জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা না মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গনপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের চাচাত ভাই এ প্রকৌশলী। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাকেই ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক পদেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ‘এই নিয়োগে সমীচিন হয়নি’ উল্লেখ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নেয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালায় জন্য একটি নীতিমালা অনুযায়ী পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতার শর্তে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা প্রকৌশল ডিগ্রী, সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু গত বছর ২০ নভেম্বর এ পদের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ২০ বছরের এবং পরিচালক বা প্রধান প্রকৌশলী পদে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। বয়স উল্লেখ করা হয় কমপক্ষে ৫৫ বছর। পরে এ পদে নিয়োগ পান সাহাদাত হোসেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে অনুমোদতনকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালার কোন শর্ত পরিবর্তন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নীতিমালা পরিবর্তনে কোন শর্ত পরিবর্তন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষক জানান, শাহাদাত হোসেনের যেসব যোগ্যতা রয়েছে; নীতিমালা পাস কাটিয়ে সেসবের ভিত্তিতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বেশিরভাগ প্রার্থী আগেই বাদ পড়ে যান।
সুত্র জানায়, নীতিমালার শর্ত পরিবর্তন করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির পরও চারজন আবেদন করেন। এর মধ্যেও ‘শর্ত’ পূরণ হয়নি যুক্তিতে দুজনকে বাদ দেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয় শুধু দুজনকে- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে। শেষের জন চূড়ান্ত নিয়োগ পান।
প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে তৎকালিন উপাচার্যের মতামতই বাস্তবায়ন হয়েছে। সাহাদাত হোসেন তৎকালীন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের চাচাতো ভাই। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া আলী রেজা নামে এক ঠিকাদার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সচিবের কাছে তার নামে ৬১ পৃষ্ঠার দুর্নীতির অভিযোগ দেন। দুদকের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে থাকার সময় অবৈধভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার হয়েছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সাহাদাত হোসেনকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরিচালক করা হয়। এ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ আছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে একটি নীতিমালা করে। নীতিমালায় প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ চূড়ান্ত করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই প্রকল্প পরিচালক সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভা আহ্বান করে ন্যূনতম সম্ভাব্য তিনজন প্রকল্প পরিচালকের বৃত্তান্ত উপস্থাপন করবে। সেখান থেকে কমিটির পর্যালোচনা সাপেক্ষে একজন প্রকল্প পরিচালক নির্বাচন করতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত যে সব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ থাকবে না, তাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে প্রকল্প পরিচালক করতে এই নীতিমালাও মানা হয়নি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক এই প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীতিমালা না মেনে তাকে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেন। গত ১১ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাহাদাত হোসেনকে ‘নিয়োগ দেওয়া সমীচীন হয়নি’ বলে জানানো হয়।
মন্ত্রনালয় সুত্রে জানা যায়, এ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে তার কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়ার জন্য বলা হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার কাগজ মন্ত্রনালয়ে জমা দেননি। সাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নির্দেশে নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদনের সময় বিজ্ঞপ্তি সিন্ডকেটে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে বলেন, প্রকল্পের ডিপিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক হবেন প্রকল্পের পরিচালক। এর ভিত্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
কিন্ত চুক্তিভিত্তিক এ পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালকে নিয়োগ দিতেও নিয়ম মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
রোববার, ২৭ জুন ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা না মেনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গনপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের চাচাত ভাই এ প্রকৌশলী। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাকেই ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক পদেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ‘এই নিয়োগে সমীচিন হয়নি’ উল্লেখ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে নেয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালায় জন্য একটি নীতিমালা অনুযায়ী পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতার শর্তে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা প্রকৌশল ডিগ্রী, সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু গত বছর ২০ নভেম্বর এ পদের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে ২০ বছরের এবং পরিচালক বা প্রধান প্রকৌশলী পদে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। বয়স উল্লেখ করা হয় কমপক্ষে ৫৫ বছর। পরে এ পদে নিয়োগ পান সাহাদাত হোসেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে অনুমোদতনকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালার কোন শর্ত পরিবর্তন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নীতিমালা পরিবর্তনে কোন শর্ত পরিবর্তন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তা ও শিক্ষক জানান, শাহাদাত হোসেনের যেসব যোগ্যতা রয়েছে; নীতিমালা পাস কাটিয়ে সেসবের ভিত্তিতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বেশিরভাগ প্রার্থী আগেই বাদ পড়ে যান।
সুত্র জানায়, নীতিমালার শর্ত পরিবর্তন করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির পরও চারজন আবেদন করেন। এর মধ্যেও ‘শর্ত’ পূরণ হয়নি যুক্তিতে দুজনকে বাদ দেওয়া হয়। সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয় শুধু দুজনকে- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে। শেষের জন চূড়ান্ত নিয়োগ পান।
প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে তৎকালিন উপাচার্যের মতামতই বাস্তবায়ন হয়েছে। সাহাদাত হোসেন তৎকালীন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের চাচাতো ভাই। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া আলী রেজা নামে এক ঠিকাদার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সচিবের কাছে তার নামে ৬১ পৃষ্ঠার দুর্নীতির অভিযোগ দেন। দুদকের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে থাকার সময় অবৈধভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিস্কার হয়েছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সাহাদাত হোসেনকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরিচালক করা হয়। এ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ আছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে একটি নীতিমালা করে। নীতিমালায় প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ চূড়ান্ত করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই প্রকল্প পরিচালক সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভা আহ্বান করে ন্যূনতম সম্ভাব্য তিনজন প্রকল্প পরিচালকের বৃত্তান্ত উপস্থাপন করবে। সেখান থেকে কমিটির পর্যালোচনা সাপেক্ষে একজন প্রকল্প পরিচালক নির্বাচন করতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত যে সব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ থাকবে না, তাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে প্রকল্প পরিচালক করতে এই নীতিমালাও মানা হয়নি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক এই প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীতিমালা না মেনে তাকে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেন। গত ১১ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাহাদাত হোসেনকে ‘নিয়োগ দেওয়া সমীচীন হয়নি’ বলে জানানো হয়।
মন্ত্রনালয় সুত্রে জানা যায়, এ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে তার কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়ার জন্য বলা হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার কাগজ মন্ত্রনালয়ে জমা দেননি। সাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, যারা আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নির্দেশে নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদনের সময় বিজ্ঞপ্তি সিন্ডকেটে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে বলেন, প্রকল্পের ডিপিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক হবেন প্রকল্পের পরিচালক। এর ভিত্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
কিন্ত চুক্তিভিত্তিক এ পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালকে নিয়োগ দিতেও নিয়ম মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।