বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হতাহতের সংখ্যা কমেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৯০৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১৮ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় নিহতের সংখ্যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ৫৬.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবতা হলো, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও অনেকাংশে উপেক্ষিত।
বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং বিধিমালায় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সেইফটি কমিটি গঠন এবং সেইফটি অডিট চালুর বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ, যেখানে শ্রমিকদের অধিকাংশই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করেন।
শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেবল সরকার বা শ্রম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়। শিল্প মালিক, ব্যবস্থাপক, এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি।
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকের নিরাপত্তা মানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, যা শিল্প ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে; তাই এই সংকট নিরসনে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগই পারে একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে।
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হতাহতের সংখ্যা কমেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৯০৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১৮ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় নিহতের সংখ্যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ৫৬.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবতা হলো, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও অনেকাংশে উপেক্ষিত।
বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং বিধিমালায় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সেইফটি কমিটি গঠন এবং সেইফটি অডিট চালুর বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ, যেখানে শ্রমিকদের অধিকাংশই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করেন।
শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেবল সরকার বা শ্রম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়। শিল্প মালিক, ব্যবস্থাপক, এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি।
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকের নিরাপত্তা মানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, যা শিল্প ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে; তাই এই সংকট নিরসনে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগই পারে একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে।