নাজমুন আরা সুলতানা বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি। এছাড়া তিনি প্রথম নারী মুনসিফ (সহকারী জজ) এবং জেলা জজ ছিলেন।
জন্ম ১৯৫০ সালের ৮ জুলাই, মৌলভীবাজারে। নাজমুনের বাবা মারা যান তার ১১ বছর বয়সের সময়। মা ছিলেন ময়মনসিংহ রাঁধাসুন্দরী গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা।
তার কর্মজীবনের শুরু ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে। ময়মনসিংহ জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে। সেই সময়ে নারীদের বিচারক হওয়ার বিধান ছিল না। ১৯৭৪ সালে সেই আইন তুলে নেয়া হয়। পরে ১৯৭৫ সালের ২০ নভেম্বর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিচার বিভাগের মুনসিফ হিসেবে যোগদান করেন তিনি। নিম্ন আদালতে দেশের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে নাজমুন খুলনা, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা জজ হিসেবে নয় বছর কাজ করার পর তিনি ২০০০ সালের ২৮ মে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর হাইকোর্টে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন। এর নয় বছর পর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চের নেতৃত্ব পান।
নাজমুন হাইকোর্টে গুরুত্বপূর্ণ অনেক রায় দিয়েছেন, যার মধ্যে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে দেয়া রায়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই অবসর নেন তিনি।
বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
নাজমুন আরা সুলতানা বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি। এছাড়া তিনি প্রথম নারী মুনসিফ (সহকারী জজ) এবং জেলা জজ ছিলেন।
জন্ম ১৯৫০ সালের ৮ জুলাই, মৌলভীবাজারে। নাজমুনের বাবা মারা যান তার ১১ বছর বয়সের সময়। মা ছিলেন ময়মনসিংহ রাঁধাসুন্দরী গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা।
তার কর্মজীবনের শুরু ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে। ময়মনসিংহ জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে। সেই সময়ে নারীদের বিচারক হওয়ার বিধান ছিল না। ১৯৭৪ সালে সেই আইন তুলে নেয়া হয়। পরে ১৯৭৫ সালের ২০ নভেম্বর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিচার বিভাগের মুনসিফ হিসেবে যোগদান করেন তিনি। নিম্ন আদালতে দেশের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে নাজমুন খুলনা, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা জজ হিসেবে নয় বছর কাজ করার পর তিনি ২০০০ সালের ২৮ মে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর হাইকোর্টে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন। এর নয় বছর পর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চের নেতৃত্ব পান।
নাজমুন হাইকোর্টে গুরুত্বপূর্ণ অনেক রায় দিয়েছেন, যার মধ্যে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে দেয়া রায়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই অবসর নেন তিনি।