alt

পাঠকের চিঠি

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

: বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ঢাকায় ছিনতাই এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ছিনতাই। দন্ডবিধির ৩৮৩ ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, তার নিকট কোন সম্পত্তি বা মুল্যবান জামানত কিংবা জামানত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য সীলমোহরভুক্ত কোন বস্তু প্রদানে বাধ্য করে তাহলে সে ব্যক্তি বলপূর্বক আদায়ের দোষে দোষী অর্থাৎ ছিনতাইকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারেরও বেশি ছিনতাই, চুরি ও অপহরণ করে একটি চক্র। পুলিশের খাতায় নাম উঠলেও ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। ছিনতাইয়ের কাজও চালিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। এই অপরাধ দমনে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী ভূমিকা রাখছে, সে প্রশ্ন জনগণের।

ঢাকা শহরে ছিনতাইকারীদের বিভিন্ন চক্র রয়েছে। যেমন মলম পার্টি। এরা যাত্রীদের টার্গেট করে, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির চোখে মলম লাগিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ চোখে দেখে না। অজ্ঞান পার্টি আছে যারা বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে সক্রিয় থাকে। বর্তমানে হ্যান্ডশেক পার্টি ঢাকা শহর সেইসঙ্গে অন্যান্য জনবহুল শহরে সর্বত্র দেখা যায়। তারা নির্দিষ্ট কিছু লোক কে টার্গেট করে। পরে তাদের একা পেলে ছুরি বা পিস্তল দেখায়। অসহায় লোকটি প্রাণ বাঁ চানোর জন্য সব দিয়ে দেয়।

পুলিশের হিসাবেই রাজধানী ঢাকায় ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৭ জন ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। বাড্ডা, মিরপুর, শাহবাগ, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রেলগেট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায়ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ‘হারানোর ঘটনা’ উল্লেখ করে জিডি এর অন্যতম কারণ। এতে অপরাধীদের খুব সামান্যই আইনি ব্যবস্থার মধ্যেও আসে। অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলা করায় সাক্ষীও পাওয়া সম্ভব হয় না। এ ছাড়া প্রযুক্তির যোগ হওয়া সত্বেও মামলার তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহারে ঘাটতি রয়েছে। তাই ছিনতাইয়ের অপরাধগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কথা বলছেন তারা। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের অপরাধকে ‘ছিনতাই’ নামে মামলা হওয়া উচিত।

পুলিশ কর্মকর্তাদর সক্রিয় হতে হবে। সেই সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট দল গঠন করতে হবে, যারা বিভিন্নভাবে ছিনতাই দমনে কাজ করবে। যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ছিনতাইকারী সদস্যদের দ্রুত আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষকেও সতর্ক হতে হবে।

সাকিবুল হাছান

ছবি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

কোটা নাকি মেধা?

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

ছবি

জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়

বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

লাখ টাকার ছাগল!

মাদককে না বলুন

ছবি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য কমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

ছবি

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কী

কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং

ছবি

হাকালুকি হাওরের গুরুত্ব

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

চবির আলাওল হলে প্রভোস্ট চাই

গণিত ও ইংরেজিতে কেন এত দুর্বলতা

ছবি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

tab

পাঠকের চিঠি

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ঢাকায় ছিনতাই এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ছিনতাই। দন্ডবিধির ৩৮৩ ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, তার নিকট কোন সম্পত্তি বা মুল্যবান জামানত কিংবা জামানত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য সীলমোহরভুক্ত কোন বস্তু প্রদানে বাধ্য করে তাহলে সে ব্যক্তি বলপূর্বক আদায়ের দোষে দোষী অর্থাৎ ছিনতাইকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারেরও বেশি ছিনতাই, চুরি ও অপহরণ করে একটি চক্র। পুলিশের খাতায় নাম উঠলেও ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। ছিনতাইয়ের কাজও চালিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। এই অপরাধ দমনে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী ভূমিকা রাখছে, সে প্রশ্ন জনগণের।

ঢাকা শহরে ছিনতাইকারীদের বিভিন্ন চক্র রয়েছে। যেমন মলম পার্টি। এরা যাত্রীদের টার্গেট করে, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির চোখে মলম লাগিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ চোখে দেখে না। অজ্ঞান পার্টি আছে যারা বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে সক্রিয় থাকে। বর্তমানে হ্যান্ডশেক পার্টি ঢাকা শহর সেইসঙ্গে অন্যান্য জনবহুল শহরে সর্বত্র দেখা যায়। তারা নির্দিষ্ট কিছু লোক কে টার্গেট করে। পরে তাদের একা পেলে ছুরি বা পিস্তল দেখায়। অসহায় লোকটি প্রাণ বাঁ চানোর জন্য সব দিয়ে দেয়।

পুলিশের হিসাবেই রাজধানী ঢাকায় ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৭ জন ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। বাড্ডা, মিরপুর, শাহবাগ, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রেলগেট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায়ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ‘হারানোর ঘটনা’ উল্লেখ করে জিডি এর অন্যতম কারণ। এতে অপরাধীদের খুব সামান্যই আইনি ব্যবস্থার মধ্যেও আসে। অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মামলা করায় সাক্ষীও পাওয়া সম্ভব হয় না। এ ছাড়া প্রযুক্তির যোগ হওয়া সত্বেও মামলার তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহারে ঘাটতি রয়েছে। তাই ছিনতাইয়ের অপরাধগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কথা বলছেন তারা। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের অপরাধকে ‘ছিনতাই’ নামে মামলা হওয়া উচিত।

পুলিশ কর্মকর্তাদর সক্রিয় হতে হবে। সেই সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট দল গঠন করতে হবে, যারা বিভিন্নভাবে ছিনতাই দমনে কাজ করবে। যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ছিনতাইকারী সদস্যদের দ্রুত আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষকেও সতর্ক হতে হবে।

সাকিবুল হাছান

back to top