রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যা করা হয় সম্পত্ত্বিও দন্দ্বে। তাদের নিকতাত্মীয় এক ব্যক্তি ওই বাসায় গিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তি সম্পত্ত্বির দ্বন্দেও বিষয়টি স্বীকার করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করলেও ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ডিবি।
হত্যাকান্ডের পর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ভিডিও ফুটেজ দেখে, একপোশাকে বাসায় প্রবেশ করে অন্য পোশাকে বের হয়ে যাওয়া লম্বা গড়নের যে যুবককে সন্দেহ করছিলো- ওই যুবকই খুনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের একজন অবিবাহিত হওয়া ও আরেকজনের কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তি বাগিয়ে নিতেই এ ঘটনা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। দ্রুতই হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো বলে আশা করি।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান বলেন, সম্পত্ত্বিও দ্বন্দ্বে তাদের নিকত্মীয় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খুনিকে ডিবি হেফাজতে নিয়েছে। ডিবি থেকেই পরবর্তী বিস্তারিত জানানো হবে। যেহেতু আসামি আমাদের কাছে নেই, সেহেতু হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত আমরা জানি না।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বলেন, পারিবারিক কারণে চেনাজানা কোন ব্যক্তি দুই বোনকে খুন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। কেননা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দোতালা থেকে নিচে নামছেন। তার হাতে একটি কালো ব্যাগ ছিল। মুখে মাস্ক আর মাথায় ক্যাপ পড়া ছিল। ওই ব্যক্তি দোতালা থেকে নামার সময় মাথা নিচু করে ছিলো। যাতে সিসি ক্যামেরায় তার মুখমন্ডল বুঝা না যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা আজ রোববার ডিবিতে হস্থান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে। তবে শিগগির ডাবল মার্ডারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘নার্গিস’ নামে ৬৪৯ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বি-১ ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত দুই বোন মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার বোন সুফিয়া বেগম (৫২)। নিহত সুফিয়া অবিবাহিত ও মানসিকভাবে কিছুটা প্রতিবন্ধী ছিলেন। মরিয়র বেগম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি অবসরে যান। এদিকে তার স্বামী কাজী আলাউদ্দিনও বন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিনি বেশির ভাগ সময় বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান খুসবু থাকেন আমেরিকায়। আর ছোট মেয়ে নুসরাত জাহান বৃষ্টি ঢাকায় বিদেশি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঘটনার সময় নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। তিনিই বাসায় এসে মা ও খালার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের কিছু আগে শার্ট গায়ে ও মাথায় ক্যাপ পরা এক যুবক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তার পিঠে ব্যাগ ছিল। দেড় থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর ওই যুবক বের হয়ে চলে যান। তখনো তার মাথায় ক্যাপ ছিল, তবে গায়ে শার্টের পরিবর্তে ‘টি-শার্ট’ দেখা গেছে। নিকটাত্মীয় ওই যুবক জুমার নামাজের আগে থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সূত্র জানায়, বাসায় ডাইনিং টেবিলে রাখা একটি ব্যাগে কিছু ফাইলে রক্ত মাখানো হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। ওই যুবক সম্পত্ত্বি বিষয়ে ওই বাসায় গিয়েছিলেন।
ডিবি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভির তিনটা ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর ওইসব ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যা করা হয় সম্পত্ত্বিও দন্দ্বে। তাদের নিকতাত্মীয় এক ব্যক্তি ওই বাসায় গিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তি সম্পত্ত্বির দ্বন্দেও বিষয়টি স্বীকার করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করলেও ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ডিবি।
হত্যাকান্ডের পর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ভিডিও ফুটেজ দেখে, একপোশাকে বাসায় প্রবেশ করে অন্য পোশাকে বের হয়ে যাওয়া লম্বা গড়নের যে যুবককে সন্দেহ করছিলো- ওই যুবকই খুনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের একজন অবিবাহিত হওয়া ও আরেকজনের কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তি বাগিয়ে নিতেই এ ঘটনা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। দ্রুতই হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো বলে আশা করি।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান বলেন, সম্পত্ত্বিও দ্বন্দ্বে তাদের নিকত্মীয় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খুনিকে ডিবি হেফাজতে নিয়েছে। ডিবি থেকেই পরবর্তী বিস্তারিত জানানো হবে। যেহেতু আসামি আমাদের কাছে নেই, সেহেতু হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত আমরা জানি না।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বলেন, পারিবারিক কারণে চেনাজানা কোন ব্যক্তি দুই বোনকে খুন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। কেননা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দোতালা থেকে নিচে নামছেন। তার হাতে একটি কালো ব্যাগ ছিল। মুখে মাস্ক আর মাথায় ক্যাপ পড়া ছিল। ওই ব্যক্তি দোতালা থেকে নামার সময় মাথা নিচু করে ছিলো। যাতে সিসি ক্যামেরায় তার মুখমন্ডল বুঝা না যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা আজ রোববার ডিবিতে হস্থান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে। তবে শিগগির ডাবল মার্ডারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘নার্গিস’ নামে ৬৪৯ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বি-১ ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত দুই বোন মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার বোন সুফিয়া বেগম (৫২)। নিহত সুফিয়া অবিবাহিত ও মানসিকভাবে কিছুটা প্রতিবন্ধী ছিলেন। মরিয়র বেগম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি অবসরে যান। এদিকে তার স্বামী কাজী আলাউদ্দিনও বন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিনি বেশির ভাগ সময় বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান খুসবু থাকেন আমেরিকায়। আর ছোট মেয়ে নুসরাত জাহান বৃষ্টি ঢাকায় বিদেশি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঘটনার সময় নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। তিনিই বাসায় এসে মা ও খালার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের কিছু আগে শার্ট গায়ে ও মাথায় ক্যাপ পরা এক যুবক বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তার পিঠে ব্যাগ ছিল। দেড় থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর ওই যুবক বের হয়ে চলে যান। তখনো তার মাথায় ক্যাপ ছিল, তবে গায়ে শার্টের পরিবর্তে ‘টি-শার্ট’ দেখা গেছে। নিকটাত্মীয় ওই যুবক জুমার নামাজের আগে থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সূত্র জানায়, বাসায় ডাইনিং টেবিলে রাখা একটি ব্যাগে কিছু ফাইলে রক্ত মাখানো হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। ওই যুবক সম্পত্ত্বি বিষয়ে ওই বাসায় গিয়েছিলেন।
ডিবি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভির তিনটা ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর ওইসব ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।