অবৈধ সম্পদ অর্জন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার পর সোমবার (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের হাজির হয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখ। সোমবার তার দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে সময় চেয়েছে। দ্বিতীয় দফায় তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২৩ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপনের এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে তলব করা হয়েছিল। সোমবার তার হাজির হওয়ার কথা। ১৯ জানুয়ারি তিনি দুদকের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাই আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে এবার তাকে আগামী ২৩ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা নোটিশ মন্ত্রণালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়াসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে মন্ত্রীর এপিএসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর গত ১৫ জানুয়ারি ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মন্ত্রীর এপিএসের পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব গ্রহণের আগে মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী প্রধানের (স্বাস্থ্য-৭) দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি এক বদলি আদেশে তিনি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ বছর স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক চেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করনে ড. আরিফুর রহমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএসের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তা- কর্মচারী, চিকিসৎক ও নার্সসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এছাড়া কেনাকাটায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গেও তার যোগসূত্র রয়েছে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীসহ যাবতীয় কেনাকাটায় অতিরিক্ত বিল দিয়ে বাড়তি অর্থ নেয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবশালী এ এপিএস অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিদেশেও তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার পর সোমবার (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের হাজির হয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখ। সোমবার তার দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে সময় চেয়েছে। দ্বিতীয় দফায় তলবি নোটিশে তাকে আগামী ২৩ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপনের এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে তলব করা হয়েছিল। সোমবার তার হাজির হওয়ার কথা। ১৯ জানুয়ারি তিনি দুদকের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাই আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে এবার তাকে আগামী ২৩ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা নোটিশ মন্ত্রণালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়াসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে মন্ত্রীর এপিএসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর গত ১৫ জানুয়ারি ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মন্ত্রীর এপিএসের পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব গ্রহণের আগে মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী প্রধানের (স্বাস্থ্য-৭) দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি এক বদলি আদেশে তিনি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ বছর স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক চেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করনে ড. আরিফুর রহমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএসের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তা- কর্মচারী, চিকিসৎক ও নার্সসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এছাড়া কেনাকাটায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গেও তার যোগসূত্র রয়েছে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীসহ যাবতীয় কেনাকাটায় অতিরিক্ত বিল দিয়ে বাড়তি অর্থ নেয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবশালী এ এপিএস অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিদেশেও তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে।