alt

উপ-সম্পাদকীয়

গার্মেন্টস খাতে সংকট

সাঈদ চৌধুরী

: বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে আসছে শ্রমিকরা। তাদের দাবি আছে; দাবি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দাবির বিপরীতে মালিকদের সক্ষমতা, আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিস্থিতি এবং একটি দেশের মূলধন বিষয়ক অনেক তথ্য জানা ও বোঝা প্রয়োজন। কোন ক্ষুধা মেটাবো আমরা? সেদিন গাজীপুরের সালনা এলাকায় একটি গার্মেন্টস কর্মীরা বের হয়ে আন্দোলন করার সময় খুব সামনে থেকে শুনলাম তাদের দাবিগুলোর কথা। একজন বলছে বেতন বাড়ে না বলেই আমরা আজ রাস্তায়। রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়া আরেকজন বলছে আমার বাবার হার্টে রিং পরিয়েছি তাকে বাসায় নেবো একটু যেতে দেন। একটা গাড়ি ছাড়লেই হুমড়ি খেয়ে গাড়ি ভাঙতে দৌড়ে আসে শ্রমিকরা।

অন্যদিকে রোগীর আহাজারি। এর আগে নিশ্চয়ই মালিকপক্ষ বেতন নিয়ে করেছে চাতুরতা! সঙ্গে হাজার শিশু, রোগী, বৃদ্ধ সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা! পোড়াবাড়ির মতো এমন ঘটনা সারাদেশেই হচ্ছে। বাঘের বাজারে দুদিন ধরে আন্দোলন হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলার পর মনে হলো তাদেও বিশ^াস একটি চাকরি গেলে অন্যটায় চাকরি করবে। তার মানে তাদের ধারণাই নাই যে তারা কতটা ভয়ের মধ্যে আছে! সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক ও সুদৃঢ় উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়ছে। রাস্তার এমন দশা কতটা যে কষ্টের তা যে না দেখেছে সে বুঝবে না! তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আমরা যে আয় করি তা পুরো দেশের আয়ের অর্ধেকেরও বেশি। সুতরাং এই সেক্টরে কীভাবে কাজ করলে আমাদের সবার মধ্যেই বোঝাপড়া বাড়বে এবং সব অধিকার রক্ষা করে আমরা কাজ করতে পারব তা বোঝা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিজিএমইয়ের আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। যৌক্তিক দাবির বাইরে গিয়ে যারা দাবি তুলছে তাদের কাউন্সিলিং করা প্রয়োজন। এ কাজগুলো না করলে একবার অস্থিতিশীল হলে আমাদের বিশ্ব বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করবে। প্রতিযোগিতার বিশ্বে মার্কেট ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

যারা আন্দোলন করছে তাদের জীবিকার একমাত্র পথই হলো তাদের এই ফ্যাক্টরিগুলো। সুতরাং কাজ ক্ষতি করে, কাজ বন্ধ করে আন্দোলন নয় বরং দাবিগুলো লিখিতভাবে সরকারের কাছে পৌঁছানোর পর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। অর্থনীতি, পরিবেশগত ও কমপ্লায়ান্ট টেকসই ফ্যাক্টরিগুলোর দিক থেকে সংখ্যায় বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বেশি। আমাদের এ এগিয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরাই মূল শক্তি। তাই তাদের সঙ্গে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ, সরকার এবং যারা স্টেকহোল্ডার আছে সবার একই সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। এই সেক্টরে সম্পূর্ণ স্থীতিশীলতা আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। এর বাইরে যদি এমন কেউ থাকে যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের বিষয়েও তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। এ ধরনের উসকানি নিশ্চয়ই দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা। আমাদের এই দেশটি দুর্নীতি থেকে বের হতে পারলে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে পারে এবং এ কারণেই অর্থনীতির প্রধান খাত সবুজ শিল্পায়নকেই বিবেচনায় আনতে হবে ।

[লেখক : রসায়নবিদ, শ্রীপুর, গাজীপুর]

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের অগ্রদূত

দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার বন্ধ করতে হবে

মা তোর বদনখানি মলিন হলে

ব্যবসায়ী নেতৃত্বশূন্য ই-ক্যাব

মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতির প্রাসঙ্গিকতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

গার্মেন্টস খাতে সংকট

সাঈদ চৌধুরী

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে আসছে শ্রমিকরা। তাদের দাবি আছে; দাবি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দাবির বিপরীতে মালিকদের সক্ষমতা, আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিস্থিতি এবং একটি দেশের মূলধন বিষয়ক অনেক তথ্য জানা ও বোঝা প্রয়োজন। কোন ক্ষুধা মেটাবো আমরা? সেদিন গাজীপুরের সালনা এলাকায় একটি গার্মেন্টস কর্মীরা বের হয়ে আন্দোলন করার সময় খুব সামনে থেকে শুনলাম তাদের দাবিগুলোর কথা। একজন বলছে বেতন বাড়ে না বলেই আমরা আজ রাস্তায়। রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়া আরেকজন বলছে আমার বাবার হার্টে রিং পরিয়েছি তাকে বাসায় নেবো একটু যেতে দেন। একটা গাড়ি ছাড়লেই হুমড়ি খেয়ে গাড়ি ভাঙতে দৌড়ে আসে শ্রমিকরা।

অন্যদিকে রোগীর আহাজারি। এর আগে নিশ্চয়ই মালিকপক্ষ বেতন নিয়ে করেছে চাতুরতা! সঙ্গে হাজার শিশু, রোগী, বৃদ্ধ সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা! পোড়াবাড়ির মতো এমন ঘটনা সারাদেশেই হচ্ছে। বাঘের বাজারে দুদিন ধরে আন্দোলন হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলার পর মনে হলো তাদেও বিশ^াস একটি চাকরি গেলে অন্যটায় চাকরি করবে। তার মানে তাদের ধারণাই নাই যে তারা কতটা ভয়ের মধ্যে আছে! সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক ও সুদৃঢ় উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়ছে। রাস্তার এমন দশা কতটা যে কষ্টের তা যে না দেখেছে সে বুঝবে না! তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আমরা যে আয় করি তা পুরো দেশের আয়ের অর্ধেকেরও বেশি। সুতরাং এই সেক্টরে কীভাবে কাজ করলে আমাদের সবার মধ্যেই বোঝাপড়া বাড়বে এবং সব অধিকার রক্ষা করে আমরা কাজ করতে পারব তা বোঝা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিজিএমইয়ের আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। যৌক্তিক দাবির বাইরে গিয়ে যারা দাবি তুলছে তাদের কাউন্সিলিং করা প্রয়োজন। এ কাজগুলো না করলে একবার অস্থিতিশীল হলে আমাদের বিশ্ব বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করবে। প্রতিযোগিতার বিশ্বে মার্কেট ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

যারা আন্দোলন করছে তাদের জীবিকার একমাত্র পথই হলো তাদের এই ফ্যাক্টরিগুলো। সুতরাং কাজ ক্ষতি করে, কাজ বন্ধ করে আন্দোলন নয় বরং দাবিগুলো লিখিতভাবে সরকারের কাছে পৌঁছানোর পর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। অর্থনীতি, পরিবেশগত ও কমপ্লায়ান্ট টেকসই ফ্যাক্টরিগুলোর দিক থেকে সংখ্যায় বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বেশি। আমাদের এ এগিয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরাই মূল শক্তি। তাই তাদের সঙ্গে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ, সরকার এবং যারা স্টেকহোল্ডার আছে সবার একই সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। এই সেক্টরে সম্পূর্ণ স্থীতিশীলতা আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। এর বাইরে যদি এমন কেউ থাকে যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের বিষয়েও তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। এ ধরনের উসকানি নিশ্চয়ই দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা। আমাদের এই দেশটি দুর্নীতি থেকে বের হতে পারলে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে পারে এবং এ কারণেই অর্থনীতির প্রধান খাত সবুজ শিল্পায়নকেই বিবেচনায় আনতে হবে ।

[লেখক : রসায়নবিদ, শ্রীপুর, গাজীপুর]

back to top