ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মানুষ যেকোনো মুহূর্তে ইন্টারনেটের কারণে লাখ লাখ বইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ইমেইল, ভিডিও কলÑ এসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। ইন্টারনেটের সাহায্যে আমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। শিক্ষা, গবেষণা, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগ, ব্যবসাÑ সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট আমাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে। জীবনকে আনন্দময় করার জন্য বিনোদনের একটি ভূমিকা থাকে। ইন্টারনেট বিনোদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা রাখছে। এখন ঘরে বসেই অনেক লেখকের বই, ই-বুক হিসেবে ইন্টারনেট থেকে পড়া যায়। শুধু বই নয়, খেলা, গান, চলচ্চিত্রসহ অনেক বিনোদনের উপাদান এখন ইন্টারনেটের কারণে অনেক বেশি সহজলভ্য হয়েছে। ইন্টারনেটের আবিষ্কার বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি মহাবিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে খুবই ইতিবাচক একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইন্টারনেটের সাহায্যে যখন কোনও ওয়েবসাইট থেকে ক্লায়েন্টের (ব্যবহারকারীর) কম্পিউটারে কোনও ডেটা ট্রান্সফার করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে ডাউনলোড বলা হয়। আবার যখন কোনও ডেটা ক্লায়েন্ট থেকে ওয়েবসাইটের সার্ভারে ট্রান্সফার করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে আপলোডিং বলা হয়। এই ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই আমরা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বড় ছবি, অডিও, ভিডিও বা মাল্টিমিডিয়া ফাইল অতি সহজে এবং দ্রুত পাঠাতে পারি। বছর দশেক আগেও যা ছিল আমাদের নিকট নিছক কল্পনার মতো। কিন্তু আজ ইনফরমেশন এবং টেকনোলজি প্রযুক্তি এটিকে বাস্তবে পরিণত করেছে এবং ইন্টারনেটের কারণে এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে। ইন্টারনেট একটি বিপ্লব হয়ে আমাদের জীবনধারাকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের যোগাযোগ, ব্যবসা করার, তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি বিনোদনের উপায়কে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করেছে। আমরা প্রযুক্তি দ্বারা চালিত একটি যুগে বসবাস করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তির হল ইন্টারনেট। দৈনন্দিন কাজকর্ম, অফিসিয়াল কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন নিউজ রিপোর্ট, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, অনলাইন ব্যবসা, কেনাকাটা, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে আমরা প্রযুক্তির ওপর নির্ভশীল। শিশু, তরুণ, যুবক, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ সকলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাপন, কাজ এবং যোগাযোগের পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জগতের অনেক কিছুই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। প্রযুক্তি একই সঙ্গে শেখার, বিনোদন এবং বিভ্রান্তির একটি বড় উৎস। প্রযুক্তির প্রভাব সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে কীভাবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য একটি আশীর্বাদ। বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনে এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে ইন্টারনেট বন্ধ থাকাকে অনেকে নিজেদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে থাকার সাথেও তুলনা করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মেসেজিং, ভিডিও ও অডিও কলিং ফিচারযুক্ত প্ল্যাটফর্মের বদৌলতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সাথে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও শক্তিশালী সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য থাকে এখন হাতের নাগালেই। ইন্টারনেটের যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে অপরদিকে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। ইন্টারনেটের অপব্যবহার ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইন্টারনেটের এই অপব্যবহারকে অনেক ক্ষেত্রে রীতিমতো মানবাধিকার লংঘন হিসেবেও গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনায় আনার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে এর অপব্যবহারগুলো পরিহার করার বিষয়ে।
জাহিদুল ইসলাম
নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মানুষ যেকোনো মুহূর্তে ইন্টারনেটের কারণে লাখ লাখ বইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ইমেইল, ভিডিও কলÑ এসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। ইন্টারনেটের সাহায্যে আমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। শিক্ষা, গবেষণা, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগ, ব্যবসাÑ সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট আমাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে। জীবনকে আনন্দময় করার জন্য বিনোদনের একটি ভূমিকা থাকে। ইন্টারনেট বিনোদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা রাখছে। এখন ঘরে বসেই অনেক লেখকের বই, ই-বুক হিসেবে ইন্টারনেট থেকে পড়া যায়। শুধু বই নয়, খেলা, গান, চলচ্চিত্রসহ অনেক বিনোদনের উপাদান এখন ইন্টারনেটের কারণে অনেক বেশি সহজলভ্য হয়েছে। ইন্টারনেটের আবিষ্কার বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি মহাবিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে খুবই ইতিবাচক একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইন্টারনেটের সাহায্যে যখন কোনও ওয়েবসাইট থেকে ক্লায়েন্টের (ব্যবহারকারীর) কম্পিউটারে কোনও ডেটা ট্রান্সফার করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে ডাউনলোড বলা হয়। আবার যখন কোনও ডেটা ক্লায়েন্ট থেকে ওয়েবসাইটের সার্ভারে ট্রান্সফার করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে আপলোডিং বলা হয়। এই ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই আমরা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বড় ছবি, অডিও, ভিডিও বা মাল্টিমিডিয়া ফাইল অতি সহজে এবং দ্রুত পাঠাতে পারি। বছর দশেক আগেও যা ছিল আমাদের নিকট নিছক কল্পনার মতো। কিন্তু আজ ইনফরমেশন এবং টেকনোলজি প্রযুক্তি এটিকে বাস্তবে পরিণত করেছে এবং ইন্টারনেটের কারণে এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে। ইন্টারনেট একটি বিপ্লব হয়ে আমাদের জীবনধারাকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের যোগাযোগ, ব্যবসা করার, তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি বিনোদনের উপায়কে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করেছে। আমরা প্রযুক্তি দ্বারা চালিত একটি যুগে বসবাস করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তির হল ইন্টারনেট। দৈনন্দিন কাজকর্ম, অফিসিয়াল কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন নিউজ রিপোর্ট, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, অনলাইন ব্যবসা, কেনাকাটা, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে আমরা প্রযুক্তির ওপর নির্ভশীল। শিশু, তরুণ, যুবক, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ সকলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাপন, কাজ এবং যোগাযোগের পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জগতের অনেক কিছুই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। প্রযুক্তি একই সঙ্গে শেখার, বিনোদন এবং বিভ্রান্তির একটি বড় উৎস। প্রযুক্তির প্রভাব সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে কীভাবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য একটি আশীর্বাদ। বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনে এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে ইন্টারনেট বন্ধ থাকাকে অনেকে নিজেদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে থাকার সাথেও তুলনা করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে মেসেজিং, ভিডিও ও অডিও কলিং ফিচারযুক্ত প্ল্যাটফর্মের বদৌলতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সাথে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও শক্তিশালী সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য থাকে এখন হাতের নাগালেই। ইন্টারনেটের যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে অপরদিকে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। ইন্টারনেটের অপব্যবহার ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইন্টারনেটের এই অপব্যবহারকে অনেক ক্ষেত্রে রীতিমতো মানবাধিকার লংঘন হিসেবেও গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনায় আনার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে এর অপব্যবহারগুলো পরিহার করার বিষয়ে।
জাহিদুল ইসলাম
নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।