alt

উপ-সম্পাদকীয়

সাইবার ঝুঁকির চক্রে বাংলাদেশ

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ

: রোববার, ২৫ মে ২০২৫

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবন আজ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তিনির্ভর। বিশেষ করে ইন্টারনেটভিত্তিক ডিজিটাল লেনদেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, বিগ ডেটাÑসবকিছুর ওপর আমাদের নির্ভরতা বাড়ছে। এই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও।

সাইবার আক্রমণ বলতে বোঝায় ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে তথ্য চুরি, বিকৃতি বা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রচেষ্টা। বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ১.১৩ বিলিয়ন ওয়েবসাইট সক্রিয়, কিন্তু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন মাত্র ০.২৪ শতাংশ। আর মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১৮.২২ বিলিয়নের কাছাকাছি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। তাই ফোন হারানো বা হ্যাক হওয়ার প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

থ্রেট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে সাইবার হামলার হার বেড়েছে ১০৫%। মাত্র তিন মাসে রিপোর্ট হওয়া ঘটনা ১৬৪ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৭টিতে। এই বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পরিকাঠামোর দুর্বলতাকেই সামনে এনে দেয়।

ব্যাংক, বিমা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানÑসব ক্ষেত্রেই আজ সাইবার ঝুঁকি স্পষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং নির্বাচন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে, আমরা কতটা অরক্ষিত। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট্রাল ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা।

আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভ সার্ট’ ২০২২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানায়, আকিজ গ্রুপ, বেক্সিমকো এবং ডিজিকন টেকনোলজিসের মতো বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও র‌্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়। আকিজ গ্রুপের ওয়েবসাইট, সার্ভার, ই-মেইল ও ডেটাবেজের তথ্য ডার্ক ওয়েবে ছড়িয়ে পড়ে। বেক্সিমকোর শত শত গিগাবাইট তথ্য, ৫৬ হাজার পেমেন্ট রেকর্ড ফাঁস হয়। রাশিয়ান ‘কন্টি’ হ্যাকার গ্রুপের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডিজিকনও।

তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তারা নিজস্ব সক্ষমতায় আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেরেছে এবং বড় কোনো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েনি। কিন্তু এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি এবং তথ্যের অপব্যবহারের সম্ভাবনা ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।

২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৩.৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ সাইবার অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতি বছর গড়ে ২০০০টির বেশি তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে, যার প্রতিটির গড় ক্ষতি ৩.৯ মিলিয়ন ডলার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮.১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত)। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অধীনস্ত সিআইএসএ সাইবার হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। সংস্থাটি ‘সাইবার হাইজিন’ নামক একটি ধারণা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে, যার আওতায় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেÑশক্তিশালী পাসওয়ার্ড, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট, সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক না করা এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখা।

২০২০ সালের আগে গ্লোবাল সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ ছিল ৮৮তম, কিন্তু পরে ৮১.২৭ স্কোর করে ৫৩তম স্থানে উঠে আসে। যদিও এটি অগ্রগতি, তবে বর্তমান হুমকির মাত্রা বিবেচনায় যথেষ্ট নয়। এখন সময় এসেছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার।

সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ, দক্ষ জনবল তৈরি, প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া কৌশল নির্ধারণ, জাতীয় সাইবার হেল্প ডেস্ক কার্যকর করা, ইত্যাদি পদক্ষেপ অবিলম্বে প্রয়োজন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে সাইবার নিরাপত্তা বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য বিষয়। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রÑসবাই আজ সাইবার হুমকির আওতায়। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সচেতনতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনগত কাঠামোর যুগপৎ উন্নয়ন অপরিহার্য। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা এখন আর বিকল্প নয়Ñএটি মূল জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

[লেখক : সংবাদকর্মী]

ছবি

কীভাবে পাকিস্তান ভারতের রাফায়েলকে পরাস্ত করল

ছবি

নজরুলের দ্রোহ চেতনার স্বরূপ সন্ধানে

পিতৃতন্ত্রের মনস্তত্ত্ব ও নারীর গ-িবদ্ধতা

চিরতন ও কালীচরণ : শতবর্ষ আগে যারা আইনের মঞ্চে উঠেছিলেন

রম্যগদ্য : প্লিজ স্যার... প্লিজ, ইকটু রেহাই দ্যান...

জমি, সম্মান ও প্রতিহিংসার নির্মম রাজনীতি

জানি তিনি মোড়ল বটে, আমাদের কেন তা হতে হবে

ভূমি মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় যুগোপযোগী আমূল সংস্কার জরুরি

বরেন্দ্রর মাটিতে আমের বিপ্লব : সম্ভাবনা ও সতর্কবার্তা

অবশেষে ‘হাসিনা’ গ্রেফতার

স্ক্যাবিস সংক্রমণের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

বাস্তবমুখী বাজেটের প্রত্যাশা : বৈষম্যহীন অর্থনীতির পথে কতটা অগ্রগতি?

কৌশল নয়, এবার প্রযুক্তিতে সৌদি-মার্কিন জোট

সিউল : স্বর্গ নেমেছে ধরায়

নাচোল বিদ্রোহ ও ইলা মিত্র সংগ্রহশালা : সাঁওতাল স্মৃতি কেন উপেক্ষিত?

ছবি

অন্ধকার সত্য, শেষ সত্য নয়!

বিয়েতে মিতব্যয়িতা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বঞ্চনার কথা

রোহিঙ্গা সমস্যা : বাহবা, ব্যর্থতা ও ভবিষ্যতের ভয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

প্রযুক্তির ফাঁদে শৈশব : স্ক্রিন টাইম গিলে খাচ্ছে খেলার মাঠ

রমগদ্য : সিরাজগঞ্জে ‘ব্রিটিশ প্রেতাত্মা’

বামপন্থা : নীতির সঙ্গে নেতৃত্বের ভূমিকা

দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ : জনশিক্ষা ও সুশাসনের পথ

ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ড : সুবিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব

কারাগার, সংশোধনাগার ও ভবঘুরে কেন্দ্রগুলোর সংস্কার কি হবে

জ্বালানির বদল, জীবিকার ঝুঁকি

প্রসঙ্গ : রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও চট্টগ্রামে এস্কর্ট ডিউটি

দেশটা কারো বাপের নয়!

বুদ্ধের বাণীতে বিশ্বশান্তির প্রার্থনা

আর কত ধর্ষণের খবর শুনতে হবে?

সংস্কারের স্বপ্ন বনাম বাস্তবতার রাজনীতি

মধুমাসের স্মৃতি ও দেশীয় ফলের রসাল সমারোহ

মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

লিঙ্গের রাজনীতি বা বিবাদ নয়, চাই মানবিকতার নিবিড় বন্ধন

বাজেট : বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

সাইবার ঝুঁকির চক্রে বাংলাদেশ

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ

রোববার, ২৫ মে ২০২৫

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবন আজ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তিনির্ভর। বিশেষ করে ইন্টারনেটভিত্তিক ডিজিটাল লেনদেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, বিগ ডেটাÑসবকিছুর ওপর আমাদের নির্ভরতা বাড়ছে। এই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও।

সাইবার আক্রমণ বলতে বোঝায় ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে তথ্য চুরি, বিকৃতি বা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রচেষ্টা। বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ১.১৩ বিলিয়ন ওয়েবসাইট সক্রিয়, কিন্তু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন মাত্র ০.২৪ শতাংশ। আর মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১৮.২২ বিলিয়নের কাছাকাছি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। তাই ফোন হারানো বা হ্যাক হওয়ার প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

থ্রেট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে সাইবার হামলার হার বেড়েছে ১০৫%। মাত্র তিন মাসে রিপোর্ট হওয়া ঘটনা ১৬৪ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩৭টিতে। এই বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পরিকাঠামোর দুর্বলতাকেই সামনে এনে দেয়।

ব্যাংক, বিমা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানÑসব ক্ষেত্রেই আজ সাইবার ঝুঁকি স্পষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং নির্বাচন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে, আমরা কতটা অরক্ষিত। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট্রাল ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা।

আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভ সার্ট’ ২০২২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানায়, আকিজ গ্রুপ, বেক্সিমকো এবং ডিজিকন টেকনোলজিসের মতো বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও র‌্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হয়। আকিজ গ্রুপের ওয়েবসাইট, সার্ভার, ই-মেইল ও ডেটাবেজের তথ্য ডার্ক ওয়েবে ছড়িয়ে পড়ে। বেক্সিমকোর শত শত গিগাবাইট তথ্য, ৫৬ হাজার পেমেন্ট রেকর্ড ফাঁস হয়। রাশিয়ান ‘কন্টি’ হ্যাকার গ্রুপের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডিজিকনও।

তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তারা নিজস্ব সক্ষমতায় আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেরেছে এবং বড় কোনো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েনি। কিন্তু এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি এবং তথ্যের অপব্যবহারের সম্ভাবনা ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।

২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৩.৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ সাইবার অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতি বছর গড়ে ২০০০টির বেশি তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে, যার প্রতিটির গড় ক্ষতি ৩.৯ মিলিয়ন ডলার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮.১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত)। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অধীনস্ত সিআইএসএ সাইবার হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। সংস্থাটি ‘সাইবার হাইজিন’ নামক একটি ধারণা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে, যার আওতায় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেÑশক্তিশালী পাসওয়ার্ড, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট, সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক না করা এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখা।

২০২০ সালের আগে গ্লোবাল সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ ছিল ৮৮তম, কিন্তু পরে ৮১.২৭ স্কোর করে ৫৩তম স্থানে উঠে আসে। যদিও এটি অগ্রগতি, তবে বর্তমান হুমকির মাত্রা বিবেচনায় যথেষ্ট নয়। এখন সময় এসেছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে নীতিমালা ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার।

সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ, দক্ষ জনবল তৈরি, প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া কৌশল নির্ধারণ, জাতীয় সাইবার হেল্প ডেস্ক কার্যকর করা, ইত্যাদি পদক্ষেপ অবিলম্বে প্রয়োজন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে সাইবার নিরাপত্তা বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য বিষয়। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রÑসবাই আজ সাইবার হুমকির আওতায়। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সচেতনতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনগত কাঠামোর যুগপৎ উন্নয়ন অপরিহার্য। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা এখন আর বিকল্প নয়Ñএটি মূল জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

[লেখক : সংবাদকর্মী]

back to top