জাঁ-নেসার ওসমান
‘কি রে ভাই ভারতের বাবরি মসজিদ ভাইঙ্গা হেই জায়গায় রাম মন্দির তুইল্লা কাঁসার ঘণ্টানি বাজান, ডন ডনা ডন ডন!’ ‘আরে না, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিগত ধর্ম থাকবে, থাকতেই পারে- তা নিয়ে আমার বলার কিছুই নাই। শুনিস নাই পাবলিকে বলে ধর্ম যার যার গণতন্ত্র সবার।’
‘সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বিদের সাঁঝের বেলার ঘণ্টা ডন ডনা ডন ডন বাজানোর মইধ্যে গণতন্ত্রের কি পাইলেন? আশ্চর্য্য!’ ‘আচ্ছা তুই ডন ডনা ডন ডন, এর মাঝে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর খোঁজ পাচ্ছিস কি করে?’
‘উঁহ আপনে মিয়া ড্যাডাইঁয়াগো মতো ড্যা ড্যাং ড্যাং, ড্যা ড্যাং ড্যাং ঘণ্টা বাজইবেন আর কোইবেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোরছি! উঁহুরে, এমনে যায়না ত্যানা প্যাঁচ্যায়া।’
‘ভাইরে আমি তো ড্যা ড্যাং ড্যাং, ড্যা ড্যাং ড্যাং ঘণ্টা বাজইনি, আমিতো বলছিলাম ডন ডনা ডন ডন মানে...।’ ‘ওই হোইলো ড্যা ড্যাং ড্যাং আর ডন ডনা ডন একই কথা হয়তো একেক ঘণ্টার শব্দ একেক রকম। যেই ঘণ্টায় পিতল কম তার শব্দ এক রকম, আর যেই ঘণ্টায় কাঁসা কম তার শব্দ আরেক রকম। কিন্তু ঘণ্টার আওয়াজ যাই হোক এইডা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাঁঝের ঘণ্টাধ্বনী। আমি কয়া দিলাম ব্যাস।’
‘তুমি কয়াদিলা ব্যাস! তুমি অন্ধমুনির পুত্র দশরথের শব্দভেদী বাণ দিয়ে শ্রবণ কুমারকে মেরে দিতে পারো, কেন একেক ঘণ্টার শব্দ একেক রকম তা নিয়ে গবেষণা করতে পারো, আমি কিন্তু কোনো ধর্ম নিয়ে কিছু বলিনি; আমি বলছিলাম বর্তমান বাংলাদেশে জনগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোরতে গেলে ডনকে লাগবেই।’
‘এইডা আবার কী! ড্যা ড্যাং ড্যাং বাদ দিয়া সাঁঝের ঘণ্টায় ডন ডনা ডন ডন বাজাইলেই জনগণতন্ত্র! হাগোলনি কোনো!’
‘আরে পাগোল এই ডন কোনো কাঁসার ঘণ্টার হাইপিচ শব্দ নয় এটা হচ্ছে ডন, যিনি এক তুড়িতে যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
‘বুঝচ্ছি এইডা তাইলে ভারতের ‘আরে দিয়ানো, মুঝে প্যাঁচানো, ম্যায় হু কোন? ম্যায় হু ডন’ মহানায়ক অমিতাভ বচ্চনের ‘ডন’ সিনেমার ডন।’
‘এই তো ‘এতোক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে...’। তুই ঠিকই ধরেছিস এটা হচ্ছেন আমাদের ওয়লডনের অসময়ের সাথী অঘটন-ঘটন-পটিয়সী সকল সমস্যার দ্রুততম সময়ে সমাধানকারী মি. ডন। তুই খালি তোর সমস্যার কথা বল সাথে সাথে সুষ্ঠু সমাধান।
এটা অমিতাভ বচ্চনের অভিনীত ডন নয়, ইনি হচ্ছেন রক্ত-মাংসে গড়া হাড্ডিসমৃদ্ধ মি. ডন, ওয়ালডনের ডন!’ ‘ওয়ালডন! এইডা আবার কী, ওয়াল মানে দেয়ালের ডন। তাইলে আমাগো ডন কি দেয়াল ধইরা ডন-বৈঠক করে? তাই তার নাম ওয়াল ডন?’
‘আরে ধ্যাৎ তোকে নিয়ে আর পারা যায়না। তুই স্বৈরতন্ত্র আর গণতন্ত্র সব গুলিয়ে ফেলছিস। ইংরেজি শব্দের ওয়াল মানে দেয়াল আবার তার সাথে ডন মিলিয়ে ওয়ালডনকে দেয়াল ধরে উঠ-বস করাচ্ছিস। যেমন বর্তমানে তোর প্রধান তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা নির্বাচন দিবে কি দিবে না, এই নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে উঠ-বস করাচ্ছে, তুইও তেমনি ইংরেজি মিংরেজি মিলিয়ে সব ভজঘট পাকাচ্ছিস!’।
‘ভজঘট আমি পাকাইতাছি না আপনি পাকাইতাছেন। একবার কন ড্যাং ড্যাং আবার কন ডন ডন, তো পাবলিকে মাথামু-ু কি বুঝবো কন?’
‘ভাই এ্যাতো বুদ্ধিমান আশরাফুল মাখলুকাত তুই ক্যেনো এই সামান্য বিষয়টা বুঝবিনা বলতে পারিস!’। ‘ড্যা ড্যাং ড্যাং, ডন ডনা ডন, এই হক্কলডির মাজেজা মানে অর্থ, আমি সামান্য ছা-পোষা কেরানি, আমি ক্যেমনে আপনের এই শব্দভেদী সমস্যার সমাধান করুম কন?’।
‘ভাই একটু চিন্তা কর, একবার বলছে নির্বাচন দুই হাজার পঁচিশের ডিসেম্বরে, আবার বলছিস ২০২৬ সালের এপ্রিলে। তিন দিন পর মহারানী ভিক্টোরিয়ার সাথে দ্যেখা কোরেই বললি নির্বাচন হবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারিতে, আবার বললি সংযমের মাস রমজানে নির্বাচন কোরলে পাবলিক ধর্মের সংযমের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে ভোট জালিয়াতি বা কারচুপি করবে না। কতোরকম শুভঙ্করের ফাঁকি।
এইটা বুঝতে তোর সমস্যা হচ্ছে? তুই সামান্য ছা-পোষা কেরানি বলে কি এই সব টালবাহানা বুঝতে পারছিস না!। এই টালবাহানা বুঝতে সামান্য ছা-পোষা কেরানি ক্যেন পথের খেঁকিকুকুরও বুঝবো যে গত পনেরো বছর স্বৈরাচাররা পয়সা-পয়সা কোইরা নিজেগো গোত্র মারছে, লগে পুরা বাঙালি জাতিটার পশ্চাৎদেশে আছিলা বাঁশ হান্দাইছে। হালায় স্বৈরাচারগো কুকর্মের ফল ফলতাছে।’
‘তাই বলছিলাম বিগত স্বৈরাচারের কথা ভেবে ভেবে হাঁ-হুতাশ না করে তোরা আর একবার এক হ। আমাদের দেশের সত্যিকার অর্থের ভালোর জন্য ভালো ডন ভাই খুঁজে দেশ চালানোর ভার দে, তাহলে তোদের আখেরে ফল ভালো হবে।’
‘সবইতো বুঝি কিন্তুক গত স্বৈরাচাররে ফ্যেলানের লাই¹া, গুম খুন, হেলমেট পইরা মাইর দেওয়া, চাঁন্দাবাজিÑ এসব বন্ধের লাই¹া, স্বৈরাচারের দোসর ছাড়া ব্যেবাক বাঙালি এক হোইছিলো; কিন্তু দেশ গড়ার ব্যাপারে বাঙালি এক হোইতে পারতেছে না।’
‘মানে কি রে, দেশ পরিচালনার সংবিধান কি তোরা মানবি না!’। ‘ক্যেমনে? বেলা কয় চল ডাইনে যাই, মব জাস্টিস কয় ১৯৭১-এর যোদ্ধাগো গলায় জুতার মালা পরা, বাঘায় মাল খায়া টাল হয়া এখোন কয়, অস্ত্র জমা দিছি, ট্রেনিং জমা দেই নাই। হালায় বিধবা পয়সা চুরির সময় মোনে আছিলো না, অহন মহাকবি হোমারের দি ইলিয়ডের, হেক্টরের মতো লম্বা লম্বা কথা কয়।’
‘কিন্তু এখন কী বিগত অতীত নিয়ে অভিমানের সময়! এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশটা মেরামত করারÑ এই সুযোগও কি তুই নষ্ট কোরবি?’। ‘কারে নিয়া সুযোগটা কাজে লাগামু কন? আমাগো সেনাবাহিনী হ্যেরা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাম কোরতাছে। মোটরসাইকেলের হেলমেট বিচড়াইতাছে। এই শিখন্ডি দিয়া কী পারবেন সুযোগটা কাজে লাগাইতে। কন কন কন?’
‘কিন্তু জনগণ দেশের মালিক। মালিক যদি ঘুমিয়ে থাকে তাহলে পাবলিক সার্ভেন্ট মানে চাকর দিয়ে কি দেশ চালাতে পারবি?’
‘তাইলে আর কী করুম বয়া থাকেন, দ্যেখেন কবে মালিকের মানে সাধারণ জনগণের ঘুম ভাঙে!’ ‘ঠিক আছে যাই দেখি ওয়ালডনের ডন ভাইকে বলে দেখিÑ উনি যদি বাংলার আপামর জনসাধারণকে আবার এক করতে পারে ২৫ মার্চের রাত্রির মতো।’
[ লেখক : চলচ্চিত্রকার ]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
‘কি রে ভাই ভারতের বাবরি মসজিদ ভাইঙ্গা হেই জায়গায় রাম মন্দির তুইল্লা কাঁসার ঘণ্টানি বাজান, ডন ডনা ডন ডন!’ ‘আরে না, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিগত ধর্ম থাকবে, থাকতেই পারে- তা নিয়ে আমার বলার কিছুই নাই। শুনিস নাই পাবলিকে বলে ধর্ম যার যার গণতন্ত্র সবার।’
‘সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বিদের সাঁঝের বেলার ঘণ্টা ডন ডনা ডন ডন বাজানোর মইধ্যে গণতন্ত্রের কি পাইলেন? আশ্চর্য্য!’ ‘আচ্ছা তুই ডন ডনা ডন ডন, এর মাঝে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর খোঁজ পাচ্ছিস কি করে?’
‘উঁহ আপনে মিয়া ড্যাডাইঁয়াগো মতো ড্যা ড্যাং ড্যাং, ড্যা ড্যাং ড্যাং ঘণ্টা বাজইবেন আর কোইবেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোরছি! উঁহুরে, এমনে যায়না ত্যানা প্যাঁচ্যায়া।’
‘ভাইরে আমি তো ড্যা ড্যাং ড্যাং, ড্যা ড্যাং ড্যাং ঘণ্টা বাজইনি, আমিতো বলছিলাম ডন ডনা ডন ডন মানে...।’ ‘ওই হোইলো ড্যা ড্যাং ড্যাং আর ডন ডনা ডন একই কথা হয়তো একেক ঘণ্টার শব্দ একেক রকম। যেই ঘণ্টায় পিতল কম তার শব্দ এক রকম, আর যেই ঘণ্টায় কাঁসা কম তার শব্দ আরেক রকম। কিন্তু ঘণ্টার আওয়াজ যাই হোক এইডা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাঁঝের ঘণ্টাধ্বনী। আমি কয়া দিলাম ব্যাস।’
‘তুমি কয়াদিলা ব্যাস! তুমি অন্ধমুনির পুত্র দশরথের শব্দভেদী বাণ দিয়ে শ্রবণ কুমারকে মেরে দিতে পারো, কেন একেক ঘণ্টার শব্দ একেক রকম তা নিয়ে গবেষণা করতে পারো, আমি কিন্তু কোনো ধর্ম নিয়ে কিছু বলিনি; আমি বলছিলাম বর্তমান বাংলাদেশে জনগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কোরতে গেলে ডনকে লাগবেই।’
‘এইডা আবার কী! ড্যা ড্যাং ড্যাং বাদ দিয়া সাঁঝের ঘণ্টায় ডন ডনা ডন ডন বাজাইলেই জনগণতন্ত্র! হাগোলনি কোনো!’
‘আরে পাগোল এই ডন কোনো কাঁসার ঘণ্টার হাইপিচ শব্দ নয় এটা হচ্ছে ডন, যিনি এক তুড়িতে যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
‘বুঝচ্ছি এইডা তাইলে ভারতের ‘আরে দিয়ানো, মুঝে প্যাঁচানো, ম্যায় হু কোন? ম্যায় হু ডন’ মহানায়ক অমিতাভ বচ্চনের ‘ডন’ সিনেমার ডন।’
‘এই তো ‘এতোক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে...’। তুই ঠিকই ধরেছিস এটা হচ্ছেন আমাদের ওয়লডনের অসময়ের সাথী অঘটন-ঘটন-পটিয়সী সকল সমস্যার দ্রুততম সময়ে সমাধানকারী মি. ডন। তুই খালি তোর সমস্যার কথা বল সাথে সাথে সুষ্ঠু সমাধান।
এটা অমিতাভ বচ্চনের অভিনীত ডন নয়, ইনি হচ্ছেন রক্ত-মাংসে গড়া হাড্ডিসমৃদ্ধ মি. ডন, ওয়ালডনের ডন!’ ‘ওয়ালডন! এইডা আবার কী, ওয়াল মানে দেয়ালের ডন। তাইলে আমাগো ডন কি দেয়াল ধইরা ডন-বৈঠক করে? তাই তার নাম ওয়াল ডন?’
‘আরে ধ্যাৎ তোকে নিয়ে আর পারা যায়না। তুই স্বৈরতন্ত্র আর গণতন্ত্র সব গুলিয়ে ফেলছিস। ইংরেজি শব্দের ওয়াল মানে দেয়াল আবার তার সাথে ডন মিলিয়ে ওয়ালডনকে দেয়াল ধরে উঠ-বস করাচ্ছিস। যেমন বর্তমানে তোর প্রধান তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা নির্বাচন দিবে কি দিবে না, এই নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে উঠ-বস করাচ্ছে, তুইও তেমনি ইংরেজি মিংরেজি মিলিয়ে সব ভজঘট পাকাচ্ছিস!’।
‘ভজঘট আমি পাকাইতাছি না আপনি পাকাইতাছেন। একবার কন ড্যাং ড্যাং আবার কন ডন ডন, তো পাবলিকে মাথামু-ু কি বুঝবো কন?’
‘ভাই এ্যাতো বুদ্ধিমান আশরাফুল মাখলুকাত তুই ক্যেনো এই সামান্য বিষয়টা বুঝবিনা বলতে পারিস!’। ‘ড্যা ড্যাং ড্যাং, ডন ডনা ডন, এই হক্কলডির মাজেজা মানে অর্থ, আমি সামান্য ছা-পোষা কেরানি, আমি ক্যেমনে আপনের এই শব্দভেদী সমস্যার সমাধান করুম কন?’।
‘ভাই একটু চিন্তা কর, একবার বলছে নির্বাচন দুই হাজার পঁচিশের ডিসেম্বরে, আবার বলছিস ২০২৬ সালের এপ্রিলে। তিন দিন পর মহারানী ভিক্টোরিয়ার সাথে দ্যেখা কোরেই বললি নির্বাচন হবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারিতে, আবার বললি সংযমের মাস রমজানে নির্বাচন কোরলে পাবলিক ধর্মের সংযমের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে ভোট জালিয়াতি বা কারচুপি করবে না। কতোরকম শুভঙ্করের ফাঁকি।
এইটা বুঝতে তোর সমস্যা হচ্ছে? তুই সামান্য ছা-পোষা কেরানি বলে কি এই সব টালবাহানা বুঝতে পারছিস না!। এই টালবাহানা বুঝতে সামান্য ছা-পোষা কেরানি ক্যেন পথের খেঁকিকুকুরও বুঝবো যে গত পনেরো বছর স্বৈরাচাররা পয়সা-পয়সা কোইরা নিজেগো গোত্র মারছে, লগে পুরা বাঙালি জাতিটার পশ্চাৎদেশে আছিলা বাঁশ হান্দাইছে। হালায় স্বৈরাচারগো কুকর্মের ফল ফলতাছে।’
‘তাই বলছিলাম বিগত স্বৈরাচারের কথা ভেবে ভেবে হাঁ-হুতাশ না করে তোরা আর একবার এক হ। আমাদের দেশের সত্যিকার অর্থের ভালোর জন্য ভালো ডন ভাই খুঁজে দেশ চালানোর ভার দে, তাহলে তোদের আখেরে ফল ভালো হবে।’
‘সবইতো বুঝি কিন্তুক গত স্বৈরাচাররে ফ্যেলানের লাই¹া, গুম খুন, হেলমেট পইরা মাইর দেওয়া, চাঁন্দাবাজিÑ এসব বন্ধের লাই¹া, স্বৈরাচারের দোসর ছাড়া ব্যেবাক বাঙালি এক হোইছিলো; কিন্তু দেশ গড়ার ব্যাপারে বাঙালি এক হোইতে পারতেছে না।’
‘মানে কি রে, দেশ পরিচালনার সংবিধান কি তোরা মানবি না!’। ‘ক্যেমনে? বেলা কয় চল ডাইনে যাই, মব জাস্টিস কয় ১৯৭১-এর যোদ্ধাগো গলায় জুতার মালা পরা, বাঘায় মাল খায়া টাল হয়া এখোন কয়, অস্ত্র জমা দিছি, ট্রেনিং জমা দেই নাই। হালায় বিধবা পয়সা চুরির সময় মোনে আছিলো না, অহন মহাকবি হোমারের দি ইলিয়ডের, হেক্টরের মতো লম্বা লম্বা কথা কয়।’
‘কিন্তু এখন কী বিগত অতীত নিয়ে অভিমানের সময়! এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশটা মেরামত করারÑ এই সুযোগও কি তুই নষ্ট কোরবি?’। ‘কারে নিয়া সুযোগটা কাজে লাগামু কন? আমাগো সেনাবাহিনী হ্যেরা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাম কোরতাছে। মোটরসাইকেলের হেলমেট বিচড়াইতাছে। এই শিখন্ডি দিয়া কী পারবেন সুযোগটা কাজে লাগাইতে। কন কন কন?’
‘কিন্তু জনগণ দেশের মালিক। মালিক যদি ঘুমিয়ে থাকে তাহলে পাবলিক সার্ভেন্ট মানে চাকর দিয়ে কি দেশ চালাতে পারবি?’
‘তাইলে আর কী করুম বয়া থাকেন, দ্যেখেন কবে মালিকের মানে সাধারণ জনগণের ঘুম ভাঙে!’ ‘ঠিক আছে যাই দেখি ওয়ালডনের ডন ভাইকে বলে দেখিÑ উনি যদি বাংলার আপামর জনসাধারণকে আবার এক করতে পারে ২৫ মার্চের রাত্রির মতো।’
[ লেখক : চলচ্চিত্রকার ]