদ্রিচের শট কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে বাইরে গেলে গোল বঞ্চিত হয় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল ছিল আরো বেশী আক্রমণাত্মক। সেই আক্রমণের ফল হিসেবে বেনজেমা খেলা শেষ হওয়ার ১১ মিনিট আগে গোল করে দলকে জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি রিয়ালকে নিয়ে যান শেষ আটে। শুক্রবার শেষ আটের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।