alt

খাল খনন করুন

: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই সিলেটবাসীকে বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি উপজেলা প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে থাকে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। উপজেলার তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল নেমে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সৃষ্ট এই বন্যা প্রতিবছরই মহামারি আকার ধারণ করে। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিলেটের এ বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য নদীর বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি খাল খননের বিকল্প নেই। জকিগঞ্জ উপজেলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন থেকে খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং পানির ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে সেনাপতি খাল, কাটাখাল, মছন্দ খাল, খড়াই খাল, সদর খাল, ডেমি খাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খালের নাব্যতা বৃদ্ধি করে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়াও খাল খনন করে নতুন নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যেতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির জোগান নিশ্চিত করবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খাল খননের কাজ শুরু করা উচিত। এটি শুষ্ক মৌসুমেই করা সম্ভব। স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কাজে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

আব্দুর রশিদ

সিলেট

ছবি

নিরাপদ ভোজ্য তেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ

হাওর অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন

কসমেটিক সংস্কৃতি : সুন্দর হওয়ার চাপ নারীর মানসিক স্বাস্থ্যে কী করছে

মামলার রায় ও আইনের ভাষা হোক বাংলা

বেকারত্বের অভিশাপ বাংলাদেশের মাথায়

ছবি

ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য : মানুষের আচরণ নাকি সিস্টেমের ব্যর্থতা?

ছবি

মশার কয়েলের ধোঁয়া : ঘরের বাতাসের নীরব বিপদ

রাবির হলের খাবারে স্বাস্থবিধির সংকট

কুষ্টিয়া স্টেশনে যাত্রী দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর প্রবেশমুখ : টিনঘরে বন্দী সৌন্দর্য, সংস্কারের দাবি

ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা

ছবি

ভূমিকম্প : ঝুঁকি ও অরক্ষিত বাস্তবতা

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

tab

খাল খনন করুন

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই সিলেটবাসীকে বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি উপজেলা প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে থাকে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। উপজেলার তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল নেমে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সৃষ্ট এই বন্যা প্রতিবছরই মহামারি আকার ধারণ করে। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিলেটের এ বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য নদীর বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি খাল খননের বিকল্প নেই। জকিগঞ্জ উপজেলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন থেকে খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং পানির ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে সেনাপতি খাল, কাটাখাল, মছন্দ খাল, খড়াই খাল, সদর খাল, ডেমি খাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খালের নাব্যতা বৃদ্ধি করে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়াও খাল খনন করে নতুন নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যেতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির জোগান নিশ্চিত করবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খাল খননের কাজ শুরু করা উচিত। এটি শুষ্ক মৌসুমেই করা সম্ভব। স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কাজে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

আব্দুর রশিদ

সিলেট

back to top