রাস্তার পাশে ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। কাঠের টুলে ঝুঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের জন্য আনুসাঙ্গিত তথ্য সম্বলিত ফরম পূরণ করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সেই ফরম নিয়ে একজন ছুটছেন মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত দোকানে। অনলাইনে ফরম পূরণ করার পর অনুলিপি হাতে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় প্রেসিডেন্ট রোডের প্রবেশমুখে সমবায় নিউ মার্কেটের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন আবার শুরু হয়েছে গত ২৮ জুলাই। অনলাইনের মাধ্যমে এ আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। ঘরে বসে কেউ কেউ এই আবেদন করলেও অনেকেই সে বিষয়ে অভিজ্ঞ নয়। ফলে স্বাভাবিক সময়ে শহরের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভর্তির আবেদন করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। শহরের চাষাঢ়ায় সমবায় মার্কেটসহ বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে এই সময়ে ভিড় লেগে থাকে। তবে এইবার করোনা পরিস্থিতিতে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে মার্কেটগুলো, খোলার অনুমতি নেই অন্যান্য দোকানপাটও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সমবায় মার্কেটের নিচে দুটি ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। তাতে লেখা, ‘এখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম পূরণ করা হয়’। তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসিবুল হক। সমবায় মার্কেটের চতুর্থ তলায় পয়েন্ট কম্পিউটার নামে একটি দোকান রয়েছে তার। লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় মার্কেটের নিচে ব্যানার লাগিয়েছেন।
হাসিবুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ। মাসের পরে ভাড়া ঠিকই গুনতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। অনেকেই ফোন করেছেন অনলাইনে আবেদনের জন্য। তাই মার্কেটের নিচে দাঁড়িয়েছি। কয়েকজন আসে। তারা তাদের তথ্যাদি লিখে দেন। মার্কেটে উঠে সেগুলো পূরণ করে দেই।’ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৭ জনের আবেদন অনলাইনে করিয়েছেন বলে জানান হাসিবুল।
রাস্তার ওপর একটি কাঠের টুলে ঝুঁকে ফরম পূরণ করছিলেন কিশোর সুমন। তার বড় বোন রিমা আক্তারের অনলাইন আবেদন করাতে এসেছেন তিনি। সাথে রয়েছে তার বাবা মো. আনোয়ার। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত এই ব্যক্তি বলেন, তার মেয়ে অনার্সে ভর্তি হবে। অনলাইনে আবেদন করার বিষয়ে তিনি কিংবা তার ছেলে-মেয়ে ততোটা অভিজ্ঞ নয়। তাছাড়া ভুল করারও সম্ভবনা রয়েছে। পরিচিত একজনের কাছে জেনেছেন, মার্কেটের সামনে গিয়ে ফরম পূরণ করে দিলে দোকানদার আবেদন করিয়ে দেন। এই খবর পেয়ে মেয়ের ফরম পূরণ করতে এসেছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই লকডাউনের মধ্যে যখন সবকিছু বন্ধ ঠিক তখনই ভর্তি আবেদন শুরু করলো। সরকার কোনো কিছু বিবেচনায় রাখে না। সবাই তো আর অনলাইনে আবেদন করতে জানে না। আবার ভুল হওয়ার শঙ্কা থেকে নিজে সেই কাজ করে না। অথচ সব দোকানপাট বন্ধ। বাধ্য হয়ে আধঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে আবেদন সম্পন্ন করলাম।’
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
রাস্তার পাশে ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। কাঠের টুলে ঝুঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের জন্য আনুসাঙ্গিত তথ্য সম্বলিত ফরম পূরণ করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সেই ফরম নিয়ে একজন ছুটছেন মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত দোকানে। অনলাইনে ফরম পূরণ করার পর অনুলিপি হাতে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় প্রেসিডেন্ট রোডের প্রবেশমুখে সমবায় নিউ মার্কেটের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন আবার শুরু হয়েছে গত ২৮ জুলাই। অনলাইনের মাধ্যমে এ আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। ঘরে বসে কেউ কেউ এই আবেদন করলেও অনেকেই সে বিষয়ে অভিজ্ঞ নয়। ফলে স্বাভাবিক সময়ে শহরের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভর্তির আবেদন করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। শহরের চাষাঢ়ায় সমবায় মার্কেটসহ বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে এই সময়ে ভিড় লেগে থাকে। তবে এইবার করোনা পরিস্থিতিতে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে মার্কেটগুলো, খোলার অনুমতি নেই অন্যান্য দোকানপাটও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সমবায় মার্কেটের নিচে দুটি ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। তাতে লেখা, ‘এখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম পূরণ করা হয়’। তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসিবুল হক। সমবায় মার্কেটের চতুর্থ তলায় পয়েন্ট কম্পিউটার নামে একটি দোকান রয়েছে তার। লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় মার্কেটের নিচে ব্যানার লাগিয়েছেন।
হাসিবুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ। মাসের পরে ভাড়া ঠিকই গুনতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। অনেকেই ফোন করেছেন অনলাইনে আবেদনের জন্য। তাই মার্কেটের নিচে দাঁড়িয়েছি। কয়েকজন আসে। তারা তাদের তথ্যাদি লিখে দেন। মার্কেটে উঠে সেগুলো পূরণ করে দেই।’ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৭ জনের আবেদন অনলাইনে করিয়েছেন বলে জানান হাসিবুল।
রাস্তার ওপর একটি কাঠের টুলে ঝুঁকে ফরম পূরণ করছিলেন কিশোর সুমন। তার বড় বোন রিমা আক্তারের অনলাইন আবেদন করাতে এসেছেন তিনি। সাথে রয়েছে তার বাবা মো. আনোয়ার। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত এই ব্যক্তি বলেন, তার মেয়ে অনার্সে ভর্তি হবে। অনলাইনে আবেদন করার বিষয়ে তিনি কিংবা তার ছেলে-মেয়ে ততোটা অভিজ্ঞ নয়। তাছাড়া ভুল করারও সম্ভবনা রয়েছে। পরিচিত একজনের কাছে জেনেছেন, মার্কেটের সামনে গিয়ে ফরম পূরণ করে দিলে দোকানদার আবেদন করিয়ে দেন। এই খবর পেয়ে মেয়ের ফরম পূরণ করতে এসেছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই লকডাউনের মধ্যে যখন সবকিছু বন্ধ ঠিক তখনই ভর্তি আবেদন শুরু করলো। সরকার কোনো কিছু বিবেচনায় রাখে না। সবাই তো আর অনলাইনে আবেদন করতে জানে না। আবার ভুল হওয়ার শঙ্কা থেকে নিজে সেই কাজ করে না। অথচ সব দোকানপাট বন্ধ। বাধ্য হয়ে আধঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে আবেদন সম্পন্ন করলাম।’