করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সশরীরে নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে বিভাগের দুটি ক্লাসরুমে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবারে মাস্টার্স ও শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উভয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেক সময়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়। ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনার্স চতুর্থবর্ষের ও ১২টা পর্যন্ত চলে মাস্টার্সের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বিভাগের মাস্টার্সের ৩৪ জন শিক্ষার্থীর সবাই অংশ নিয়েছেন। একইসঙ্গে অনার্সের ৪৫ জনের সবাই অংশ নেন।
চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টার এবং মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা মঙ্গলবারেই শেষ হয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এরপর ২৫, ২৭ এবং মঙ্গলবারে সর্বশেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিতি শতাভাগ ছিলো। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা সকল সতর্কতা অবলম্বন করেছিলাম। আমরা ৮০ জনের সিটে ৩০ জনকে বসিয়েছি। যদি কারো তাপমাত্রা বেশি হয় তাদের জন্য আলাদা রুম রেখেছিলাম। স্প্রে করে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করে সবাইকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়েছিলাম। এছাড়া আমরা প্রস্তুত ছিলাম ওদের যদি বাসস্থানসহ অন্য কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হতো, কিন্তু দরকার হয়নি।
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে কিভাবে পরীক্ষায় বসানো সম্ভব হলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চতুর্থ ও মাস্টার্সের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চাকরির প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় অবস্থান করছে। আর পরীক্ষা তো অনেকদিন আগে থেকে চলছিল তারা বন্ধুদের মেসে, আত্মীয়ের বাসায় ম্যানেজ করে নিয়েছে। কারো কোনো সমস্যা হয়নি। মঙ্গলবারে মাস্টার্স ও শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করা হলো।
যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ ছিল সেহেতু পরীক্ষায় আসার জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যেটা করেছি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেছি সব মিলিয়ে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর বাসা ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে। তাই তাদেরকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসের রুট জানিয়ে দিই। তারা সেগুলোতে করে ক্যাম্পাসে আসে। আর যারা রিকশার দূরত্বে ছিল তারা রিকশায় করে ক্যাম্পাসে আসে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে৷
আর কোনো বর্ষের পরীক্ষার তারিখ রয়েছে কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার তারিখ ৮ জুলাই থেকে দেয়া হয়েছিল। সেগুলো স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো জুলাইয়ের শেষদিকে নিবো।
উল্লেখ্য এর আগে, ২০ জুন প্রথম সশরীরে পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগ। আবাসন সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের নিজেদের বাসায় রেখে করে সশরীরে পরীক্ষা নিয়েছিল বিভাগের শিক্ষকরা। পরীক্ষায় সেমিস্টারের শতভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সশরীরে নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে বিভাগের দুটি ক্লাসরুমে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবারে মাস্টার্স ও শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উভয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেক সময়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়। ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনার্স চতুর্থবর্ষের ও ১২টা পর্যন্ত চলে মাস্টার্সের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বিভাগের মাস্টার্সের ৩৪ জন শিক্ষার্থীর সবাই অংশ নিয়েছেন। একইসঙ্গে অনার্সের ৪৫ জনের সবাই অংশ নেন।
চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টার এবং মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা মঙ্গলবারেই শেষ হয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এরপর ২৫, ২৭ এবং মঙ্গলবারে সর্বশেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিতি শতাভাগ ছিলো। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা সকল সতর্কতা অবলম্বন করেছিলাম। আমরা ৮০ জনের সিটে ৩০ জনকে বসিয়েছি। যদি কারো তাপমাত্রা বেশি হয় তাদের জন্য আলাদা রুম রেখেছিলাম। স্প্রে করে, তাপমাত্রা পরীক্ষা করে সবাইকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়েছিলাম। এছাড়া আমরা প্রস্তুত ছিলাম ওদের যদি বাসস্থানসহ অন্য কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হতো, কিন্তু দরকার হয়নি।
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে কিভাবে পরীক্ষায় বসানো সম্ভব হলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চতুর্থ ও মাস্টার্সের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চাকরির প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় অবস্থান করছে। আর পরীক্ষা তো অনেকদিন আগে থেকে চলছিল তারা বন্ধুদের মেসে, আত্মীয়ের বাসায় ম্যানেজ করে নিয়েছে। কারো কোনো সমস্যা হয়নি। মঙ্গলবারে মাস্টার্স ও শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করা হলো।
যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ ছিল সেহেতু পরীক্ষায় আসার জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যেটা করেছি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেছি সব মিলিয়ে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর বাসা ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে। তাই তাদেরকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসের রুট জানিয়ে দিই। তারা সেগুলোতে করে ক্যাম্পাসে আসে। আর যারা রিকশার দূরত্বে ছিল তারা রিকশায় করে ক্যাম্পাসে আসে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে৷
আর কোনো বর্ষের পরীক্ষার তারিখ রয়েছে কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার তারিখ ৮ জুলাই থেকে দেয়া হয়েছিল। সেগুলো স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো জুলাইয়ের শেষদিকে নিবো।
উল্লেখ্য এর আগে, ২০ জুন প্রথম সশরীরে পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগ। আবাসন সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের নিজেদের বাসায় রেখে করে সশরীরে পরীক্ষা নিয়েছিল বিভাগের শিক্ষকরা। পরীক্ষায় সেমিস্টারের শতভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।