প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, এর বাইরে গেলেই অন্তর্বর্তী সরকার সংকটে পড়তে পারে। মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী পথরেখা প্রকাশ করা উচিত: রুহিন হোসেন প্রিন্স
ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য জাতীয় সনদ, সে লক্ষ্যে আগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি: আলী রীয়াজ
এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ স্বাগত বক্তব্য বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ, যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি হবে, তার একটা ধারণা পেতে পারি, একটা পথ চিহ্নিত করতে পারি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।’
গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথরেখা তৈরিতে সবার লক্ষ্য এক, অভিন্ন। দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার আশা রয়েছে।’
সংলাপে রুহিন হোসেন প্রিন্স ছাড়াও সিপিবির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, মিহির ঘোষ, এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও ফজলুর রহমান।
সংকটে পড়তে পারেন
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলেছি যে, আপনাদের যে প্রধান কাজ, ওইটার বাইরে গেলে পারা যাবে না। বরঞ্চ সংকটে পড়তে পারেন। কারণ আমরা জানি এটা রেগুলার গভর্মেন্ট না, ইউনিফাইড গভর্মেন্টও না। এর মধ্যে নানা পথের মানুষ রয়েছে। সুতরাং গুরুত্ব দেয়া দরকার, ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, যা যা প্রয়োজন সেটা করেই নির্বাচনী পথরেখাটা আগেই করা দরকার। ওই সময়ে আমরা যতকুটু পারি সংস্কারের কাজকে আমরা এগিয়ে নেব। আমি প্রত্যাশা করব, আপনাদের মাধ্যমে সরকার এ
কাজটিকে (নির্বাচন) প্রধান কাজ হিসেবে নেবেন।’
গত ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সংলাপেও সিপিবি এ বক্তব্য তুলে ধরেছে বলে জানান তিনি।
বড় কাজ কঠিন হবে
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কাজ আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রুটিন কাজের বাইরে- যদি অনেক বড় কাজে হাত দিয়ে দেয়, তাহলে তার জন্য এটা কঠিন হয়ে যাবে। এই কঠিন কাজ করতে যেয়ে অনেক সময় এমন কতগুলো বিতর্কের সম্মুখীন হতে পারে, তার যে অন্যতম কাজ একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া, সেটাও কিন্তু সংকটে পরতে পারে। আপনাদের মাধ্যমেও এ কথা আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী পথরেখা প্রকাশ করা উচিত বলেও মনে করে সিপিবি।
দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐকমত্য আমরা করতে চাই, কিন্তু এবারের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এমন কতগুলো অনৈক্যের ধারা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যদি আপনি পুরো ঐকমত্য তৈরি করতে চান তাহলে হয়তো এটা কঠিন হয়ে যাবে। সুতরাং, যতটুকু ঐকমত্য করা সম্ভব, সেটার মধ্যে দিয়েই আগান। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আমরা যদি নির্বাচনও করতে পারি, আমি প্রয়োজনীয় সংস্কার মানে বলছি সুষ্ঠু নির্বাচনে যা যা সংস্কার সেটাকে; তাহলে একধাপ অগ্রগতি হবে।’
*মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক*
সরকারের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম, সরকারের শুরুতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কাউন্টার করে এমন কতগুলো কথা তৈরি করা হলো, যেন তাকে রিপ্লেস করে সাতচল্লিশের ধারাবাহিকতায় চব্বিশ। এ ধরনের কতগুলো ঘটনা কিন্তু শুরুতে বিতর্ক তৈরি করেছে। আমরা আশা করব, এ বিতর্কগুলো বন্ধ হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
*সবার লক্ষ্য এক*
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনার টেবিলে দুই পাশে বসলেও সবার লক্ষ্য এক।
তিনি বলেন, ‘যে লক্ষ্যে সিপিবি দীর্ঘদিন যাবত দল হিসেবে সংগ্রাম করেছে, তারই ধারাবাহিকতা এ আলোচনা। ফলে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে এ আলোচনা শেষ হবে তা ভাবার কারণ নেই। এখন কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আলোচনায় সুনির্দিষ্ট করা এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা আমাদের কাজ। ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করা বিজয়ের এক ধাপ মাত্র।’
*ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ*
শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনের গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক হয়।
এরপর পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চায় ঐকমত্য কমিশন। ৩৪টি দল তাদের মতামত তুলে ধরে, যার মধ্যে সিপিবিসহ ৩২টি দল প্রথম পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, এর বাইরে গেলেই অন্তর্বর্তী সরকার সংকটে পড়তে পারে। মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী পথরেখা প্রকাশ করা উচিত: রুহিন হোসেন প্রিন্স
ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য জাতীয় সনদ, সে লক্ষ্যে আগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি: আলী রীয়াজ
এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ স্বাগত বক্তব্য বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ, যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি হবে, তার একটা ধারণা পেতে পারি, একটা পথ চিহ্নিত করতে পারি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।’
গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথরেখা তৈরিতে সবার লক্ষ্য এক, অভিন্ন। দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার আশা রয়েছে।’
সংলাপে রুহিন হোসেন প্রিন্স ছাড়াও সিপিবির প্রতিনিধিদলে ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, মিহির ঘোষ, এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও ফজলুর রহমান।
সংকটে পড়তে পারেন
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলেছি যে, আপনাদের যে প্রধান কাজ, ওইটার বাইরে গেলে পারা যাবে না। বরঞ্চ সংকটে পড়তে পারেন। কারণ আমরা জানি এটা রেগুলার গভর্মেন্ট না, ইউনিফাইড গভর্মেন্টও না। এর মধ্যে নানা পথের মানুষ রয়েছে। সুতরাং গুরুত্ব দেয়া দরকার, ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, যা যা প্রয়োজন সেটা করেই নির্বাচনী পথরেখাটা আগেই করা দরকার। ওই সময়ে আমরা যতকুটু পারি সংস্কারের কাজকে আমরা এগিয়ে নেব। আমি প্রত্যাশা করব, আপনাদের মাধ্যমে সরকার এ
কাজটিকে (নির্বাচন) প্রধান কাজ হিসেবে নেবেন।’
গত ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সংলাপেও সিপিবি এ বক্তব্য তুলে ধরেছে বলে জানান তিনি।
বড় কাজ কঠিন হবে
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কাজ আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রুটিন কাজের বাইরে- যদি অনেক বড় কাজে হাত দিয়ে দেয়, তাহলে তার জন্য এটা কঠিন হয়ে যাবে। এই কঠিন কাজ করতে যেয়ে অনেক সময় এমন কতগুলো বিতর্কের সম্মুখীন হতে পারে, তার যে অন্যতম কাজ একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া, সেটাও কিন্তু সংকটে পরতে পারে। আপনাদের মাধ্যমেও এ কথা আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী পথরেখা প্রকাশ করা উচিত বলেও মনে করে সিপিবি।
দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐকমত্য আমরা করতে চাই, কিন্তু এবারের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এমন কতগুলো অনৈক্যের ধারা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যদি আপনি পুরো ঐকমত্য তৈরি করতে চান তাহলে হয়তো এটা কঠিন হয়ে যাবে। সুতরাং, যতটুকু ঐকমত্য করা সম্ভব, সেটার মধ্যে দিয়েই আগান। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আমরা যদি নির্বাচনও করতে পারি, আমি প্রয়োজনীয় সংস্কার মানে বলছি সুষ্ঠু নির্বাচনে যা যা সংস্কার সেটাকে; তাহলে একধাপ অগ্রগতি হবে।’
*মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক*
সরকারের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম, সরকারের শুরুতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কাউন্টার করে এমন কতগুলো কথা তৈরি করা হলো, যেন তাকে রিপ্লেস করে সাতচল্লিশের ধারাবাহিকতায় চব্বিশ। এ ধরনের কতগুলো ঘটনা কিন্তু শুরুতে বিতর্ক তৈরি করেছে। আমরা আশা করব, এ বিতর্কগুলো বন্ধ হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
*সবার লক্ষ্য এক*
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনার টেবিলে দুই পাশে বসলেও সবার লক্ষ্য এক।
তিনি বলেন, ‘যে লক্ষ্যে সিপিবি দীর্ঘদিন যাবত দল হিসেবে সংগ্রাম করেছে, তারই ধারাবাহিকতা এ আলোচনা। ফলে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে এ আলোচনা শেষ হবে তা ভাবার কারণ নেই। এখন কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আলোচনায় সুনির্দিষ্ট করা এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা আমাদের কাজ। ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করা বিজয়ের এক ধাপ মাত্র।’
*ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ*
শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনের গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক হয়।
এরপর পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চায় ঐকমত্য কমিশন। ৩৪টি দল তাদের মতামত তুলে ধরে, যার মধ্যে সিপিবিসহ ৩২টি দল প্রথম পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিয়েছে।