রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সূচি অনুযায়ী গুটি জাতের আম পাড়তে শুরু করেছেন বাগান মালিকরা। তবে আম ভালোভাবে পরিপক্ক না হওয়ায় সব বাগানে আম পাড়া শুরু হয়নি।
গতকাল সকালে নগরীর জিন্না নগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আম পাড়ছেন চাষিরা। তারা বলছেন, এখনও পুরোপুরি আম পরিপক্ক না হওয়ায় তারা গাছের যে আমগুলো পরিপক্ক হয়েছে শুধু সেগুলোই দেখে নামাচ্ছেন।
চাষিরা বলেন, প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আমরা আজ আম পাড়তে শুরু করেছি। এবার গাছে আমের সংখ্যা অনেক কম। এজন্য ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে যেহেতু গাছে আম কম, তাই আমাদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
আম বাগানী আনোয়ারুল হক বলেন, আমের প্রডাকশন এবার খুবই কম। এবার আমের জন্য অফ ইয়ার। তবে দেরিতে যে মুকুলগুলো এসেছিল এখন সেগুলোর আম টিকে আছে
শফিকুল নামের এক বাগানি জানালেন, আজ প্রথম গুটি আম নামাচ্ছি। আশা করছি ভালো দাম পাওয়া যাবে। কারণ এবার আমাদের গাছে মাত্র ২৫% থেকে সর্বোচ্চ ৩০% শতাংশ আম টিকে আছে।
এর আগে গত সপ্তাহে গাছ থেকে আম পাড়ার ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহীতে। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ মে থেকে গুটি জাতীয় আম গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে। আর গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে থেকে।
গত রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আম পাড়া ও বাজারজাতের তারিখ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
তিনি আরও জানান, খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা ১০ জুলাই, গৌড়মতি ১৫ জুলাই এবং ইলামতি আম পাড়া যাবে ২০ আগস্ট থেকে। এছাড়া কাটিমন ও বারি-১১ জাতের আম পরিপক্ক সাপেক্ষে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ক এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এই আম পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই সময়মতো গাছ থেকে আম পেড়ে বাজারজাত করলে এবার কৃষকরা লাভবান হবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কৃষকরা আমের দাম ভালো পাবেন বলেও আশা করছেন কৃষকরা।
এবার জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন। এবছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সূচি অনুযায়ী গুটি জাতের আম পাড়তে শুরু করেছেন বাগান মালিকরা। তবে আম ভালোভাবে পরিপক্ক না হওয়ায় সব বাগানে আম পাড়া শুরু হয়নি।
গতকাল সকালে নগরীর জিন্না নগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আম পাড়ছেন চাষিরা। তারা বলছেন, এখনও পুরোপুরি আম পরিপক্ক না হওয়ায় তারা গাছের যে আমগুলো পরিপক্ক হয়েছে শুধু সেগুলোই দেখে নামাচ্ছেন।
চাষিরা বলেন, প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আমরা আজ আম পাড়তে শুরু করেছি। এবার গাছে আমের সংখ্যা অনেক কম। এজন্য ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে যেহেতু গাছে আম কম, তাই আমাদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
আম বাগানী আনোয়ারুল হক বলেন, আমের প্রডাকশন এবার খুবই কম। এবার আমের জন্য অফ ইয়ার। তবে দেরিতে যে মুকুলগুলো এসেছিল এখন সেগুলোর আম টিকে আছে
শফিকুল নামের এক বাগানি জানালেন, আজ প্রথম গুটি আম নামাচ্ছি। আশা করছি ভালো দাম পাওয়া যাবে। কারণ এবার আমাদের গাছে মাত্র ২৫% থেকে সর্বোচ্চ ৩০% শতাংশ আম টিকে আছে।
এর আগে গত সপ্তাহে গাছ থেকে আম পাড়ার ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহীতে। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ মে থেকে গুটি জাতীয় আম গাছ থেকে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে। আর গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে থেকে।
গত রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আম পাড়া ও বাজারজাতের তারিখ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
তিনি আরও জানান, খিরসাপাত ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা ১০ জুলাই, গৌড়মতি ১৫ জুলাই এবং ইলামতি আম পাড়া যাবে ২০ আগস্ট থেকে। এছাড়া কাটিমন ও বারি-১১ জাতের আম পরিপক্ক সাপেক্ষে পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ক এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এই আম পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই সময়মতো গাছ থেকে আম পেড়ে বাজারজাত করলে এবার কৃষকরা লাভবান হবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কৃষকরা আমের দাম ভালো পাবেন বলেও আশা করছেন কৃষকরা।
এবার জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন। এবছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।