alt

পাঠকের চিঠি

শিক্ষকদের সম্মান প্রসঙ্গে

: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একদিনে গড়ে ওঠে না। বছরের পর বছর চেষ্টা করে ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুমোদন পেয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।

সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হঠাৎ করে চেয়ারে বসেন না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা লব্ধ ব্যক্তিই সেই চেয়ারে বসেন। তার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান দান করেন। সমাজ আলোকিত হয়। দেশ ও জাতি জ্ঞানে গুণে সমৃদ্ধ হয়।

গত পাঁচ আগস্ট দেশের শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের পর সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক নৈরাজ্য নেমে আসে। কোথাও কোথাও আন্দোলন করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা প্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। কোথাও কোথাও শিক্ষকের ওপর শারীরিক বল প্রয়োগ ও করতে দেখা যায়। আর এ কাজটি করেছেন ছাত্র-জনতার নামে। আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে শোনা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ শূন্য করতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান আওয়ামী লীগ করতেন না। বিএনপি বা জামায়াতের সমর্থক ছিলেন আবার কেউ কেউ কোন দলেরই নন। চাকরি কিংবা জীবনের ভয়ে ও অনেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য ছিলেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় না আনায় শিক্ষকরা অসম্মানিত হয়েছেন স্থানে। তবে এ নৈরাজ্য অনেকেই পছন্দ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বিরূপ আলোচনা সমালোচনা হতে দেখা যায়। শোনা যায় এ সময় সারাদেশে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন পরবর্তী পর্যায়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। অনেকেই এখনো গ্রুপিং লবিং করছেন নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

ছাত্রছাত্রীদের কাছেও শিক্ষকদের ধরনা দিতে হচ্ছে এটা জাতির জন্য সুখকর নয়। শিক্ষকদের পুনরায় পদায়নের বিষয়টি শিক্ষা বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের হাতে সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেয়া হোক। শিক্ষকরা সম্মানিত ব্যক্তি তাদের সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়, কলেজ বা মাদ্রাসায় তদন্ত কমিটি গঠন করে ফয়সালা দেয়া হোক। সকলেরই মনে রাখা উচিত, নৈরাজ্য আরেকটি নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে যা কারো কাম্য নয়।

আলম হোসেন

রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

tab

পাঠকের চিঠি

শিক্ষকদের সম্মান প্রসঙ্গে

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একদিনে গড়ে ওঠে না। বছরের পর বছর চেষ্টা করে ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুমোদন পেয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।

সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হঠাৎ করে চেয়ারে বসেন না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা লব্ধ ব্যক্তিই সেই চেয়ারে বসেন। তার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান দান করেন। সমাজ আলোকিত হয়। দেশ ও জাতি জ্ঞানে গুণে সমৃদ্ধ হয়।

গত পাঁচ আগস্ট দেশের শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের পর সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক নৈরাজ্য নেমে আসে। কোথাও কোথাও আন্দোলন করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা প্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। কোথাও কোথাও শিক্ষকের ওপর শারীরিক বল প্রয়োগ ও করতে দেখা যায়। আর এ কাজটি করেছেন ছাত্র-জনতার নামে। আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে শোনা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ শূন্য করতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান আওয়ামী লীগ করতেন না। বিএনপি বা জামায়াতের সমর্থক ছিলেন আবার কেউ কেউ কোন দলেরই নন। চাকরি কিংবা জীবনের ভয়ে ও অনেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য ছিলেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় না আনায় শিক্ষকরা অসম্মানিত হয়েছেন স্থানে। তবে এ নৈরাজ্য অনেকেই পছন্দ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর বিরূপ আলোচনা সমালোচনা হতে দেখা যায়। শোনা যায় এ সময় সারাদেশে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন পরবর্তী পর্যায়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। অনেকেই এখনো গ্রুপিং লবিং করছেন নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

ছাত্রছাত্রীদের কাছেও শিক্ষকদের ধরনা দিতে হচ্ছে এটা জাতির জন্য সুখকর নয়। শিক্ষকদের পুনরায় পদায়নের বিষয়টি শিক্ষা বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের হাতে সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেয়া হোক। শিক্ষকরা সম্মানিত ব্যক্তি তাদের সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়, কলেজ বা মাদ্রাসায় তদন্ত কমিটি গঠন করে ফয়সালা দেয়া হোক। সকলেরই মনে রাখা উচিত, নৈরাজ্য আরেকটি নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে যা কারো কাম্য নয়।

আলম হোসেন

রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

back to top