ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগের কিং খ্যাত সেভিয়া বুধবার বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টাইব্রেকারে ইটালির রোমাকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রোমা এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় দলটির কোচ জোসে মরিনিয়ো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রথম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলেন। এর আগে ৫বার ফাইনালে দল নিয়ে মাঠে নেমে সব কবারই জিতেছিলেন তিনি।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ফাইনাল নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে। সেখানে গঞ্জালো মন্টিয়েল শেষ শট থেকে গোল করে সেভিয়াকে ট্রফি এনে দেন। তিনি বিশ্বকাপের ফাইনালেও টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আর্জেন্টিনার পক্ষে। তার প্রথমবারের শটটি রুখে দিয়েছিলেন রোমার গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। কিন্তু রেফারি জানান গোলরক্ষক নির্ধারিত সময়ের আগেই গোল লাইন ছেড়ে সামনে চলেগিয়েছিলেন, তাই পুনরায় শট মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি মন্টিয়েল।
টাইব্রেকারে সেভিয়ার জয়ের নায়ক ছিলেন মরোক্কান গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। বিশ্বকাপে সবার নজর কাড়া এ গোলরক্ষক রুখে দেন জিয়ানলুকা মানচিনি এবং রজার ইবানেজের শট। সেভিয়া তাদের প্রথম চারটি শট থেকেই গোল করলে ৫ম শট মারার আর দরকার হয়নি।
সেভিয়াকে বলা হয় ইউরোপা লিগের কিং। তারা এ নিয়ে সাতবার ফাইনালে খেলে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হলো। তারা শেষ চারটি ফাইনালে প্রথমে গোল খেয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে। এ ম্যাচেও তাই হয়েছে। রোমা গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টি করে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় তারা।
পরিসংখ্যানে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল সেভিয়া। বল ছিল তাদের দখলে ৬৫% সময়। মূলত রোমা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার কৌশল গ্রহণ করাতেই বল দখলে এগিয়ে থাকার বাড়তি সুবিধা পায় সেভিয়া। রোমা খেলেছে ৫জন ডিফেন্ডার নিয়ে। ম্যাচ হয়েছে খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। রেফারি মোট ১৪টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। ইনজুরি টাইম খেলানো হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পাওলো দিবালা গোল করে এগিয়ে দেন রোমাকে। সেভিয়া ৫৫ মিনিটে খেলায় সমতা ফেরায় মানচিনির আত্মঘাতি গোলের কল্যাণে। সেভিয়া খেলায় প্রাধান্য বজায় রাখলেও কাউন্টার অ্যাটাক এবং সেট পিস থেকে বেশী গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে রোমাই।
সেভিয়া ঘরোয়া ফুটবলে ভাল করতে না পারলেও ইউরোপিয়ান ফুটবলে দারুন খেলে শিরোপা জিতলো। তারা ফাইনালে ওঠার পথে হারিয়েছে পিএসভি আইন্দোফন, ফেনারবাখে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইউভেন্তুসকে।
মরিনিয়োর জন্য পরাজয়টি ছিল খুবই কষ্টের। এর আগে তিনি কোন ফাইনালে হারেননি। গত মৌসুমে তিনি দলকে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। এ দিন পুরস্কার বিতরনীর পর তার রানার্স আপ পদক একজন সমর্থককে দিয়ে দেন মরিনিয়ো। মরিনিয়ো বলেন, ‘আমি কোন রৌপ্য পদক জিততে চাই না। এটা নিজের কাছেও রাখতে চাই না। তাই একজন সমর্থককে এটা দিয়ে দিয়েছি।’
ইউরোপা লিগ
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
ইউরোপা লিগের কিং খ্যাত সেভিয়া বুধবার বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টাইব্রেকারে ইটালির রোমাকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রোমা এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় দলটির কোচ জোসে মরিনিয়ো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রথম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলেন। এর আগে ৫বার ফাইনালে দল নিয়ে মাঠে নেমে সব কবারই জিতেছিলেন তিনি।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ফাইনাল নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে। সেখানে গঞ্জালো মন্টিয়েল শেষ শট থেকে গোল করে সেভিয়াকে ট্রফি এনে দেন। তিনি বিশ্বকাপের ফাইনালেও টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আর্জেন্টিনার পক্ষে। তার প্রথমবারের শটটি রুখে দিয়েছিলেন রোমার গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। কিন্তু রেফারি জানান গোলরক্ষক নির্ধারিত সময়ের আগেই গোল লাইন ছেড়ে সামনে চলেগিয়েছিলেন, তাই পুনরায় শট মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি মন্টিয়েল।
টাইব্রেকারে সেভিয়ার জয়ের নায়ক ছিলেন মরোক্কান গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। বিশ্বকাপে সবার নজর কাড়া এ গোলরক্ষক রুখে দেন জিয়ানলুকা মানচিনি এবং রজার ইবানেজের শট। সেভিয়া তাদের প্রথম চারটি শট থেকেই গোল করলে ৫ম শট মারার আর দরকার হয়নি।
সেভিয়াকে বলা হয় ইউরোপা লিগের কিং। তারা এ নিয়ে সাতবার ফাইনালে খেলে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হলো। তারা শেষ চারটি ফাইনালে প্রথমে গোল খেয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে। এ ম্যাচেও তাই হয়েছে। রোমা গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টি করে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় তারা।
পরিসংখ্যানে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল সেভিয়া। বল ছিল তাদের দখলে ৬৫% সময়। মূলত রোমা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার কৌশল গ্রহণ করাতেই বল দখলে এগিয়ে থাকার বাড়তি সুবিধা পায় সেভিয়া। রোমা খেলেছে ৫জন ডিফেন্ডার নিয়ে। ম্যাচ হয়েছে খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। রেফারি মোট ১৪টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। ইনজুরি টাইম খেলানো হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পাওলো দিবালা গোল করে এগিয়ে দেন রোমাকে। সেভিয়া ৫৫ মিনিটে খেলায় সমতা ফেরায় মানচিনির আত্মঘাতি গোলের কল্যাণে। সেভিয়া খেলায় প্রাধান্য বজায় রাখলেও কাউন্টার অ্যাটাক এবং সেট পিস থেকে বেশী গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে রোমাই।
সেভিয়া ঘরোয়া ফুটবলে ভাল করতে না পারলেও ইউরোপিয়ান ফুটবলে দারুন খেলে শিরোপা জিতলো। তারা ফাইনালে ওঠার পথে হারিয়েছে পিএসভি আইন্দোফন, ফেনারবাখে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইউভেন্তুসকে।
মরিনিয়োর জন্য পরাজয়টি ছিল খুবই কষ্টের। এর আগে তিনি কোন ফাইনালে হারেননি। গত মৌসুমে তিনি দলকে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। এ দিন পুরস্কার বিতরনীর পর তার রানার্স আপ পদক একজন সমর্থককে দিয়ে দেন মরিনিয়ো। মরিনিয়ো বলেন, ‘আমি কোন রৌপ্য পদক জিততে চাই না। এটা নিজের কাছেও রাখতে চাই না। তাই একজন সমর্থককে এটা দিয়ে দিয়েছি।’