বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলো পিঠা। বাংলার লোকজ ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি বিশেষভাবে জড়িত, যা মূলত শীতের সময় ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা হয়। এক সময় গ্রামবাংলায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের আপ্যায়নে শীতকালে পিঠা ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে আধুনিক নগরকেন্দ্রিক জীবনে এই ঐতিহ্য কিছুটা হারিয়ে যেতে বসেছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পিঠা উৎসব ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নতুন প্রজন্ম এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে চিনতে পারছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠার স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, দিন দিন এই উৎসবের প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।
পিঠা উৎসব বর্তমানে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু মাত্র ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে এবং আগ্রহী হচ্ছে এই সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে।
তাই এই উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পিঠা উৎসব শুধু একটি খাবার মেলা নয়, এটি একটি আবেগ, একটি অনুভূতি যা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে টিকে থাকবে।
সেলিম রানা
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলো পিঠা। বাংলার লোকজ ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি বিশেষভাবে জড়িত, যা মূলত শীতের সময় ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা হয়। এক সময় গ্রামবাংলায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের আপ্যায়নে শীতকালে পিঠা ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে আধুনিক নগরকেন্দ্রিক জীবনে এই ঐতিহ্য কিছুটা হারিয়ে যেতে বসেছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পিঠা উৎসব ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নতুন প্রজন্ম এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে চিনতে পারছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠার স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, দিন দিন এই উৎসবের প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।
পিঠা উৎসব বর্তমানে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু মাত্র ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে এবং আগ্রহী হচ্ছে এই সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে।
তাই এই উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পিঠা উৎসব শুধু একটি খাবার মেলা নয়, এটি একটি আবেগ, একটি অনুভূতি যা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে টিকে থাকবে।
সেলিম রানা