ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাব
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাব। এর আগে তার গুলশানের বাড়িতে ৪ঘন্টা ধরে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মুখে মাস্ক পড়া ছিল, পরনে ছিল চেক জামা ও হলুদ ওড়না।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
র্যাব জানিয়েছে, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় বাসায় মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো বোর্ড, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ছবি পোস্ট করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে হেলেনাকে অব্যাহতি দিয়ে গত রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সংগঠনের নীতি বহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপকমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের একদিন পরই ফেসবুক লাইভে এসে হেলেনা জাহাঙ্গীর তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেখানে তাকে কাঁদতেও দেখা গেছে।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন গত ১৭ জানুয়ারি।
তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর ওই আসনে মনোনয়নের জন্য দলীয় ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। তিনি নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততার খবর প্রকাশ হলে তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাব
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাব। এর আগে তার গুলশানের বাড়িতে ৪ঘন্টা ধরে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মুখে মাস্ক পড়া ছিল, পরনে ছিল চেক জামা ও হলুদ ওড়না।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
র্যাব জানিয়েছে, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় বাসায় মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো বোর্ড, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু অবৈধ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ছবি পোস্ট করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে হেলেনাকে অব্যাহতি দিয়ে গত রোববার আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সংগঠনের নীতি বহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপকমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের একদিন পরই ফেসবুক লাইভে এসে হেলেনা জাহাঙ্গীর তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেখানে তাকে কাঁদতেও দেখা গেছে।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন গত ১৭ জানুয়ারি।
তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর ওই আসনে মনোনয়নের জন্য দলীয় ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার। তিনি নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততার খবর প্রকাশ হলে তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।