রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
লিয়াকত আলী বাদল রংপুর
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকের নামে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা দাবির ভুয়া মেসেজে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার মূলহোতা জাতীয় পতাকা বিকৃত ও অবমাননার মামলার আসামি উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ একই বিভাগের শিক্ষকসহ দু’জন শিক্ষার্থী সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধিকার সুরক্ষা পরিষদ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাতুল জান্নাত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম হুমাইদার নামে ভুয়া আইডি খুলে সেই আইডির মাধ্যমে ভুয়া নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিপের জন্য জনপ্রতি একশ’ টাকা করে নিয়েছে। এ টাকা নেয়ার ব্যাপারে সে ওই শিক্ষককের নাম ব্যবহার করেছে। এ ঘটনা জানার পর ওই নারী শিক্ষক শিক্ষার্থী রাহাতুল জান্নাতকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে জানায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল তাকে এই স্ত্রিন শিটটি তৈরি করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে পুরো কাজটি কীভাবে করতে হবে তার নির্দেশনা তাকে দিয়েছে।
কেন এ কাজটি করেছে জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করে তোফায়েল ওই কাজটি করার জন্য তাকে কল দিয়ে বারবার বোঝায় ও চাপ প্রয়োগ করে। সেই নারী শিক্ষার্থী আরও জানায়, আবদুল্লাহ আল তোফায়েল নামক সেই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের ‘ভোকাল’ হিসেবেই কাজ করে এবং মূলত এই কাজটি করার নির্দেশনা পরোক্ষভাবে স্যারের কাছ থেকেই আসে। কাজটি করলে পরবর্তীতে সেই মেয়েটি ওই শিক্ষকের কোর্সে ভালো মার্কস পাবে, ভালো রেজাল্ট হবে, এ ধরনের কথা বলে তোফায়েল তাকে প্রলুব্ধ করে ও চাপ প্রয়োগ করে।
শিক্ষক তাসনীম হুমাইদা রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া অভিযোগে আরও জানান, ফেইসবুকের প্রোফাইলে তার ছবি ব্যবহার করে হুবহু তার আইডির মতো করে তার আইডির সঙ্গে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার ভুয়া কথোপকথনটি তৈরি করা হয়। তিনি অভিযোগপত্রে আরও বলেন, ‘আমি উক্ত শিক্ষার্থীর পুরো বক্তব্য শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি এবং আমার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস অনুভব করি। আমি মনে করি যে, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে, পেশাগতভাবে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ক্ষতি করা হয়েছে এবং আমাকে মারাত্মক কোন বিপদের মধ্যে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর আমি ডিজিটালি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি বলে অভিযোগ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম হুমাইদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সব কথোপকথন রেকর্ড করা আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে আন্দোলনে আমি অংশগ্রহণ করে আসছি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দু’দফা তদন্ত টিম দু’বার ক্যাম্পাসে এসে তদন্ত করে গেছে। একটি তদন্তে উপাচার্যকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে ইউজিসির কাছে। আর অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ১১১টি অভিযোগ সংবলিত শ্বেতপত্র তদন্ত করেছে কমিটি। এমনি অবস্থায় তাকে ফাঁসানোর জন্য এবং হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তার অনুগত এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি রেজিস্ট্রারের কাছে তদন্ত করার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সেখানে প্রতিকার না পেলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলে জানান।
এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতা মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, তাদের বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান জাতীয় পতাকা বিকৃত করে উপস্থাপন প্রদর্শন করার মামলার আসামি। এ ছাড়া তিনি উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে সবাই জানেন। যেহেতু নারী শিক্ষক উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম কাতারের সৈনিক সেকারণে তাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। পুরো বিষয় তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেয়া এক বিবৃতিতে নারী শিক্ষক তাসনিম হুমাইদাকে হেয়প্রতিপন্ন করে তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয়প্রধান ড. নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সহকর্মী নারী শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছেন বলে জানান। ঘটনার বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
লিয়াকত আলী বাদল রংপুর
শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকের নামে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা দাবির ভুয়া মেসেজে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার মূলহোতা জাতীয় পতাকা বিকৃত ও অবমাননার মামলার আসামি উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ একই বিভাগের শিক্ষকসহ দু’জন শিক্ষার্থী সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধিকার সুরক্ষা পরিষদ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাতুল জান্নাত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম হুমাইদার নামে ভুয়া আইডি খুলে সেই আইডির মাধ্যমে ভুয়া নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিপের জন্য জনপ্রতি একশ’ টাকা করে নিয়েছে। এ টাকা নেয়ার ব্যাপারে সে ওই শিক্ষককের নাম ব্যবহার করেছে। এ ঘটনা জানার পর ওই নারী শিক্ষক শিক্ষার্থী রাহাতুল জান্নাতকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে জানায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল তোফায়েল তাকে এই স্ত্রিন শিটটি তৈরি করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে পুরো কাজটি কীভাবে করতে হবে তার নির্দেশনা তাকে দিয়েছে।
কেন এ কাজটি করেছে জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করে তোফায়েল ওই কাজটি করার জন্য তাকে কল দিয়ে বারবার বোঝায় ও চাপ প্রয়োগ করে। সেই নারী শিক্ষার্থী আরও জানায়, আবদুল্লাহ আল তোফায়েল নামক সেই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের ‘ভোকাল’ হিসেবেই কাজ করে এবং মূলত এই কাজটি করার নির্দেশনা পরোক্ষভাবে স্যারের কাছ থেকেই আসে। কাজটি করলে পরবর্তীতে সেই মেয়েটি ওই শিক্ষকের কোর্সে ভালো মার্কস পাবে, ভালো রেজাল্ট হবে, এ ধরনের কথা বলে তোফায়েল তাকে প্রলুব্ধ করে ও চাপ প্রয়োগ করে।
শিক্ষক তাসনীম হুমাইদা রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া অভিযোগে আরও জানান, ফেইসবুকের প্রোফাইলে তার ছবি ব্যবহার করে হুবহু তার আইডির মতো করে তার আইডির সঙ্গে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়ার ভুয়া কথোপকথনটি তৈরি করা হয়। তিনি অভিযোগপত্রে আরও বলেন, ‘আমি উক্ত শিক্ষার্থীর পুরো বক্তব্য শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি এবং আমার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস অনুভব করি। আমি মনে করি যে, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে, পেশাগতভাবে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ক্ষতি করা হয়েছে এবং আমাকে মারাত্মক কোন বিপদের মধ্যে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর আমি ডিজিটালি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি বলে অভিযোগ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনিম হুমাইদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির কাছে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সব কথোপকথন রেকর্ড করা আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগে আন্দোলনে আমি অংশগ্রহণ করে আসছি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দু’দফা তদন্ত টিম দু’বার ক্যাম্পাসে এসে তদন্ত করে গেছে। একটি তদন্তে উপাচার্যকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে ইউজিসির কাছে। আর অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ১১১টি অভিযোগ সংবলিত শ্বেতপত্র তদন্ত করেছে কমিটি। এমনি অবস্থায় তাকে ফাঁসানোর জন্য এবং হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তার অনুগত এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি রেজিস্ট্রারের কাছে তদন্ত করার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সেখানে প্রতিকার না পেলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলে জানান।
এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও অধিকার সুরক্ষা পরিষদের নেতা মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, তাদের বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান জাতীয় পতাকা বিকৃত করে উপস্থাপন প্রদর্শন করার মামলার আসামি। এ ছাড়া তিনি উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে সবাই জানেন। যেহেতু নারী শিক্ষক উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম কাতারের সৈনিক সেকারণে তাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। পুরো বিষয় তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন তিনি।
এদিকে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেয়া এক বিবৃতিতে নারী শিক্ষক তাসনিম হুমাইদাকে হেয়প্রতিপন্ন করে তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয়প্রধান ড. নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সহকর্মী নারী শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছেন বলে জানান। ঘটনার বিষয় তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।