alt

সম্পাদকীয়

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

: বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হতাহতের সংখ্যা কমেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৯০৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১৮ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় নিহতের সংখ্যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ৫৬.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবতা হলো, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও অনেকাংশে উপেক্ষিত।

বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং বিধিমালায় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সেইফটি কমিটি গঠন এবং সেইফটি অডিট চালুর বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ, যেখানে শ্রমিকদের অধিকাংশই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করেন।

শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেবল সরকার বা শ্রম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়। শিল্প মালিক, ব্যবস্থাপক, এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকের নিরাপত্তা মানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, যা শিল্প ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে; তাই এই সংকট নিরসনে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগই পারে একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে।

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

tab

সম্পাদকীয়

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হতাহতের সংখ্যা কমেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৯০৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১৮ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় নিহতের সংখ্যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ৫৬.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবতা হলো, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও অনেকাংশে উপেক্ষিত।

বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং বিধিমালায় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সেইফটি কমিটি গঠন এবং সেইফটি অডিট চালুর বিধান থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ, যেখানে শ্রমিকদের অধিকাংশই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কাজ করেন।

শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেবল সরকার বা শ্রম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়। শিল্প মালিক, ব্যবস্থাপক, এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকের নিরাপত্তা মানে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, যা শিল্প ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে; তাই এই সংকট নিরসনে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত উদ্যোগই পারে একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে।

back to top