দীর্ঘদিন তাপপ্রবাহের পর সোমবার(৬ মে) শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুপুর থেকেই বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে জাজিরা উপজেলায় নারীসহ ২ জন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর এলাকায় এক নারী বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া আহমদ মাঝী কান্দি গ্রামে বৃষ্টির সময় মায়ের খোঁজে মাঠে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম(২৬) নামে এক নারী। তিনি ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমেনা বেগম।
নিহত আমেনা বেগম ঐ এলাকার বাসিন্দা আলতু মাঝির মেয়ে। একই এলাকার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তিনি এক সন্তানের জননী।
এদিকে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির সময় কাজ করছিলেন হান্নান(৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।
পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ খান বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে আমেনা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই সময়ে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা সংবাদকে বলেন, কুন্ডেরচরে আশ্রয়ন প্রকল্পের এক নির্মাণ শ্রমিক বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন শুনে সাথে সাথে এম্বুলেন্স পাঠিয়েছি। এছাড়াও পূর্বনাওডোবা এলাকায় বজ্রপাতের আঘাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।
অন্যদিকে জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন ঐ সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়।
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের যেকোন প্রয়োজনে আমার সহযোগীতা অব্যহত থাকবে
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
দীর্ঘদিন তাপপ্রবাহের পর সোমবার(৬ মে) শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুপুর থেকেই বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে জাজিরা উপজেলায় নারীসহ ২ জন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর এলাকায় এক নারী বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া আহমদ মাঝী কান্দি গ্রামে বৃষ্টির সময় মায়ের খোঁজে মাঠে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম(২৬) নামে এক নারী। তিনি ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমেনা বেগম।
নিহত আমেনা বেগম ঐ এলাকার বাসিন্দা আলতু মাঝির মেয়ে। একই এলাকার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তিনি এক সন্তানের জননী।
এদিকে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির সময় কাজ করছিলেন হান্নান(৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।
পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ খান বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে আমেনা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই সময়ে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা সংবাদকে বলেন, কুন্ডেরচরে আশ্রয়ন প্রকল্পের এক নির্মাণ শ্রমিক বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন শুনে সাথে সাথে এম্বুলেন্স পাঠিয়েছি। এছাড়াও পূর্বনাওডোবা এলাকায় বজ্রপাতের আঘাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।
অন্যদিকে জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন ঐ সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়।
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের যেকোন প্রয়োজনে আমার সহযোগীতা অব্যহত থাকবে