alt

সম্পাদকীয়

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

: বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষ প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি নতুন সূচনা। এটি আমাদের জন্য শুধু ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ পরিবর্তন নয়, বরং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি। প্রতিটি নববর্ষ আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং স্বপ্ন নিয়ে আসে।

নববর্ষে আমরা অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সংকল্প গ্রহণ করি। এটি আত্মসমীক্ষার সময়, যেখানে আমরা ব্যক্তি এবং জাতি হিসেবে নিজেদের অর্জন এবং ব্যর্থতাগুলো পর্যালোচনা করি। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেÑব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকÑউন্নতির জন্য নতুন পরিকল্পনা করা এই সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

নববর্ষ আমাদের অতীত মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে উদ্ধুদ্ধ করে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন দেখেছিল, তার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই প্রশ্ন এখনও প্রাসঙ্গিক। বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমতার বাংলাদেশের যে আশা আমরা পোষণ করেছিলাম, তা এখনও পূর্ণতা পায়নি।

মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রেরণা ছিল সাম্যের ভিত্তিতে একটি সমাজ গঠন। মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যের অবসানই ছিল সেই লড়াইয়ের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। তবুও, সাম্প্রতিক কয়েক মাসের ঘটনাবলী অনেককে হতাশ করেছে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মুক্ত চিন্তা এবং ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি কি বাস্তবে রূপ নিচ্ছে? এই প্রশ্ন আজও ঘুরপাক খায়।

অনেকেই অঙ্গীকারের সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজতে গিয়ে কিছুট হলেও হতাশ হচ্ছেন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যেসব লক্ষণগুলো দেখা দিয়েছে তাতে সেই আশা ধরে রাখতে পারছেন না অনেকেই। এই হতাশা নতুন বছরে দূর হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোকÑআমরা মানবিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করব। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মেলবন্ধন। প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে, বৈষম্যমুক্ত উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। আগামীর বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেখানে প্রত্যেক মানুষ মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবে।

নতুন বছরের সূচনায় আমাদের প্রত্যাশাÑগণতন্ত্র, আইনের শাসন, এবং মুক্ত চিন্তার আলোয় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা এগিয়ে যাব। এবার যেন আর স্বপ্নভঙ্গ না হয়।

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

tab

সম্পাদকীয়

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষ প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি নতুন সূচনা। এটি আমাদের জন্য শুধু ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ পরিবর্তন নয়, বরং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি। প্রতিটি নববর্ষ আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং স্বপ্ন নিয়ে আসে।

নববর্ষে আমরা অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সংকল্প গ্রহণ করি। এটি আত্মসমীক্ষার সময়, যেখানে আমরা ব্যক্তি এবং জাতি হিসেবে নিজেদের অর্জন এবং ব্যর্থতাগুলো পর্যালোচনা করি। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেÑব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকÑউন্নতির জন্য নতুন পরিকল্পনা করা এই সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

নববর্ষ আমাদের অতীত মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে উদ্ধুদ্ধ করে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের যে স্বপ্ন দেখেছিল, তার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই প্রশ্ন এখনও প্রাসঙ্গিক। বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমতার বাংলাদেশের যে আশা আমরা পোষণ করেছিলাম, তা এখনও পূর্ণতা পায়নি।

মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রেরণা ছিল সাম্যের ভিত্তিতে একটি সমাজ গঠন। মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যের অবসানই ছিল সেই লড়াইয়ের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও আমরা সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। তবুও, সাম্প্রতিক কয়েক মাসের ঘটনাবলী অনেককে হতাশ করেছে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মুক্ত চিন্তা এবং ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি কি বাস্তবে রূপ নিচ্ছে? এই প্রশ্ন আজও ঘুরপাক খায়।

অনেকেই অঙ্গীকারের সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজতে গিয়ে কিছুট হলেও হতাশ হচ্ছেন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যেসব লক্ষণগুলো দেখা দিয়েছে তাতে সেই আশা ধরে রাখতে পারছেন না অনেকেই। এই হতাশা নতুন বছরে দূর হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোকÑআমরা মানবিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করব। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মেলবন্ধন। প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে, বৈষম্যমুক্ত উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। আগামীর বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেখানে প্রত্যেক মানুষ মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবে।

নতুন বছরের সূচনায় আমাদের প্রত্যাশাÑগণতন্ত্র, আইনের শাসন, এবং মুক্ত চিন্তার আলোয় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা এগিয়ে যাব। এবার যেন আর স্বপ্নভঙ্গ না হয়।

back to top