alt

পাঠকের চিঠি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

: বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

গত বছর ডেঙ্গু তার ভয়াবহতা দেখিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়; যার মধ্যে মারা যায় ১৭০৫ জন। এটা ছিল বিগত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন টানা কয়েকদিন মুশলধারে বৃষ্টি হতো, ভারী বৃষ্টি হতো কিন্তু এখন আর তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।

গত বছরের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক হচ্ছে এডিস মশা। বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানির মধ্যে বংশ বিস্তার করে। কাজেই মশা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

ঢাকাকেন্দ্রিক ডেঙ্গু এখন ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। যদিও মৃত্যুর দিক দিয়ে রাজধানী এগিয়ে রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছরের প্রথম তিন মাসের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে চলতি বছরের প্রথম তিনমাসেই, সেই সাথে রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দুই হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

দেশকে ডেঙ্গুর থাবা থেকে মুক্ত করতে জাতীয় যে কৌশলপত্র নেয়া হয়েছে তা অনেকাংশেই দুর্বল। কেননা সেখানে জনস্বাস্থ্যবিদ বা কীটতত্ত্ববিদদের মতামত কতটা আমলে নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে এটা একটা বড় প্রশ্ন আমাদের কাছে। কোনো কোনো জনস্বাস্থ্যবিদের ধারণা ডেঙ্গু তার প্যাটার্ন পরিবর্তন করে চিকনগুনিয়ার দিকে শিফট করতে পারে। তখন এই পরিকল্পনা কিভাবে কাজ করবে কিংবা উদ্ভুত পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়া হবে সেটা বিবেচনার বিষয়। এ বিষয়ে আগাম পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।

সিটি কর্পোরেশন বা সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়; কিন্তু তারাও যে তাদের কাজ ঠিকমতো করছে না সেটাও স্পষ্ট হয়েছে বিগত দিনগুলোতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। এখন গ্রামের দিকেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই শহরের পাশাপাশি গ্রামের দিকেও বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। সবার সমন্বিত উদ্যোগ, মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং সেইসাথে কর্তৃপক্ষ তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে ডেঙ্গুর থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।

মিলন হোসেন

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

গত বছর ডেঙ্গু তার ভয়াবহতা দেখিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়; যার মধ্যে মারা যায় ১৭০৫ জন। এটা ছিল বিগত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন টানা কয়েকদিন মুশলধারে বৃষ্টি হতো, ভারী বৃষ্টি হতো কিন্তু এখন আর তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।

গত বছরের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক হচ্ছে এডিস মশা। বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানির মধ্যে বংশ বিস্তার করে। কাজেই মশা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

ঢাকাকেন্দ্রিক ডেঙ্গু এখন ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। যদিও মৃত্যুর দিক দিয়ে রাজধানী এগিয়ে রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত বছরের প্রথম তিন মাসের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে চলতি বছরের প্রথম তিনমাসেই, সেই সাথে রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দুই হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

দেশকে ডেঙ্গুর থাবা থেকে মুক্ত করতে জাতীয় যে কৌশলপত্র নেয়া হয়েছে তা অনেকাংশেই দুর্বল। কেননা সেখানে জনস্বাস্থ্যবিদ বা কীটতত্ত্ববিদদের মতামত কতটা আমলে নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে এটা একটা বড় প্রশ্ন আমাদের কাছে। কোনো কোনো জনস্বাস্থ্যবিদের ধারণা ডেঙ্গু তার প্যাটার্ন পরিবর্তন করে চিকনগুনিয়ার দিকে শিফট করতে পারে। তখন এই পরিকল্পনা কিভাবে কাজ করবে কিংবা উদ্ভুত পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়া হবে সেটা বিবেচনার বিষয়। এ বিষয়ে আগাম পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।

সিটি কর্পোরেশন বা সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়; কিন্তু তারাও যে তাদের কাজ ঠিকমতো করছে না সেটাও স্পষ্ট হয়েছে বিগত দিনগুলোতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। এখন গ্রামের দিকেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই শহরের পাশাপাশি গ্রামের দিকেও বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। সবার সমন্বিত উদ্যোগ, মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং সেইসাথে কর্তৃপক্ষ তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে ডেঙ্গুর থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।

মিলন হোসেন

back to top