গত বছর দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক রূপে বিরাজ করেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের প্রতিবেদনে যেসব বিষয় তুলে ধরেছে, তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলে দেয়। বিশেষত, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার হাতে বিচারের নামে অমানবিক হত্যাকা-ের ঘটনা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১২৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মব জাস্টিসের মতো ঘটনা দেশে আইনের শাসনের অভাব এবং নাগরিকদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। ২০২৪ সালে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। হিসাব অনুযায়ী, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ১৪৭টি হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০৮টি বাড়িঘর এবং ৩৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতা দেশের সামাজিক শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনে রাখা প্রয়োজন, মানবাধিকার শুধু একটিমাত্র সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর অধিকার নয়। এটি সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশে মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতীয়ভাবে স্বীকৃত অনেক পন্থা রয়েছে, তবুও এগুলোর কার্যকর প্রয়োগে অনেক সময়েই ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে গোষ্ঠীস্বার্থ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহিতা এবং সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।
যদি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মানবাধিকার রক্ষায় সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে, তবে আগামীতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নাগরিকদের নিরাপত্তা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, এবং সামাজিক শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো গ্রহণ করা না হলে, দেশের ভবিষ্যৎ সংকটময় হয়ে উঠবে।
মানবাধিকার রক্ষার জন্য দেশের সংবিধান এবং আইনের প্রতি সংশ্লিষ্টদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে। তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫
গত বছর দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক রূপে বিরাজ করেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের প্রতিবেদনে যেসব বিষয় তুলে ধরেছে, তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলে দেয়। বিশেষত, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার হাতে বিচারের নামে অমানবিক হত্যাকা-ের ঘটনা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১২৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মব জাস্টিসের মতো ঘটনা দেশে আইনের শাসনের অভাব এবং নাগরিকদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। ২০২৪ সালে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। হিসাব অনুযায়ী, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ১৪৭টি হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০৮টি বাড়িঘর এবং ৩৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এ ধরনের সহিংসতা দেশের সামাজিক শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনে রাখা প্রয়োজন, মানবাধিকার শুধু একটিমাত্র সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর অধিকার নয়। এটি সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশে মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতীয়ভাবে স্বীকৃত অনেক পন্থা রয়েছে, তবুও এগুলোর কার্যকর প্রয়োগে অনেক সময়েই ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে গোষ্ঠীস্বার্থ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহিতা এবং সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।
যদি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মানবাধিকার রক্ষায় সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারে, তবে আগামীতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নাগরিকদের নিরাপত্তা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, এবং সামাজিক শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো গ্রহণ করা না হলে, দেশের ভবিষ্যৎ সংকটময় হয়ে উঠবে।
মানবাধিকার রক্ষার জন্য দেশের সংবিধান এবং আইনের প্রতি সংশ্লিষ্টদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে। তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।