জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানান, পুলিশ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সময় সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালানো হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারা বর্তমানে ভারতে পলাতক রয়েছেন।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে নির্দেশ দেন—শেখ হাসিনা ও কামালের হাজিরার জন্য দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা উপস্থিত না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
এই মামলার গ্রেফতার হওয়া একমাত্র আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ জানায়, আরও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।
গত ১২ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার পাঁচটি অভিযোগ চূড়ান্ত করে।
প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা ছিলেন “মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার”। তার নির্দেশেই ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজারকে আহত করা হয়।
এই মামলার অভিযোগপত্রে রয়েছে ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার দলিল, অডিও-ভিডিও প্রমাণ, এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন। ৮১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “এই বিচার কেবল অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের প্রতিজ্ঞা।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা ট্রাইব্যুনালে রয়েছে—একটি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা-নির্যাতন সংক্রান্ত, অপরটি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত গুম-খুনের অভিযোগে।
গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পুনর্গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবী তাজুল ইসলাম। পুনর্গঠনের পর ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের হওয়া এটি প্রথম মামলা।
পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ জুন। সেদিনও আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানান, পুলিশ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সময় সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালানো হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারা বর্তমানে ভারতে পলাতক রয়েছেন।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে নির্দেশ দেন—শেখ হাসিনা ও কামালের হাজিরার জন্য দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা উপস্থিত না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
এই মামলার গ্রেফতার হওয়া একমাত্র আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ জানায়, আরও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।
গত ১২ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার পাঁচটি অভিযোগ চূড়ান্ত করে।
প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা ছিলেন “মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার”। তার নির্দেশেই ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজারকে আহত করা হয়।
এই মামলার অভিযোগপত্রে রয়েছে ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার দলিল, অডিও-ভিডিও প্রমাণ, এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন। ৮১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “এই বিচার কেবল অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের প্রতিজ্ঞা।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা ট্রাইব্যুনালে রয়েছে—একটি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা-নির্যাতন সংক্রান্ত, অপরটি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত গুম-খুনের অভিযোগে।
গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পুনর্গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবী তাজুল ইসলাম। পুনর্গঠনের পর ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের হওয়া এটি প্রথম মামলা।
পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ জুন। সেদিনও আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর।