ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলো থেকে অছাত্রদের দমন এবং নতুন শিক্ষার্থীদের সিট দিতে প্রশাসনের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মেধা ও প্রয়োজনীতার ভিত্তিতে প্রথম বর্ষ থেকেই সিট দেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ডাকসুর সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ডাকসুর ভিপি বলেন, নির্বাচনের ৮ মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষার্থীদের অন্যতম সমস্যা গেস্টরুম-গণরুম সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সিট প্রদান করার তাগাদা দিয়েও প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বরং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদককে না জানিয়ে ডাকসুর অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপাচার্যকে বারবার জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বরং উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকেও পক্ষপাতমূলক আচরণ পেয়ে আসছি। যে কারণে বাজেট ও সিনেট সদস্য মনোনয়ন নিয়ে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক এর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি।
নুরুল হক নুর বলেন, সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর উপাচার্যের বাসায় ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদককে ছাড়াই ডাকসুর সভা হয়, যা খুবই দুঃখজনক এবং নিয়ম-নীতির পরিপন্থী। এছাড়া, গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে নিয়ে সভা করে সেটাকে ডাকসুর সভা বলে অভিহিত করা হয়। নুর বলেন, ডাকসুর জিএসের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও নৈতিক স্খলনের স্পষ্ট অভিযোগ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
নুর আরও বলেন, ডাকসু শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি। বর্তমান প্রশাসন ডাকসুকে ডাকসুলীগে পরিণত করতে চায়। হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে মেধার ভিত্তিতে সিট পায় না। তারা যে কোন বিষয়ে গঠনমূলক কথা বললে মারধর করা হয়। গেস্টরুম অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ডাকসুর অন্যান্য নেতারা এসব বিষয়ে কোন কথা বলেন না। ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে এটার মৌলিক কাজগুলোকে ঢেকে রাখছে।
ঢাবিতে চালু হচ্ছে ভেন্ডিং মেশিন : ডাকসু ও এসিআই ফ্রিডমের যৌথ উদ্যোগে ৪ ডিসেম্বর বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। রোববার ডাকসু ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কার্যক্রমের প্রধান উদ্যোক্তা ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন অর্ণি, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, সাইফুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
তিলোত্তমা শিকদার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সুবিধার ভিত্তিতে নির্ধারিত ১০টি স্পটে বসানো হবে কাক্সিক্ষত ভেন্ডিং মেশিন। স্পটগুলো হলো- টিএসসি, কলা ভবন ছাত্রী কমনরুম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সায়েন্স লাইব্রেরি, চারুকলা অনুষদ, রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হল।
রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলো থেকে অছাত্রদের দমন এবং নতুন শিক্ষার্থীদের সিট দিতে প্রশাসনের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মেধা ও প্রয়োজনীতার ভিত্তিতে প্রথম বর্ষ থেকেই সিট দেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ডাকসুর সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ডাকসুর ভিপি বলেন, নির্বাচনের ৮ মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষার্থীদের অন্যতম সমস্যা গেস্টরুম-গণরুম সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সিট প্রদান করার তাগাদা দিয়েও প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বরং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদককে না জানিয়ে ডাকসুর অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপাচার্যকে বারবার জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বরং উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকেও পক্ষপাতমূলক আচরণ পেয়ে আসছি। যে কারণে বাজেট ও সিনেট সদস্য মনোনয়ন নিয়ে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক এর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি।
নুরুল হক নুর বলেন, সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর উপাচার্যের বাসায় ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদককে ছাড়াই ডাকসুর সভা হয়, যা খুবই দুঃখজনক এবং নিয়ম-নীতির পরিপন্থী। এছাড়া, গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে নিয়ে সভা করে সেটাকে ডাকসুর সভা বলে অভিহিত করা হয়। নুর বলেন, ডাকসুর জিএসের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও নৈতিক স্খলনের স্পষ্ট অভিযোগ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
নুর আরও বলেন, ডাকসু শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি। বর্তমান প্রশাসন ডাকসুকে ডাকসুলীগে পরিণত করতে চায়। হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে মেধার ভিত্তিতে সিট পায় না। তারা যে কোন বিষয়ে গঠনমূলক কথা বললে মারধর করা হয়। গেস্টরুম অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ডাকসুর অন্যান্য নেতারা এসব বিষয়ে কোন কথা বলেন না। ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে এটার মৌলিক কাজগুলোকে ঢেকে রাখছে।
ঢাবিতে চালু হচ্ছে ভেন্ডিং মেশিন : ডাকসু ও এসিআই ফ্রিডমের যৌথ উদ্যোগে ৪ ডিসেম্বর বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। রোববার ডাকসু ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কার্যক্রমের প্রধান উদ্যোক্তা ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন অর্ণি, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, সাইফুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
তিলোত্তমা শিকদার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সুবিধার ভিত্তিতে নির্ধারিত ১০টি স্পটে বসানো হবে কাক্সিক্ষত ভেন্ডিং মেশিন। স্পটগুলো হলো- টিএসসি, কলা ভবন ছাত্রী কমনরুম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সায়েন্স লাইব্রেরি, চারুকলা অনুষদ, রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হল।