alt

opinion » post-editorial

রম্যগদ্য : ‘দালাল-ধন্বন্তরি-জীবন রক্ষাকারী...’

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ দালাল, ধন্বন্তরি, জীবন রক্ষাকারী, হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ দালাল-মালাল সবইগুলায় বুইঝালচ্ছি মগর এই ধন্বন্তরি এইডা কী? এইডা কি খায় না মাথায় দেয়?’

‘ধুর জঙ্গল, ধন্বন্তরি খায়ও না, মাথায়ও দেয় না, মহাভারতে সমুদ্রমন্থনের সময় অমৃতের ভান্ডার নিয়ে পাতাল থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন এক ডাক্তার যার নাম ধন্বন্তরি। এখন পৃথিবীর সকল ডাক্তারকেই ধন্বন্তরি বলে। বুঝেছিস?’

‘বুঝছি বুঝছি, অহন আমরা যেমন মোটরসাইকেল মানেই বলি হুন্ডা। আসলে হুন্ডা তো কোম্পানির নাম। হুন্ডা মানে মোটরসাইকেল না।’ ‘ঠিক ঠিক অনেকটা তাই। এখন ধন্বন্তরি বললে ডাক্তারদের বোঝায়। বর্তমানে অনেকে মানে অনেক বড় বড় আঁতেলেকচুয়াল মানে বুদ্ধিজীবী ডাক্তারদের ভুল বুঝে মতোওয়ল্লী, মোহন্ত ওরফে বড় বড় ঔষধ কোম্পানির দালাল বা এজেন্ট বলিয়া মন্তব্য করিয়াছেন, যাহা আমাদিগের ন্যায় নিপাট ভদ্রলোকেদের বিব্রত বা আহত করিয়াছে।’

‘ও রে আমার নিপাট ভদ্রলোকরে, হালায় দালাল ছাড়া কি কোনো হসপিটাল, জমি কেনা-বেচা, বড় বড় ডিল সবই তো লবিস্ট আই মিন দালাল দিয়াই কাম সারাইতাছে। তো ত্যেনাগো দালাল কোইলে আপনের বিশেষ যায়গায় জ্বলে ক্যা?’

‘কথাটা বিশেষ জায়গায় জ্বলুনীর নয়। কথাটা হচ্ছে বোধের, তুই বাস্তব না জেনে কেবল মাত্র দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার ওপর নির্ভর কোরে, চট যলদি মন্তব্য কোরতে পারিস না!’

‘মন্তব্য মানে? মিয়া ভারতের হসপিটালে যাইবেন দালালের হেল্প লোইতে হোইবো, আপনে ব্যাংকক যাইবেন ঢাকাতেই হ্যেগো দালাল আপনেরে রাস্তা বাতলাইবো। ব্যাংককে আপনের চিকিৎসা খরচে টান পড়ছে তহন ওই দালাল আপনেরে ডলার দিবো আপনে ঢাকায় আইসা ট্যাকা দিয়া দিবেন। তো মুৎসুদ্দি, এজেন্ট, দালাল, যে নামেই ডাকেন দালাল ছাড়া বর্তমান বিশ্ব অচল! দালাল তো ভালো জিনিস, অনেক হসপিটালের দালালরা ডাক্তারের চেয়ে বেশি কামায়।’

‘ঠিক আছে তুমি আর একজনের অভিজ্ঞতার আলোকে তার সাহায্য নিলে। কিন্তু তোর কি মনে হয় বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো ডাক্তার দেখলেই টাকা দেয়?’ ‘নিশ্চয়ই, হালা ডাক্তারের বিদেশে পোলার লেখাপড়ার ডলার, বৌয়ের শাড়ি, ওটিতি ডিউটি করা বিশেষ নার্স অবলা মাঝির ফ্ল্যাট। বিদেশে সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অ্যাটেন্ড করার সময় ডাক্তার স্যারের পকেট মানি, হক্কলডি বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো প্রোভাইড করের।’

‘জ্বি, লজিকের ফ্যালাসি অব মিডেল টার্ম। আমি টেবিল ছুঁয়েছি, টেবিল মেজে বা ফ্লোর ছুঁয়েছে অতএব আমি ফ্লোর ছুঁয়েছি। ঠিক এমনি ভুল তুমি কোরছো মাই ডিয়ার।’

‘ভুল মাইনে কি, ধন্বন্তরি মানে ডাক্তাররা কি মাল কামাইতাছে না?’ ‘ডাক্তার মাল কামাচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু তুই যেটা ওভার লুক কোরছিস সেটা হোলো, যেই ডাক্তারের হাত যশ ভালো যার গড়ে প্রতিদিন রোগী হয় একশ থেকে দুশো বড় বড় বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো কেবল সেই ডাক্তারের কাছেই যায়। হেঁজি পেঁজি, রোগী নাই, তোর ভাষায় বয়া বয়া মাছি তাড়ায় ওই ডাক্তারের কাছে কি বড় বড় ঔষধ কোম্পানি গুলো যাবে?’

‘না, ওই মরা ফইনির পুতের কাছে রোগীই আহে না তো বড় বড় ঔষধ কোম্পানি যাইবো! হাগলনি কোনো!’ ‘তাহোলে একটু ভেবে দ্যেখ, যে ডাক্তার সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হসপিটাল ডিউটি করে, তারপর স্বন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত দু’টা পর্যন্ত রোগী দ্যেখে, গড়ে দুই’শ রোগী, দুই হাজার টাকা ভিজিট হোলে প্রতি দিন সেই ডাক্তার ক্যাশ দুই লাখ টাকা বাসায় নিয়ে যায়, তারপর টেস্ট থেকে কমিশন, হসপিটালের বেডের কমিশন, ক্ষেত্র বিশেষে অ্যাম্বুলেন্সের কমিশন, লাশবাহী গাড়ির কমিশন, কাঠ মিস্ত্রি থেকে কফিনের কমিশন এই এ্যতো টাকা কামানোর পর তোর বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর হাত খরচ। সেটা নস্যিরে নস্যি। আর মোনে রাখবি এই ডাক্তার কিন্তু নাম করা ধন্বন্তরি যার নাম আসমুদ্র হিমাচল, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সবাই জানে, তাই ওই ডাক্তার সেই বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর ঔষধ লিখবে যে ঔষধে রোগীর রোগ সারবে, না হোলেতো ডাক্তারের বদনাম হবে। তাই কোনো বড় ডাক্তার ফালতু ঔষধ কোম্পানির ঔষধ প্রেসক্রিপশনে লিখে না।’

‘ঠিকইতো গুরু ইয়ু হ্যাভ এ পয়েন্ট। বড় ডাক্তার যেই ট্যাকা কামায় হেই হালায় কুনোদিনও ফালতু অসুধ লিখবো না। যেই অসুধে কাম হোইবো না বড় ধন্বন্তরি হেই অসুধ দিবো না। ঠিক ঠিক বড় ডাক্তার ডেইলি যেই ইনকাম করে হ্যের আর ওই বড় বড় ঔষধ কোম্পানি গুলার কেশের ক্যাশ না লোইলেও চলে।’

‘জ্বি, তাই বলি পুরো বিষয়টা না জেনে তোর বুদ্ধিবীজী যা ইচ্ছা তাই বললে মানায়?’ ‘গুরু আপনে ঠিকই কোইছেন, কতগুলা ইঁচড়ে পাকা কাঁঠালের জন্য আজকালকার জ্যাক ফ্রুটের বাজারটাই ন’!’

‘না না ধন্বন্তরিদের অযথা দালাল বলা ঠিক না।’ ‘ও কে বস, এই আমি মোদনা আঁতেলেকচুয়াল তথাকথিত বুদ্ধিবীজী কান ধোইরা বৈঠক মারলাম জীবনে আর কুনো কিছু পুরা না জাইন্না কুনো কমেন্ট করুম না।’

‘ও কে, বি, ধন্বন্তরি, জীবন রক্ষাকারী!’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নতুন ট্র্যাজেডি

হোক সবুজ বিপ্লব

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি : একজন বিধায়কের জামিন

নিউটনের আপেল : পতনের ভেতরে জাগরণের গল্প

বায়ুদূষণ গবেষণার প্রসার ও তরুণদের ভূমিকা : প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা আহমদ

চাপে সামষ্টিক অর্থনীতি

ছবি

একাত্তরের গণহত্যা : সংখ্যার বিতর্ক নাকি দায় হালকা করার চেষ্টা?

সাদা পাথর লুটে সর্বদলীয় ঐক্য

গণিতের বহুমুখী ব্যবহার : আধুনিক বিজ্ঞানের চালিকাশক্তি

প্রসঙ্গ : পেঁপের রিং স্পট ভাইরাস

ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : রাজনৈতিক বিভেদের অমোচনীয় ক্ষত

ছবি

আলফ্রেড সরেন হত্যা : বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে

কারাম উৎসব : বাংলার প্রাচীন কৃষি ও সংস্কৃতির ধারক

ছবি

আলাস্কা বৈঠক : শান্তির দেখা কি মিলল?

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ কতদূর?

মবের উন্মাদনা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার

জীবন থেকে নেয়া শিক্ষাগুলোই এগিয়ে দেয় জীবনকে

রাজনৈতিক কর্মসূচি, যানজট ও আচরণগত অর্থনীতি

সম্পদের অভিশাপ : সিলেটের সাদাপাথরে সংঘাতের সমাজতত্ত্ব ও নীতি-সংকট

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো

মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার জরুরি

ছবি

সাদাপাথরের নীলাভ দেশ : ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য ও সংকট

একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার সমাজতত্ত্ব

বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির নতুন ভূরাজনীতি

মব ও জাস্টিস

ইতিহাসকে নতুন করে লেখা এক জগাখিচুড়ি!

নারীর সমঅধিকার : সমাজ পরিবর্তনের চাবিকাঠি

জ্ঞানের মঞ্চ এখন সার্কাস, গবেষণা সেখানে নীরব দর্শক

ছবি

ভরা শ্রাবণে স্বদেশ-ভাবনা

নারীর প্রতি সহিংসতা : বাস্তবতা, আইন ও প্রতিরোধের জরুরি দিকনির্দেশনা

ছাত্র রাজনীতি : নেতৃত্বের হাতেখড়ি নাকি দাসত্বের লেজুড়বৃত্তি?

ছবি

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতেই হবে

ছবি

উন্নয়ন ও প্রকৃতি

ছবি

কৃষকের চেয়ে বড় উদ্যোক্তা আর কে আছে

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষাগত ও সামাজিক সমস্যা

ট্রেড ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

tab

opinion » post-editorial

রম্যগদ্য : ‘দালাল-ধন্বন্তরি-জীবন রক্ষাকারী...’

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ দালাল, ধন্বন্তরি, জীবন রক্ষাকারী, হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ দালাল-মালাল সবইগুলায় বুইঝালচ্ছি মগর এই ধন্বন্তরি এইডা কী? এইডা কি খায় না মাথায় দেয়?’

‘ধুর জঙ্গল, ধন্বন্তরি খায়ও না, মাথায়ও দেয় না, মহাভারতে সমুদ্রমন্থনের সময় অমৃতের ভান্ডার নিয়ে পাতাল থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন এক ডাক্তার যার নাম ধন্বন্তরি। এখন পৃথিবীর সকল ডাক্তারকেই ধন্বন্তরি বলে। বুঝেছিস?’

‘বুঝছি বুঝছি, অহন আমরা যেমন মোটরসাইকেল মানেই বলি হুন্ডা। আসলে হুন্ডা তো কোম্পানির নাম। হুন্ডা মানে মোটরসাইকেল না।’ ‘ঠিক ঠিক অনেকটা তাই। এখন ধন্বন্তরি বললে ডাক্তারদের বোঝায়। বর্তমানে অনেকে মানে অনেক বড় বড় আঁতেলেকচুয়াল মানে বুদ্ধিজীবী ডাক্তারদের ভুল বুঝে মতোওয়ল্লী, মোহন্ত ওরফে বড় বড় ঔষধ কোম্পানির দালাল বা এজেন্ট বলিয়া মন্তব্য করিয়াছেন, যাহা আমাদিগের ন্যায় নিপাট ভদ্রলোকেদের বিব্রত বা আহত করিয়াছে।’

‘ও রে আমার নিপাট ভদ্রলোকরে, হালায় দালাল ছাড়া কি কোনো হসপিটাল, জমি কেনা-বেচা, বড় বড় ডিল সবই তো লবিস্ট আই মিন দালাল দিয়াই কাম সারাইতাছে। তো ত্যেনাগো দালাল কোইলে আপনের বিশেষ যায়গায় জ্বলে ক্যা?’

‘কথাটা বিশেষ জায়গায় জ্বলুনীর নয়। কথাটা হচ্ছে বোধের, তুই বাস্তব না জেনে কেবল মাত্র দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার ওপর নির্ভর কোরে, চট যলদি মন্তব্য কোরতে পারিস না!’

‘মন্তব্য মানে? মিয়া ভারতের হসপিটালে যাইবেন দালালের হেল্প লোইতে হোইবো, আপনে ব্যাংকক যাইবেন ঢাকাতেই হ্যেগো দালাল আপনেরে রাস্তা বাতলাইবো। ব্যাংককে আপনের চিকিৎসা খরচে টান পড়ছে তহন ওই দালাল আপনেরে ডলার দিবো আপনে ঢাকায় আইসা ট্যাকা দিয়া দিবেন। তো মুৎসুদ্দি, এজেন্ট, দালাল, যে নামেই ডাকেন দালাল ছাড়া বর্তমান বিশ্ব অচল! দালাল তো ভালো জিনিস, অনেক হসপিটালের দালালরা ডাক্তারের চেয়ে বেশি কামায়।’

‘ঠিক আছে তুমি আর একজনের অভিজ্ঞতার আলোকে তার সাহায্য নিলে। কিন্তু তোর কি মনে হয় বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো ডাক্তার দেখলেই টাকা দেয়?’ ‘নিশ্চয়ই, হালা ডাক্তারের বিদেশে পোলার লেখাপড়ার ডলার, বৌয়ের শাড়ি, ওটিতি ডিউটি করা বিশেষ নার্স অবলা মাঝির ফ্ল্যাট। বিদেশে সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অ্যাটেন্ড করার সময় ডাক্তার স্যারের পকেট মানি, হক্কলডি বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো প্রোভাইড করের।’

‘জ্বি, লজিকের ফ্যালাসি অব মিডেল টার্ম। আমি টেবিল ছুঁয়েছি, টেবিল মেজে বা ফ্লোর ছুঁয়েছে অতএব আমি ফ্লোর ছুঁয়েছি। ঠিক এমনি ভুল তুমি কোরছো মাই ডিয়ার।’

‘ভুল মাইনে কি, ধন্বন্তরি মানে ডাক্তাররা কি মাল কামাইতাছে না?’ ‘ডাক্তার মাল কামাচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু তুই যেটা ওভার লুক কোরছিস সেটা হোলো, যেই ডাক্তারের হাত যশ ভালো যার গড়ে প্রতিদিন রোগী হয় একশ থেকে দুশো বড় বড় বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো কেবল সেই ডাক্তারের কাছেই যায়। হেঁজি পেঁজি, রোগী নাই, তোর ভাষায় বয়া বয়া মাছি তাড়ায় ওই ডাক্তারের কাছে কি বড় বড় ঔষধ কোম্পানি গুলো যাবে?’

‘না, ওই মরা ফইনির পুতের কাছে রোগীই আহে না তো বড় বড় ঔষধ কোম্পানি যাইবো! হাগলনি কোনো!’ ‘তাহোলে একটু ভেবে দ্যেখ, যে ডাক্তার সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হসপিটাল ডিউটি করে, তারপর স্বন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত দু’টা পর্যন্ত রোগী দ্যেখে, গড়ে দুই’শ রোগী, দুই হাজার টাকা ভিজিট হোলে প্রতি দিন সেই ডাক্তার ক্যাশ দুই লাখ টাকা বাসায় নিয়ে যায়, তারপর টেস্ট থেকে কমিশন, হসপিটালের বেডের কমিশন, ক্ষেত্র বিশেষে অ্যাম্বুলেন্সের কমিশন, লাশবাহী গাড়ির কমিশন, কাঠ মিস্ত্রি থেকে কফিনের কমিশন এই এ্যতো টাকা কামানোর পর তোর বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর হাত খরচ। সেটা নস্যিরে নস্যি। আর মোনে রাখবি এই ডাক্তার কিন্তু নাম করা ধন্বন্তরি যার নাম আসমুদ্র হিমাচল, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সবাই জানে, তাই ওই ডাক্তার সেই বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর ঔষধ লিখবে যে ঔষধে রোগীর রোগ সারবে, না হোলেতো ডাক্তারের বদনাম হবে। তাই কোনো বড় ডাক্তার ফালতু ঔষধ কোম্পানির ঔষধ প্রেসক্রিপশনে লিখে না।’

‘ঠিকইতো গুরু ইয়ু হ্যাভ এ পয়েন্ট। বড় ডাক্তার যেই ট্যাকা কামায় হেই হালায় কুনোদিনও ফালতু অসুধ লিখবো না। যেই অসুধে কাম হোইবো না বড় ধন্বন্তরি হেই অসুধ দিবো না। ঠিক ঠিক বড় ডাক্তার ডেইলি যেই ইনকাম করে হ্যের আর ওই বড় বড় ঔষধ কোম্পানি গুলার কেশের ক্যাশ না লোইলেও চলে।’

‘জ্বি, তাই বলি পুরো বিষয়টা না জেনে তোর বুদ্ধিবীজী যা ইচ্ছা তাই বললে মানায়?’ ‘গুরু আপনে ঠিকই কোইছেন, কতগুলা ইঁচড়ে পাকা কাঁঠালের জন্য আজকালকার জ্যাক ফ্রুটের বাজারটাই ন’!’

‘না না ধন্বন্তরিদের অযথা দালাল বলা ঠিক না।’ ‘ও কে বস, এই আমি মোদনা আঁতেলেকচুয়াল তথাকথিত বুদ্ধিবীজী কান ধোইরা বৈঠক মারলাম জীবনে আর কুনো কিছু পুরা না জাইন্না কুনো কমেন্ট করুম না।’

‘ও কে, বি, ধন্বন্তরি, জীবন রক্ষাকারী!’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top