alt

সম্পাদকীয়

বনে কেন করাতকল

: বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫

আইন অনুযায়ী বনের সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল স্থাপন করা যাবে না। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মানা হয়নি এই আইন। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২৫টি করাতকল রয়েছে এর মধ্যে ১৭টির কোনো অনুমোদন নেই। অভিযোগ আছে, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে করাতকলগুলো চালাতে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের।

শুধু দেশের এই একটি স্থানেই নয়, এরকম অবৈধ করাতকল রয়েছে দেশের আরও অনেক বনাঞ্চলে। সংরক্ষিত বনের আশপাশেই এগুলো গড়ে ওঠে এবং চলে বহাল তবিয়তে। দিব্যি বন থেকে গাছ কাটা হয়, প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে সেসব গাছ করাতকলে চেরাই করা হয়। বাধা দেয়ার কেউ নেই। এক-দুদিন নয়, বছরের পর বছর ধরে চলছে এ অনিয়ম।

করাতকল বিধিমালা-২০১২ তে বলা আছে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। বন আইন অনুযায়ী, যে কোন গাছ এমনকি ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো বড় গাছ কাটতেও বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় এবং কোনো করাতকল মালিক অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না এবং করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর আবার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়।

প্রশ্ন হচ্ছেÑপ্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনের আশপাশে ডজন ডজন করাতকল গড়ে ওঠে কিভাবে। বন রক্ষায় আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। তবে এর টেকসই সমাধান মিলছে না।

আমরা বলতে চাই, সংরক্ষিত বনে করাতকল গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কারা ওই বনসংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করেছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অতি দ্রুত অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে হবে এবং দেশের অন্যত্রও অভিযান চালাতে হবে। বনবিভাগে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা দরকার। অভিযোগ আছে যারা বন ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। সংরক্ষিত বন রক্ষায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

tab

সম্পাদকীয়

বনে কেন করাতকল

বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫

আইন অনুযায়ী বনের সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাতকল স্থাপন করা যাবে না। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মানা হয়নি এই আইন। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২৫টি করাতকল রয়েছে এর মধ্যে ১৭টির কোনো অনুমোদন নেই। অভিযোগ আছে, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে করাতকলগুলো চালাতে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের।

শুধু দেশের এই একটি স্থানেই নয়, এরকম অবৈধ করাতকল রয়েছে দেশের আরও অনেক বনাঞ্চলে। সংরক্ষিত বনের আশপাশেই এগুলো গড়ে ওঠে এবং চলে বহাল তবিয়তে। দিব্যি বন থেকে গাছ কাটা হয়, প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে সেসব গাছ করাতকলে চেরাই করা হয়। বাধা দেয়ার কেউ নেই। এক-দুদিন নয়, বছরের পর বছর ধরে চলছে এ অনিয়ম।

করাতকল বিধিমালা-২০১২ তে বলা আছে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। বন আইন অনুযায়ী, যে কোন গাছ এমনকি ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো বড় গাছ কাটতেও বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় এবং কোনো করাতকল মালিক অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না এবং করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর আবার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়।

প্রশ্ন হচ্ছেÑপ্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনের আশপাশে ডজন ডজন করাতকল গড়ে ওঠে কিভাবে। বন রক্ষায় আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। তবে এর টেকসই সমাধান মিলছে না।

আমরা বলতে চাই, সংরক্ষিত বনে করাতকল গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। কারা ওই বনসংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করেছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অতি দ্রুত অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে হবে এবং দেশের অন্যত্রও অভিযান চালাতে হবে। বনবিভাগে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা দরকার। অভিযোগ আছে যারা বন ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। সংরক্ষিত বন রক্ষায় নজরদারি বাড়াতে হবে।

back to top