গত নয় বছরে ঢাকার মানুষ মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, ঢাকার মানুষ এই সময়ে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর, ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৯৩ দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাস গ্রহণ করেছেন।
২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত মোট ৩১১৪ দিনের বায়ুমান সূচক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “গত নয় বছরে ঢাকার মানুষ ৬২৪ দিন মাঝারি বায়ু এবং ৮৭৮ দিন সংবেদনশীল বায়ু গ্রহণ করেছেন। ২০২৪ সালের সবচেয়ে ভালো ও সবচেয়ে খারাপ বায়ুমানের দিনসংখ্যা যথাক্রমে ২ ও ৩৫।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৯ বছরের মধ্যে ঢাকায় ২০২৩ ও ২০২১ সালে খুব অস্বাস্থ্যকর বায়ুমানের দিনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ, যা অন্য বছরগুলোর তুলনায় বেশি। অপরদিকে ২০২৪ সালের ৩৬৬ দিনের মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ দিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দিনে।”
সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে বায়ু দূষণ রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বায়ু দূষণের মত সমস্যা সমাধানে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, ভূ-তাপীয় শক্তি ও বায়োমাস শক্তির মত প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ায়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। সৌর প্যানেল ও বায়ু টারবাইন প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যা অধিক কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদে কম ব্যয়বহুল।
সংবাদ সম্মেলনে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আটটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
> > মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি
পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্লক ইটের উৎপাদন ও ব্যবহার
বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামানো
বিদ্যমান জ্বালানি নীতিতে সংশোধন ও নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন
বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে নিঃসরণ মান নির্ধারণ ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ
নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ ও গবেষণায় জোর
গ্রামীণ অঞ্চলে সবুজ জ্বালানি নিশ্চিত করা
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। এছাড়া বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি এম ফিরোজ আহমেদ, মহিদুল হক খান ও অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সুমন।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
গত নয় বছরে ঢাকার মানুষ মাত্র ৩১ দিন নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, ঢাকার মানুষ এই সময়ে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর, ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৯৩ দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাস গ্রহণ করেছেন।
২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত মোট ৩১১৪ দিনের বায়ুমান সূচক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “গত নয় বছরে ঢাকার মানুষ ৬২৪ দিন মাঝারি বায়ু এবং ৮৭৮ দিন সংবেদনশীল বায়ু গ্রহণ করেছেন। ২০২৪ সালের সবচেয়ে ভালো ও সবচেয়ে খারাপ বায়ুমানের দিনসংখ্যা যথাক্রমে ২ ও ৩৫।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৯ বছরের মধ্যে ঢাকায় ২০২৩ ও ২০২১ সালে খুব অস্বাস্থ্যকর বায়ুমানের দিনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ, যা অন্য বছরগুলোর তুলনায় বেশি। অপরদিকে ২০২৪ সালের ৩৬৬ দিনের মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ দিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দিনে।”
সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে বায়ু দূষণ রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বায়ু দূষণের মত সমস্যা সমাধানে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, ভূ-তাপীয় শক্তি ও বায়োমাস শক্তির মত প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ায়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। সৌর প্যানেল ও বায়ু টারবাইন প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যা অধিক কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদে কম ব্যয়বহুল।
সংবাদ সম্মেলনে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আটটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
> > মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি
পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্লক ইটের উৎপাদন ও ব্যবহার
বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামানো
বিদ্যমান জ্বালানি নীতিতে সংশোধন ও নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন
বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে নিঃসরণ মান নির্ধারণ ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ
নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ ও গবেষণায় জোর
গ্রামীণ অঞ্চলে সবুজ জ্বালানি নিশ্চিত করা
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। এছাড়া বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি এম ফিরোজ আহমেদ, মহিদুল হক খান ও অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এবং যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সুমন।