সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই সিলেটবাসীকে বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি উপজেলা প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে থাকে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। উপজেলার তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল নেমে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সৃষ্ট এই বন্যা প্রতিবছরই মহামারি আকার ধারণ করে। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিলেটের এ বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য নদীর বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি খাল খননের বিকল্প নেই। জকিগঞ্জ উপজেলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন থেকে খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং পানির ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে সেনাপতি খাল, কাটাখাল, মছন্দ খাল, খড়াই খাল, সদর খাল, ডেমি খাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খালের নাব্যতা বৃদ্ধি করে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়াও খাল খনন করে নতুন নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যেতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির জোগান নিশ্চিত করবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খাল খননের কাজ শুরু করা উচিত। এটি শুষ্ক মৌসুমেই করা সম্ভব। স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কাজে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।
আব্দুর রশিদ
সিলেট
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই সিলেটবাসীকে বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। সিলেটের প্রায় প্রতিটি উপজেলা প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে থাকে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। উপজেলার তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্টিত। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল নেমে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সৃষ্ট এই বন্যা প্রতিবছরই মহামারি আকার ধারণ করে। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এতে মানুষের জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিলেটের এ বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্য নদীর বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি খাল খননের বিকল্প নেই। জকিগঞ্জ উপজেলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন থেকে খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং পানির ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে সেনাপতি খাল, কাটাখাল, মছন্দ খাল, খড়াই খাল, সদর খাল, ডেমি খাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খালের নাব্যতা বৃদ্ধি করে বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়াও খাল খনন করে নতুন নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যেতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির জোগান নিশ্চিত করবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খাল খননের কাজ শুরু করা উচিত। এটি শুষ্ক মৌসুমেই করা সম্ভব। স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কাজে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।
আব্দুর রশিদ
সিলেট