রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মধ্যম বঙ্গলতলী এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম সুরেশ চাকমা ওরফে দীনেশ (৫৬)। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এ ঘটনার জন্য সন্তু লারমা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষ এমএন লারমা গ্রুপকে দায়ী করেছে। তবে এমএন লারমা গ্রুপের পক্ষ থেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মধ্যম বঙ্গলতলী এলাকায় সুপ্পে চাকমার বাড়িতে অবস্থান করে ঘুমাচ্ছিলেন নিহত সুরেশ চাকমা। ভোর ৪টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বাড়ি ঘেরাও করে। এতে প্রাণের ভয়ে সুরেশ চাকমা খাটের নিচে লুকালেও সেখানে দুর্বৃত্তরা গুলি করে মৃত্যুর নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকালের দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে গেলেও ঘটনাস্থলে লাশ খুঁজে পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয়রা লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। তবে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর বিকালের দিকে লাশ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। নিহত দীনেশ চাকমা জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের উপজেলা শাখার বিচার বিভাগের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে, সন্তু লারমা দলের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা ওরপেফ দীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার জন্য এমএন লারমা দলকে দায়ী করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এমএন লারমা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন তাদের দলে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম নেই। তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করছেন। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা নিজেদের গুলিতে নিজেরাই নিহত হয়েছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলেও প্রথমে স্থানীয়রা লাশ না দিলেও পরে লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মধ্যম বঙ্গলতলী এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম সুরেশ চাকমা ওরফে দীনেশ (৫৬)। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এ ঘটনার জন্য সন্তু লারমা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষ এমএন লারমা গ্রুপকে দায়ী করেছে। তবে এমএন লারমা গ্রুপের পক্ষ থেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মধ্যম বঙ্গলতলী এলাকায় সুপ্পে চাকমার বাড়িতে অবস্থান করে ঘুমাচ্ছিলেন নিহত সুরেশ চাকমা। ভোর ৪টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বাড়ি ঘেরাও করে। এতে প্রাণের ভয়ে সুরেশ চাকমা খাটের নিচে লুকালেও সেখানে দুর্বৃত্তরা গুলি করে মৃত্যুর নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকালের দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে গেলেও ঘটনাস্থলে লাশ খুঁজে পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয়রা লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। তবে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর বিকালের দিকে লাশ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। নিহত দীনেশ চাকমা জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের উপজেলা শাখার বিচার বিভাগের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে, সন্তু লারমা দলের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা ওরপেফ দীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার জন্য এমএন লারমা দলকে দায়ী করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এমএন লারমা দলের উপজেলা শাখার সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন তাদের দলে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম নেই। তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করছেন। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা নিজেদের গুলিতে নিজেরাই নিহত হয়েছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলেও প্রথমে স্থানীয়রা লাশ না দিলেও পরে লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।