alt

পাঠকের চিঠি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

: বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ঋতু হলো বর্ষা। বর্ষাকে প্রকৃতির রানী বলা হয়ে থাকে। বর্ষার রূপ, রস, সৌন্দর্যে প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে।

শিল্পরসিক মন বর্ষার আহ্বানে অভিভূত হয়ে যায়। মনের গতিপ্রকৃতিও তখন কেমন যেনো কাব্যময় হয়ে ওঠে। টাপুর টুপুর বৃষ্টির দিনে বর্ষার গান যখন বেজে ওঠে তখন অন্যরকম একটা মোহমায়া কাজ করে। বর্ষা প্রকৃতিকে সতেজ, সিগ্ধ, কোমল করে তোলে। মরা নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয় নব আনন্দে জেগে ওঠে। হারানো রূপ, যৌবন পুনরায় ফিরে পায়। প্রাণ ফিরে পায় সবুজ প্রকৃতি। বৃষ্টির পানিতে সবুজ বৃক্ষরাজি আরো সবুজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। টিনের চালে বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে মন উদাস হয়ে যায়। বর্ষা সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

বর্ষায় বাহারি রঙের সুগন্ধি ফুল সবার নজর কাড়ে। বর্ষায় হরেক রকমের ফুল ফুটে। তাদের মধ্যে- কদম, কেয়া, জুঁই, চামেলি, জারুল, সোনালু, কলাবতী, রঙ্গন, কামিনী, বকুল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বর্ষার প্রধান আকর্ষণ হলো বৃষ্টিভেজা কদমের মনকাড়া সৌরভ। গাছে গাছে কদমের ডালে ফুটন্ত চমৎকার ফুল সবাইকে আকৃষ্ট করে। কদম ফুলের হালকা সুমিষ্ট ঘ্রাণ সবার মনকে বিমোহিত করে। কদমের এ রূপের কারণে যুগে যুগে কবিরা তাদের কবিতা ও গানে কদম ফুলকে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আমাদের সংস্কৃতির সাথে বর্ষা ঋতু ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। ধূলিময়, রুক্ষ-শুষ্ক প্রকৃতিকে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিতে বর্ষার জুড়ি নেই। কবিদের কল্পনায় বর্ষা এক অনিন্দ্য সুন্দর সৃষ্টি। বর্ষার কোমলতা মানুষের হৃদয়কে যেভাবে ছুঁয়ে যায় বাংলার আর কোনো ঋতু এভাবে ছুঁতে পারে না। বর্ষা ছাড়া প্রকৃতি তার পরিপূর্ণতা পায় না।

আশরাফুল ইসলাম

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

কোটা নাকি মেধা?

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

ছবি

জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়

বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

লাখ টাকার ছাগল!

মাদককে না বলুন

ছবি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য কমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

ছবি

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কী

কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং

ছবি

হাকালুকি হাওরের গুরুত্ব

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

চবির আলাওল হলে প্রভোস্ট চাই

গণিত ও ইংরেজিতে কেন এত দুর্বলতা

ছবি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

tab

পাঠকের চিঠি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ঋতু হলো বর্ষা। বর্ষাকে প্রকৃতির রানী বলা হয়ে থাকে। বর্ষার রূপ, রস, সৌন্দর্যে প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে।

শিল্পরসিক মন বর্ষার আহ্বানে অভিভূত হয়ে যায়। মনের গতিপ্রকৃতিও তখন কেমন যেনো কাব্যময় হয়ে ওঠে। টাপুর টুপুর বৃষ্টির দিনে বর্ষার গান যখন বেজে ওঠে তখন অন্যরকম একটা মোহমায়া কাজ করে। বর্ষা প্রকৃতিকে সতেজ, সিগ্ধ, কোমল করে তোলে। মরা নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয় নব আনন্দে জেগে ওঠে। হারানো রূপ, যৌবন পুনরায় ফিরে পায়। প্রাণ ফিরে পায় সবুজ প্রকৃতি। বৃষ্টির পানিতে সবুজ বৃক্ষরাজি আরো সবুজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। টিনের চালে বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে মন উদাস হয়ে যায়। বর্ষা সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

বর্ষায় বাহারি রঙের সুগন্ধি ফুল সবার নজর কাড়ে। বর্ষায় হরেক রকমের ফুল ফুটে। তাদের মধ্যে- কদম, কেয়া, জুঁই, চামেলি, জারুল, সোনালু, কলাবতী, রঙ্গন, কামিনী, বকুল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বর্ষার প্রধান আকর্ষণ হলো বৃষ্টিভেজা কদমের মনকাড়া সৌরভ। গাছে গাছে কদমের ডালে ফুটন্ত চমৎকার ফুল সবাইকে আকৃষ্ট করে। কদম ফুলের হালকা সুমিষ্ট ঘ্রাণ সবার মনকে বিমোহিত করে। কদমের এ রূপের কারণে যুগে যুগে কবিরা তাদের কবিতা ও গানে কদম ফুলকে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আমাদের সংস্কৃতির সাথে বর্ষা ঋতু ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। ধূলিময়, রুক্ষ-শুষ্ক প্রকৃতিকে ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিতে বর্ষার জুড়ি নেই। কবিদের কল্পনায় বর্ষা এক অনিন্দ্য সুন্দর সৃষ্টি। বর্ষার কোমলতা মানুষের হৃদয়কে যেভাবে ছুঁয়ে যায় বাংলার আর কোনো ঋতু এভাবে ছুঁতে পারে না। বর্ষা ছাড়া প্রকৃতি তার পরিপূর্ণতা পায় না।

আশরাফুল ইসলাম

back to top